উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
ইসলামের মূল থিউরী হল স্বামী স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ না হোক। তারা মিলেমিশে থাকুক। সমস্যা হলে উভয়ে বসে তা সমাধানের চেষ্টা করা উচিত। তাতে সমস্যার সমাধান না হলে পারিবারিক মুরুব্বীদের পরামর্শের আলোকে সমাধান করা উচিত। তারপরও যদি সমাধান না আসে। তাহলে নিরূপায় অবস্থায় ইসলাম তালাক দেবার অধিকার দিয়েছে স্বামীকে।
স্ত্রীকে এই অধিকার দেওয়া হয়নি।
আল্লাহ তায়ালা বলেন
قال اللّٰہ تعالیٰ: {وَاللّٰاتِیْ تَخَافُوْنَ نُشُوْزَہُنَّ فَعِظُوْہُنَّ وَاہْجُرُوْہُنَّ فِیْ الْمَضَاجِعِ} [النساء، جزء آیت:۳۴]
হাদীস শরীফে এসেছে
عن ابن عمر رضي اللّٰہ عنہما أن رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم قال: أبغض الحلال إلی اللّٰہ عزوجل الطلاق۔ (سنن أبي داؤد ۱؍۳۰۳، المستدرک للحاکم ۲؍۲۱۸ رقم: ۲۸۰۹، السنن الکبریٰ ۷؍۳۱۶)
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন যে সবচেয়ে নিকৃষ্টতম হালাল হলো তালাক প্রদান করা।
,
★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
সুতরাং স্বামী ত
যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।
এখানে স্ত্রী যে কয় তালাক নিন নফসের দিবে,সেই কয় তালাকই পতিত হবে।
আরো জানুনঃ
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু স্বামী স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতাই দেয়নি,তাই কোনো তালাক হয়নি।
তারা এখনো আগের মতোই স্বামী স্ত্রী হিসেবেই আছে।
নতুন কিছুই করার প্রয়োজন নেই।
স্ত্রী স্বামীর কাছে যেতে পারবে।
কোনো সমস্যা নেই।