আসসালামু আলাইকুম। আমার একজন বান্ধবীর গুরুত্বপূর্ণ একটা প্রশ্ন। মেহেরবানি করে যদি উত্তর দিতেন, ওর একটু ইমার্জেন্সি জানা দরকার:
"ভার্সিটির শুরুর দিকে আমার একজন ছেলের সাথে বন্ধুত্ব হয়। তখন আমার ইসলাম নিয়ে এত নলেজ ছিল না, আমি জানতাম প্রেম করা নিষেধ কিন্তু নরমাল বন্ধু তো হওয়ায় যায় । পরবর্তীতে আমাদের বন্ধুত্ব ভালো লাগায় রূপ নেয়। বিষয়টি দুইজনেই বুঝতে পেরে যোগাযোগ বন্ধ করে দেই, যেহেতু আমরা কেউই প্রেম করতে চাইনি। কিন্তু শয়তানের ধোকায় পড়ে মাঝেমধ্যে কথাবার্তা হয়ে যেত। আমরা দুইজনই চাচ্ছিলাম বিষয়টার নিষ্পত্তি হোক। এইজন্য আমরা বাসায় বিষয়টি জানাই। আমার বড় দুইবোনের তখনো বিয়ে হয়নি তাই আব্বু রাজি হচ্ছিল না। আর আমার বড় ভাইকে জানায় নাই কারন সে আমার বোনদের বিয়ে দিতেই উদ্যোগী ছিল না, অথচ আমার বোনদের বিয়ের বয়স পার হয়ে যাচ্ছিল। আমি আব্বুকে এই বলে রাজি করাই যে আমার তো গুনাহ হচ্ছে। আপুদের বিয়ে হয়ে গেলে ভাইয়াকে এবং সবাইকে জানায় দিও, এখন শুধু বিয়ে পড়াই রাখ কাউকে জানানোর দরকার নাই। তাহলে আমারো গুনাহ হলো না কেউ জানলোও না। আব্বু রাজি হয় ওর ফেমিলিকেও ও রাজি করায়।তারপর কাজী অফিসে ছেলের পরিবারের কয়েকজন ও আমার বাবা উপস্থিত থেকে বিয়ে পড়ায়। এই বিয়ের কথা আমার আব্বু আর বোনেরা জানে শুধু, আমার ভাই- ভাবি, দুলাভাইরা(আমার বিয়ের পর পরে আমার বোনেদেরো বিয়ে হয়) জানেন না।
এখন দুই ফেমিলিই চায় বিয়েটা সবাইকে জানাতে। সমস্যা হলো বিয়ের কথা শুধু আমার আব্বু জানে। কাউকে না জানিয়ে এভাবে মেয়ের বিয়ে দিয়েছে এটা জানাজানি হলে আব্বুকে অনেক অপমানিত হতে হবে। বিশেষ করে আব্বু এখন ভাইয়ার বাসায় থাকে তাই আব্বুর এটা নিয়ে ভয় যে ভাইয়া এটি স্বাভাবিকভাবে নিবে না। দুই ফেমিলির রিলেটিভস দের কিভাবে জানাবে এইজন্য দুই ফেমিলিই চাচ্ছে আবার স্বাভাবিকভাবে বিয়ে হোক। যেন সব নতুন করে হচ্ছে এইভাবে।
এটা কি ইসলামে জায়েজ বা আমাদের কি গুনাহ হবে?"