আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
214 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১.আমি ফুটবল খেলা দেখতে ভালোবাসি। ফুটবল খেলা দেখা আমার নেশা। রাত জেগে ফুটবল খেলা দেখার কারনে আমি ফজরের নামাজ পরতে পারিনি। সুর্য উঠে যায়।  যদিও আমি এলার্ম দিয়েছিলাম।   সুর্য উঠার পর আমি ফজরের নামাজ পরি। আমার স্ত্রীও উঠতে পারেনি। সাধারনত আমার স্ত্রীকে আমি ফজরের সময়   ডাক দিয়ে তুলে দেয়।  এখন আমার প্রশ্ন হল- এভাবে খেলা দেখার কারনে ফজরের সময় উঠতে না পারার কারণে নামাজ না পড়ার কারনে   কি ভালোবাসার শিরক হবে। এর কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা?  আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে?

২.প্রায় এক বছর আগে একবার আমার এই রকম হয়েছিল। খেলা দেখার কারনে আমার ফজরের নামাজ কাজা হয়ে গেছিল। তখন আমি ওয়ায়াদা করেছিলাম যে আমি আর খেলা দেখব না বা খেলা দেখলেও আমি ফজরের নামাজ পরে তারপর ঘুমাব। কিন্তু আমি আবার খেলা দেখি এবং আমার ফজরের নামাজ মিস হয়ে যায়। এর কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে। এটাকি ভালোবাসার শিরক হবে?  যেহেতু আমি এক বছর আগে বলেছিলাম যে আর দেখব না খে লা। কিন্তু আবার খেলা দেখি। এর কারনে কি কাফফআরা দিতে হবে?

৩.আমার স্ত্রীর নামাজের গুনাহর দায় কি আমার হবে যেহেতু আমি আমার স্ত্রীকে ডেকে দেয়?

৪.আমি ঈমান ভংগের কারন প্রায় সাত আট মাস আগে জানি। ঈমান ভংগের কারন জানার পরও ১ নাম্বার ও ২ নাম্বার প্রশ্নে উল্লেখিত কারনের কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?  যেহেতু আমি ঈমান ভংগের কারন জানি। তারপরও আমি খেলা দেখে নামাজ কাজা করি।

1 Answer

0 votes
by (564,060 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


https://ifatwa.info/16411/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
সুরা বাকারার ১৬৫ নং আয়াতে যাকে ইবাদত করা হয় (উদাহরণ স্বরুপ মূর্তি) উদ্দেশ্য।
কোনো প্রেমিক প্রেমিকা এখানে উদ্দেশ্য নয়।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

وَ مِنَ النَّاسِ مَنۡ یَّتَّخِذُ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ اَنۡدَادًا یُّحِبُّوۡنَہُمۡ کَحُبِّ اللّٰہِ ؕ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَشَدُّ حُبًّا لِّلّٰہِ ؕوَ لَوۡ یَرَی الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡۤا اِذۡ یَرَوۡنَ الۡعَذَابَ ۙ اَنَّ الۡقُوَّۃَ لِلّٰہِ جَمِیۡعًا ۙ وَّ اَنَّ اللّٰہَ شَدِیۡدُ الۡعَذَابِ ﴿۱۶۵﴾

আর মানুষের মধ্যে এমনও আছে যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যকে আল্লাহর সমকক্ষরূপে গ্রহণ করে, তারা তাদেরকে ভালবাসে আল্লাহ্র ভালবাসার মতই পক্ষান্তরে যারা ঈমান এনেছে তারা আল্লাহকে সর্বাধিক ভালবাসে । আর যারা যুলুম করেছে যদি তারা আযাব দেখতে পেত, (তবে তারা নিশ্চিত হত যে,) সমস্ত শক্তি আল্লাহরই। আর নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তি দানে কঠোর।

অর্থাৎ কাফেররা আল্লাহকে যেমন ভালবাসে তাদের (মিথ্যা) মা’বুদদেরও তেমন ভালবাসে। এ থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, আল্লাহ তা'আলার ভালবাসা কাফেরদের মনেও ছিল, কিন্তু তা ছিল শির্কযুক্ত। একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর জন্য নয়।
,
★★★সুতরাং বুঝা গেলো যে অবৈধ প্রেম হারাম হলেও তাহা শিরক নয়। 
,
তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মত হলোঃ   
হারাম-প্রেম অনেক সময় বান্দাহকে শিরকের নিকটবর্তী করে দেয়। কারণ অনেক সময় তারা একে অপরকে এতটাই ভালবাসা শুরু করে দেয় যে প্রকার ভালবাসা পাওয়ার দাবীদার একমাত্র আল্লাহ। 
,
সুতরাং এটি যেহেতু বান্দাহকে শিরকের নিকটবর্তী করে দেয়,তাই যেকোনো ভাবেই হোক,দ্রুত এর থেকে হেফাজত থাকতে হবে। 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
প্রশ্নের বিবরন মতে এর কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা। আপনার বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।

(০২)
আপনি ওয়াদা করেছিলেন মাত্র,আল্লাহর নামে কসম করেননি।

তাই এক্ষেত্রে আপনাকে কাফফারা আদায় করতে হবেনা।
তবে গুনাহের কাজ করার দরুন আপনাকে তওবা কর্যে হবে।

(০৩)
আপনার স্ত্রী বেনামাজি হলে আপনাকে এর জন্য জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে।

তবে হঠাৎ করে তার কোনো ওয়াক্তের নামাজ মিস গেলে এর জন্য আপনাকে জবাবদিহি দিতে হবেনা।

(০৪)
ঈমান ভংগের কারন জানার পরও ১ নাম্বার ও ২ নাম্বার প্রশ্নে উল্লেখিত কারনের কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...