আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
212 views
in ওয়াসওয়াসা by (16 points)
হুজুর, আসলামুয়ালাইকুম।
আমি দীর্ঘ এক বছর ধরে  পবিত্রতা নিয়ে ওয়াসওয়াসাই আক্রান্ত। যতই সেটাকে পাত্তা না দি কিছু না কিছু আমাকে মেন্টালি ধ্বংস করে দেয়। সবসময় ভয়ে থাকি। এই জানি সবকিছু নাপাক হয়ে গেল। সবাই বলে পাত্তা না দিতে তারপরও পারি না। যদি সত্যিই নাপাকি হয়ে যায় তাহলে তো সারাজীবনের নামাজ একটাও হবে না। আপনাদের একটু সাহায্য দরকার।

প্রশ্নটা হলো, আমার একটু প্রস্রাবের সমস্যা আছে। প্রায় ১০-১৫ মিনিট লাগে প্রস্রাব ক্লিন হতে। সমস্যাটা হচ্চে, যখন আমি গোসল করে গা মুছার পর প্রথমে টিস্যু দিয়ে নুনু মুছে ফেলি। কারন অনেক বার গোসল করার পরই নুনু দিয়ে পানি পানি দেখতে পাই মুছে ফেলার পরও এজন্য আমি সাবধান বসত ৩-৪ বার গোসল করতাম(এই জিনিসটা গোসল করার পর হয়, এমনে তেমন একটা হয় না)। এখন সেটা না করে আমি গোসল থেকে বের হওয়ার আগে ভাল করে নুনুতে পানি দিয়ে ধৌত করি যাতে যদি কিছু বেরও হয় সেটা চলে যায়। তারপর গা মুছে টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলি। মাঝেমাঝে তারপরও কিছু একটা বের হয়। এখন আমি বুঝতে পারছি না এটা কি টিস্যুর ব্যবহারের পর বের হয়েছে নাকি আগে থেকেই ছিল। আগে থেকে থাকলে তো আমার সবকিছু নাপাক হয়ে যাওয়ার কথা কারন পানিগুলো ওটার সাথে মিশে নাপাক হয়ে যাবে। আমি চিন্তা করলাম এখন থেকে যাই হোক এরকমই করব। কারন তা না হলে আমার কোন পথ নাই ৩-৪ বার গোসল করা। আমার কি সব নাপাক হয়ে গেছে নাকি আল্লাহর উপর ভরসা করে চালিয়ে যাব? আমার জন্য একটু দোয়া করবেন প্লিজ।

বড় প্রশ্ন করাই অত্যন্ত দুঃখিত। আর পারতেছি না হুজুর। আমি একধরনের  মা-বাবার উপর বুঝা হয়ে বসে রইলাম। মাঝে মাঝে মনেহয় এটা থেকে মৃত্যু সহজ।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 
   

হাদীস শরিফে এসেছে,

عَنْ عِيسَى بْنِ يَزْدَادَ الْيَمَانِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ إِذَا بَالَ أَحَدُكُمْ فَلْيَنْتُرْ ذَكَرَهُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ

ঈসা ইবন ইয়াযদাদ আলইয়ামানী তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। রাসূল ﷺ ইরশাদ করেছেন, যখন তোমাদের কেউ পেশাব করে, তখন সে যেন তার লজ্জাস্থানকে তিনবার ঝেড়ে নেয় বা পবিত্র করে নেয়। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩২৬)
 
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ الْمُهَاجِرِ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ الْحَكَمِ، أَوِ ابْنِ الْحَكَمِ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَالَ ثُمَّ تَوَضَّأَ وَنَضَحَ فَرْجَهُ .

حكم : صحيح

নাসর ইবনুল মুহাজির ..... হাকাম বা ইবনু হাকাম তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেছেন। যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পেশাবান্তে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করেন এবং তাঁর লজ্জাস্থানে পানি ছিটান (অর্থাৎ লজ্জাস্থান হালকাভাবে ধৌত করার পর উযূ করেন)।
(আবু দাউদ ১৬৮)

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার সব নাপাক হয়ে যায়নি।
আপনি এভাবে আল্লাহর উপর ভরসা করে চালিয়ে যাবেন।

আপনার জন্য পরামর্শঃ- 
আপনি পেশাব করার পর লিঙ্গ গোড়া হতে মাথার দিক পর্যন্ত কয়েকবার নিংড়ানোর পর টিস্যু পেপার ব্যবহার করে কিছুক্ষন হাটাহাটি করবেন।
এর পর ভালোভাবে পানি ঢেলে দিবেন।
এতে কাজ না হলে চিকিৎসা করাবেন।
,
আপাতত নামাজের আগ দিয়ে ইস্তেঞ্জা না করাই আপনার পবিত্রতার জন্য উচিত হবে।
নামাজের পর ইস্তেঞ্জা করবেন,নামাজের আগে কাপড়ে পেশাব লেগে যাওয়া স্থান ধুয়ে পাক করে নিবেন অথবা নামাজের জন্য আলাদা কাপড় ব্যবহার করবেন।     
সেই কাপড়টিকে শুধুমাত্র নামাজের সময়ে ব্যবহার করবেন।       


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...