আসসালমুআলাইকুম হুজুর,
১. হুজুর আমি খুব ওয়াসওয়াসা রুগী। হুজুর আমার মনে মনে এমন হচ্ছে, আমি যদি জুম্মার বা এমনি নামাজ পড়তে না জাই তাহলে কাফের । এই রকম মনে মনে হচ্ছে। হুজুর ব্যাতিক্রম যদি নামাজ পড়তে না জাই তাহলে কি ঈমান চলে যাবে? কাফের হয়ে যাবো? খুবই ভয় লাগছে
২. মনে মনে এমন হচ্ছে যদি অমুক মসজিদ এ নামাজ পড়তে না জাই তাহলে কাফের মনে মনে এমন হচ্ছে, হুজুর আমি যদি অন্য মসজিদ এ নামাজ পরি তাহলে কি কাফের হয়ে যাব?
৩. মনে মনে শুধু এমন সর্ত হয়ে যাচ্ছে যে কোনো বিষয় নিয়ে, দিয়ে যদি আমি সেই কাজ করি বা না করি তাহলে কি কাফের হবে বা ঈমান চলে যাবে?
৪. মনে মনে এমন হচ্ছে অমুক কথা বললে কাফের , মনে মনে হচ্ছে হুজুর। হুজুর দরকার এ সেই কথা বললে কি কাফের হবে? বা ঈমান চলে যাবে??
৫. মনে মনে এমন হচ্ছে তেল মেখে নামাজ পড়তে গেলে কাফের এই রকম মনে মনে হচ্ছে, দিয়ে হুজুর আমি যদি তেল মেখে নামাজ পড়তে জাই তাহলে কি ঈমান চলে যাবে বা কাফের হবে?
৬ . হুজুর মনে মনে শয়তানের ওয়াসওয়াসা তে আল্লাহর নামে খারাপ কথা বা গালি এমন মনে মনে হচ্ছে মুখে উচ্চরণ করিনি। এমন হওয়ার জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
৭. হুজুর জুম্মার নামাজ পড়তে গিয়ে নামাজের মধ্যে হিন্দু দের কোনো মূর্তির কথা মনে পড়ছে সঙ্গে সঙ্গে মন কে অন্য মনষ্ক করে নামাজ আদায় করেছি, শয়তানের ওয়াসওয়াসা র জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
৮. হুজুর নামাজ পড়তে গিয়ে যখন সুবহানা রাব্বিল আজিম বলছি তখন হিন্দু দের কিছু একটা মনে হইতেছে, সঙ্গে সঙ্গে মন কে ঠিক করে নামাজ পড়েছি। হুজুর ঈমান ঠিক আছে তো?
৯. আর হুজুর, নামাজের সময় ভাবছি বাড়ি গিয়ে হুজুর যে জানাব, এই টা মনে এর মধ্যে হচ্ছিলো, তাই একটু নামাজ টা তারা তারি পড়েছি , এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
১০. হুজুর মনে মনে এমন হচ্ছে ৫ গুনতে গুনতে যদি ফোন আসে তাহলে কাফের । এই রকম মনে মনে হচ্ছে , দিয়ে মনে মনে ৫ গুনলাম ফোন আসলো না। তাহলে তো ঈমান যাবে না বা কাফের হবে না। কিন্তু এর পর যদি ফোন আসে তাহলে কি কাফের হবে? বা ঈমান চলে যাবে?
১১. হুজুর রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি , দিয়ে কারো দাড়ি দেখলে মনে মনে খারাপ ভাবনা বা কুটুক্তি চলে আসছে, হুজুর আমার ওয়াসওয়াসা র জন্য এমন হচ্ছে, আমি মুখে কিছু উচ্চরণ করিনি। এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
১২. আপনাকে বললাম সমস্ত কথা এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে না তো? আমার বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে তো?
খুব চিন্তা হচ্ছে একটু দেখুন হুজুর।