জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
বাড়িতে প্রবেশের সময় ইসলামের বিধান হলো সালাম দেওয়া।
আল্লাহ বলেছেন,
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَدْخُلُواْ بُيُوتًا غَيْرَ بُيُوتِكُمْ حَتَّىٰ تَسْتَأْنِسُواْ وَتُسَلِّمُواْ عَلَىٰٓ أَهْلِهَا ﴾ [النور: ٢٧]
অর্থাৎ “হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য কারও গৃহে গৃহবাসীদের অনুমতি না নিয়ে ও তাদেরকে সালাম না দিয়ে প্রবেশ করো না।” (সূরা নূর ২৭ আয়াত)
তিনি অন্যত্র বলেন,
﴿ فَإِذَا دَخَلۡتُم بُيُوتٗا فَسَلِّمُواْ عَلَىٰٓ أَنفُسِكُمۡ تَحِيَّةٗ مِّنۡ عِندِ ٱللَّهِ مُبَٰرَكَةٗ طَيِّبَةٗۚ ﴾ [النور: ٦١]
অর্থাৎ “যখন তোমরা গৃহে প্রবেশ করবে, তখন তোমরা তোমাদের স্বজনদের প্রতি সালাম বলবে। এ হবে আল্লাহর নিকট হতে কল্যাণময় ও পবিত্র অভিবাদন।” (সূরা নূর ৬১ আয়াত)
তিনি অন্য জায়গায় বলেন,
﴿ وَإِذَا حُيِّيتُم بِتَحِيَّةٖ فَحَيُّواْ بِأَحۡسَنَ مِنۡهَآ أَوۡ رُدُّوهَآۗ ﴾ [النساء: ٨٦]
অর্থাৎ “যখন তোমাদেরকে অভিবাদন করা হয় (সালাম দেওয়া হয়), তখন তোমরাও তা অপেক্ষা উত্তম অভিবাদন কর অথবা ওরই অনুরূপ কর।” (সূরা নিসা ৮৬ আয়াত)
তিনি আরো বলেছেন,
﴿ هَلۡ أَتَىٰكَ حَدِيثُ ضَيۡفِ إِبۡرَٰهِيمَ ٱلۡمُكۡرَمِينَ ٢٤ إِذۡ دَخَلُواْ عَلَيۡهِ فَقَالُواْ سَلَٰمٗاۖ قَالَ سَلَٰمٞ ﴾ [الذاريات: ٢٤، ٢٥]
অর্থাৎ “তোমার নিকট ইব্রাহীমের সম্মানিত মেহমানদের বৃত্তান্ত এসেছে কি? যখন তারা তার নিকট উপস্থিত হয়ে বলল, ‘সালাম।’ উত্তরে সে বলল, ‘সালাম।’” (সূরা যারিয়াত ২৪-২৫ আয়াত)
★প্রশ্নে উল্লখিত সালাম যেহেতু রেকর্ডিং কৃত সালাম, তাই তার জবাব না দিলে কোনো সমস্যা নেই ।
এই সালামের জবাব দেওয়া ওয়াজিব নয়।
আরো জানুনঃ
,
কলিংবেল হিসেবে সালাম দেয়া হলে, কলিংবেল এ,যদি আসসালামু আলাইকুম বলা হয় তাহলে তা হারামের পর্যায়ে পড়বেনা।
তবে এটি সুন্নাহ পদ্ধতি নয়।
একজন মহিলা সালাম দেয়,তাহলে সেটা নিয়ে যেহেতু কেহ ভিন্ন মন মস্তিষ্ক নিয়ে শুনতে পারে,তাই সেটি না করাই উত্তম।
,
এক্ষেত্রে কলিংবেলে সালাম সেট করলে সালামের অবমাননা হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
তাই অন্য কিছু সেট করা চাই।
,
(০২)
হারাম বেতন গ্রহনের ব্যপারে শরয়ী মূলনীতি হলোঃ যদি উক্ত টাকা হালাল ও হারাম মালের সাথে মিশ্রিত হয়, আর হারাম মাল বেশি হয়, তাহলে তা নেয়া জায়েজ নয়,ফেরত দিতে হবে,নতুবা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া ছদকাহ করে দিতে হবে।
তবে যদি হারাম মাল কম হয় তাহলে তা নেয়া জায়েজ হবে,ব্যবহার করাও জায়েজ আছে।
চাইলে ছদকাহও করতে পারে।
তবে তারপরেও এটা না নেওয়াই উত্তম।
ولا يجوز قبول هدية أمراء الجور لأن الغالب في مالهم الحرمة إلا إذا علم أن أكثر ماله حلال بأن كان صاحب تجارة أو زرع فلا بأس به لأن أموال الناس لا تخلو عن قليل حرام فالمعتبر الغالب (الفتاوى الهندية، كتاب الكراهية، الثاني عشر في الهدايا والضيافات-5/342)
অনুবাদ-জালেম বাদশাহর হাদিয়া গ্রহণ জায়েজ নয়। কেননা তার অধিকাংশ মাল হয় হারাম। তবে যদি জানা যায় যে, তার অধিকাংশ মাল হালাল, এ হিসেবে যে সে ব্যাবসায়ী বা জমিদার, তাহলে তার থেকে হাদিয়া গ্রহণ করাতে সমস্যা নেই। কেননা সাধারণত মানুষের মাল অল্প হারাম থেকে মুক্ত নয়। তাই এতে আধিক্যের বিষয়টি বিবেচিত হবে। { ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪২}
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত বেতন নেওয়া জায়েয হলেও এই চাকরি না করাই উচিত।
,
(০৩)
মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকর না হলে মশার কয়েল ব্যবহার করা জায়েজ আছে।
,
(০৪)
তাবিজ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০৫)
দাইউস ব্যক্তি চিরস্থায়ী জাহান্নামি নয়।
শুধু কাফেররাই চিরস্থায়ী জাহান্নামি হবে।
(০৬)
নামাজে যেই অঙ্গগুলো ঢাকা ফরজ,সেই অঙ্গের চার ভাগের হবে এক ভাগ যদি নামাকে তিন তাসবিহ পড়া সমপরিমাণ খোলা থাকে,তাহলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৪/৯০)
ویفسدہا ظہور عورۃ من سبقہ الحدث في ظاہر الروایۃ، ولو اضطر إلیہ للطہارۃ، ککشف المرأۃ ذراعہا للوضوء۔ (مراقي الفلاح ۱۸۱، حاشیۃ الطحطاوي علی المراقي ۳۳۱)
,
ویمنع حتی انعقادہا کشف ربع عضو قدر أداء رکن۔ (درمختار) والحاصل أنہ یمنع الصلاۃ في الابتداء ویرفعہا في البقاء الخ۔ (شامي۲؍۸۱ زکریا)
সারমর্মঃ একচতুর্থাংশ অঙ্গ এক রুকন সমপরিমাণ সময় খোলা থাকলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
والکثیر یمنع لعدم الضرورۃ، واختلف في الحد الفاصل بین القلیل والکثیر، فقدر أبوحنیفۃ ومحمد الکثیر بالربع، ولہا أن الشرع أقام الربع مقام الکل في کثیر من المواضع، کما في حلق ربع الرأس في حق المحرم ومسح ربع الرأس، کذا ہٰہنا، إذا الموضع موضع الاحتیاط۔ (بدائع الصنائع ۱؍۳۰۷ زکریا)
সারমর্মঃ এখানে একচতুর্থাংশ খোলা থাকাই হলো গ্রহনযোগ্য মত।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত ছিদ্রের ভিতর থেকে দেখা গেলে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।
(০৭)
বই খুলা রাখলে শয়তানে পড়ে এই কথাটি কুরআন এবং হাদীসের কোথাও নেই।
(০৮)
এটি যেহেতু সার্ভিস চার্জ নয়,তাই এটি অতিরিক্ত টাকা।
আর টাকার বিনিময়ে টাকার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা নিলে সেটা সুদ।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত নাজায়েজ।
আরো জানুনঃ