ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
الظِّهَارُ هُوَ تَشْبِيهُ الزَّوْجَةِ أَوْ جُزْءٍ مِنْهَا شَائِعٍ أَوْ مُعَبَّرٍ بِهِ عَنْ الْكُلِّ بِمَا لَا يَحِلُّ النَّظَرُ إلَيْهِ مِنْ الْمُحَرَّمَةِ عَلَى التَّأْبِيدِ وَلَوْ بِرَضَاعٍ أَوْ صِهْرِيَّةٍ كَذَا فِي فَتْحِ الْقَدِيرِ سَوَاءٌ كَانَتْ الزَّوْجَةُ حُرَّةً أَوْ أَمَةً أَوْ مُكَاتَبَةً أَوْ مُدَبَّرَةً أَوْ أُمَّ وَلَدٍ أَوْ كِتَابِيَّةً
স্ত্রীকে মাহরামে আবদি যেমন মা,বোন ইত্যাদি ব্যক্তিবর্গের উল্লেখযোগ্য কোনো অঙ্গের দিকে বা এমন কোনো অঙ্গের সাথে তুলনা করা যেই অঙ্গের দিকে তাকানো হারাম।মাহরামে আবদি দুধ সম্পর্কের কারণে হোক বা বৈবাহিক সম্পর্কের কারণে হোক। এবং স্ত্রী চায় আযাদ হোক বা বাদি হোক কিংবা মুকাতাব বা উম্মে ওলাদ হোক।জিহার হবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৫০৬)
মোটকথাঃ-
জিহার হবার জন্য স্ত্রীকে বা তার এমন কোন অঙ্গ যা তার পূর্ণ সত্তাকে বুঝায় সেটিকে মাহরাম আত্মীয় কারো সাথে বা এমন কোন অঙ্গের সাথে উপমা দেয়া জরুরী, যে অঙ্গ দেখা হারাম।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
কোনো ব্যাক্তি তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে তাকে সবচেয়ে (বা সবার চেয়ে) সুন্দর বললে জিহার সংগঠিত হবে না।
(২)
জিহারের সাথে সংশ্লিষ্ট অঙ্গ (যেমন, বুক, পিঠ, পশ্চাৎদেশ) এর কোনোটিকে উদ্দেশ্য করে কোনো স্ত্রী যদি তার স্বামীকে বলে তার নিজের সেই অঙ্গ অন্য সবার মত এবং স্বামী যদি প্রত্যুত্তরে "হ্যাঁ" বলে, তাহলে জিহার সংগঠিত হবে না।
(৩)
২নং প্রশ্নে বর্ণিত ক্ষেত্রে স্বামী প্রত্যুত্তরে "হ্যাঁ" উচ্চারণ না করে শব্দ করে হাসলে তো জিহার সংগঠিত হওয়ার কোনো প্রশ্নই আসবে না।