আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
203 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (63 points)

(কাছাকাছি ভালো মুফতি না পাওয়ায় একটা জিগ্যেসা রাখলাম সম্ভব হলে জানাবেন, জানিয়ে হাইড করে দিলেও চলবে)

 

অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষকদের বই  অনুযায়ী মাদরাসা/স্কুলে পড়ানো হয়। তখন সাধারণ সমাজ বই এবং বিজ্ঞান বইয়ের কিছু টপিক আসে যা ইসলামের মতের সাথে অমিল সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বলছি একটু দেখবেন। 

প্রথমে সমাজ বই এর বিষয় গুলো থেকে বলি, এই বইয়ে ,  জনসংখ্যা সমস্যা, অধিক বাচ্চা নেওয়ার বিরুদ্ধে,  বাল্যবিয়ের কুফল, গনতন্ত্র, নারীর ক্ষমতায়ন। ইত্যাদি সম্পর্কে বলা হয়,এই পড়া গুলো যারা পড়ান তারা হয়তো বই রিডিং পড়িয়ে, এর সপক্ষে কিছু বর্ননা দেন। এই সম্পর্কে কিছু কথা বলেন, যেমন: জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বাচ্চা কম নিতে হবে, গনতন্ত্র চর্চা করা দরকার,  বাল্যবিবাহ দেওয়া আটকানো দরকার, নরীর ক্ষমতায়ন করা প্রয়োজন, এই টাইপের কথা বলতে হয়। ইদানিং আবার পর্দায় অনুতসাহিত করার মতো কিছু বিষয় ও ধীরে ধীরে যুক্ত করছে, এগুলো না হয় রিডিং পড়িয়ে এভোয়েড করা যায়, বাকি টপিক এই বইয়ের অনেকেই এইভাবে ব্যাখা করে বলেন।

 

বিজ্ঞান বইয়ের ক্ষেত্রে, কিছু টপিক যেমন আদিম মানুষ গুহায় থাকতো,আগুনে পুড়িয়ে খেতো, ধীরে ধীরে ভাষা শিখেছে, এগুলো লিখা থাকে, সংক্রাকম রোগ এর কথা বলে, বিবর্তন এর কথা বলে। বিবর্তন মুসলিমরা বিশ্বাস করিনা, যারা বিবর্তন পড়ান তারা এই থিওরীর বক্তব্য টা উপস্থাপন করেন এর পক্ষে কি প্রমান দিয়েছে তা বলেন, পরে এটাও বলেন যে এইটা আমাদের ধর্ম সমর্থন করে না, কিন্তু বাকি ক্ষেত্রে, আদিম মানুষ আর সংক্রামক রোগ এগুলো পড়ানোর সময় হয়তো বিস্তারিত ব্যখা করেন না। 

(সকল ক্ষেত্রেই উনি ইসলামী মতে যা জানেন সেটাকেই সঠিক টাই মানছেন, তাও বইয়ে লেখা থাকায় বাচ্চাদের সে অনুযায়ী বলছেন, কিন্তু তিনি তা বিশ্বাস করছে না, কিন্তু বাচ্চাদের বিবর্তন ছাড়া বাকি টপিক সম্পর্কে ইসলামী মতটা জানাচ্ছেন না)

আমি এখন জানতে চাচ্ছি। টিউশনে এবং ক্লাসে এই সব পড়ানোর সময় ---

 ১. সমাজ বইয়ের, গনতন্ত্র,  জনসংখ্যা, বাল্যবিয়ে, নারীর ক্ষমতায়ন,  এসব পড়ানোর সময় বই অনুযায়ী ব্যাখা করে, এইসব বিষয়ে বাচ্চাদের ইসলামি সঠিক আকিদার পরিচয় না করিয়ে দেন এতে কি উনি কাফের হয়ে যাবেন? (উনি ইসলামী মত গুলোই যা জানেন তাকেই সঠিক হিসাবে মানেন)

২. বিজ্ঞান বইয়ের, আদিম মানুষ, সংক্রামক রোগ, বিবর্তন, এইসব সম্পর্কে পড়ানোর সময় বই অনুযায়ী বইয়ে যা বলেছে তা জানিয়ে দিয়ে, যদি ইসলাম কি বলেছে তা না বলেন, এতে কি উনি কাফের হয়ে যাবেন? (উনি ইসলামী মত গুলোই যা জানেন তাকেই সঠিক হিসাবে মানেন)

৩. বাংলা সাহিত্য  পড়ানোর সময় হিন্দু কবিদের লেখা তাদের বিভিন্ন রামায়নের মাহাভারতে কাহিনি, গদ্য পড়ালে যে কবি কুফরী কথা লিখেছেন, (যেমন তার দেবী সাহায্য করেছেন ইত্যাদি)  এগুলো পড়ালে কি কাফের হবেন?(উনি ইসলামী মত গুলোই যা জানেন তাকেই সঠিক হিসাবে মানেন)

(সকল ক্ষেত্রেই উনি ইসলামী মতে যা জানেন সেটাকেই সঠিক টাই মানছেন, তাও বইয়ে লেখা থাকায় বাচ্চাদের সে অনুযায়ী বলছেন, কিন্তু তিনি তা বিশ্বাস করছে না, কিন্তু বাচ্চাদের বিবর্তন ছাড়া বাকি টপিক সম্পর্কে ইসলামী মতটা জানাচ্ছেন না)

৪.  এইরুপ অনৈসলামিক বিষয়গুলো পড়ানোর সময় নিজে ইসলামী মতো বিশ্বাস রেখে, বাচ্চাদের কাছে ইসলামী মত না জানিয়ে পড়ালো কি শিক্ষক কাফের হয়ে যাবেন?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হারূন আল-আবদী (রহঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ، قَالَ كُنَّا إِذَا أَتَيْنَا أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ مَرْحَبًا بِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لَنَا " إِنَّ النَّاسَ لَكُمْ تَبَعٌ وَإِنَّهُمْ سَيَأْتُونَكُمْ مِنْ أَقْطَارِ الأَرْضِ يَتَفَقَّهُونَ فِي الدِّينِ فَإِذَا جَاءُوكُمْ فَاسْتَوْصُوا بِهِمْ خَيْرًا "
তিনি বলেন, আমরা আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) -এর কাছে এলেই তিনি বলতেনঃ তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওসিয়ত অনুযায়ী স্বাগতম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বলতেনঃ লোকেরা অবশ্যই তোমাদের অনুগামী। অচিরেই পৃথিবীর দিকদিগন্ত থেকে লোকেরা তোমাদের নিকট দ্বীনি ইলম অর্জনের জন্য আসবে। তারা যখন তোমাদের নিকট আসবে,তখন তোমরা তাদেরকে ভালো ও উত্তম উপদেশ দিবে।(সুনানু তিরমিযি-২৪৯,তিরমিযী ২৬৫০-৫১, মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৪৭।)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অতীব জরুরী ও সাধারণ মাস'আলা মাসাঈল আয়ত্বে না থাকার কারণে দৈনন্দিন জীবনে দ্বীন-ইসলাম পালন করতে, যে সমস্ত দ্বীনি ভাই-বোন থমকে দাড়ান,এবং যাদের দ্বীনি ইলম অর্জনের কাছাকাছি কোনো নির্ভরযোগ্য মাধ্যম নেই, মূলত তাদেরকে দিকনির্দেশনা দিতেই আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস .....
মুহতারাম/মুহতারামাহ!
দ্বীনের পরিধি অনেক ব্যাপক, সকল বিষয়ে আলোচনা করা বা দিকনির্দেশনা দেওয়া স্বল্প পরিসরের এই ভার্চুয়ালি মাধ্যম দ্বারা আমাদের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। চেষ্টা করলেও প্রশ্নকারীর পিপাসা মিটানো সম্ভব হবে না। প্রত্যেক বিষয়ে আমরা শুধুমাত্র সামান্য আলোকপাত করে থাকি।
উপরোক্ত প্রশ্নটির ব্যাপারে উলামায় কেরামের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। মতবিরোধপূর্ন প্রশ্নগুলো উত্তর দেওয়ার জন্য স্থান, কাল, পাত্র অনেক কিছুই জানার প্রয়োজন হয়। যেটা অনলাইনে জানা সম্ভব হয় না।
তাই এই প্রশ্নগুলোর উত্তরের জন্য আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট উলামায় কেরামের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা আপনার জন্য কল্যাণকর হবে বলেই আমাদের ধারণা।
তাছাড়া ইলম অর্জনের জন্য সফর করা অত্যান্ত  জরুরী। এবং কষ্ট করে ইলম অর্জন করাই আমাদের  আকাবির আসলাফদের রীতি ও নীতি। এদিকেই কুরআনের এই আয়াত ইঙ্গিত দিচ্ছে,
ۚفَلَوْلَا نَفَرَ مِن كُلِّ فِرْقَةٍ مِّنْهُمْ طَائِفَةٌ لِّيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ
তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হলো না, যাতে দ্বীনের জ্ঞান লাভ করে এবং সংবাদ দান করে স্ব-জাতিকে, যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা বাঁচতে পারে।(সূরা তাওবাহ-১২২)
সুতরাং আপনাকে বলবো, আপনি বিস্তারিত জানতে স্ব-শরীরে কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করবেন।
প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।আল্লাহ তা'আলা আপনার ইলম অর্জনের স্পৃহাকে আরোও বাড়িয়ে দিক, আমীন!!
প্রত্যেকটা বিষয়ের সাথে নিম্নের হাদীসকে লক্ষ্য রাখবেন।
হাসান ইবনে আলী রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে।
ﻭﻋﻦ ﺍﻟﺤَﺴَﻦِ ﺑﻦ ﻋَﻠﻲٍّ ﺭﺿﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﺣَﻔِﻈْﺖُ ﻣِﻦْ ﺭَﺳُﻮﻝ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﷺ : « ﺩَﻉْ ﻣَﺎ ﻳَﺮِﻳﺒُﻚَ ﺇِﻟﻰ ﻣَﺎ ﻻ ﻳﺮِﻳﺒُﻚ » ﺭﻭﺍﻩُ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ﻭﻗﺎﻝ : ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ ﺻﺤﻴﺢٌ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি।তিনি বলেন,সন্দেহ যুক্ত জিনিষকে পরিহার করে সন্দেহমুক্ত জিনিষকে গ্রহণ করো।(সুনানু তিরমিযি-২৪৪২)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (63 points)
একটু ফোনে কথা বলতে চাই আপনার সাথে,সুযোগ হবে কি?
by (597,330 points)
জ্বী আপনি ওয়টসাফে কল দিবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 147 views
...