আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
248 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (12 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম,
আমার কিছু প্রশ্ন আছে
পবিত্র কোরআন ও সহীহ হাদিস অনুযায়ী আমার প্রশ্নের উত্তর দিলে উপকৃত হব।
প্রশ্ন-১ঃ হাতির গোস্ত খাওয়া হালাল নাকি হারাম? 
প্রশ্ন-২ঃ আর ইসলামি শরীয়তে প্রাণিদের মধ্যে কি কি খাওয়া জায়েজ আছে?
প্রশ্ন-৩ঃ ঘোড়ার গোস্ত, তিমি মাছ, কাঁকড়া, গুইসাপ, সান্ডা ইত্যাদি খাওয়া হালাল নাকি হারাম?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعنهُ حَرَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعْنِي يَوْمَ خَيْبَرَ الْحُمُرَ الْإِنْسِيَّةَ وَلُحُومَ الْبِغَالِ وَكُلَّ ذِي نَابٍ مِنَ السِّبَاعِ وَكُلَّ ذِي مِخْلَبٍ مِنَ الطَّيْرِ.


উক্ত রাবী [জাবির (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বার যুদ্ধের দিন গৃহপালিত গাধা, খচ্চরের গোশত, প্রত্যেক (তীক্ষ্ণ) দাঁতওয়ালা হিংস্র জানোয়ার এবং পাঞ্জাবিশিষ্ট (শিকারি) পাখি খাওয়া হারাম করেছেন।
(তিরমিযী ১৪৭৮, মুসনাদে আহমাদ ১৪৪৬৩, মুসান্নাফ ইবনু আবূ শায়বাহ্ ৩৬৮৯৩, নাসায়ী ৪৩৪৮, ইরওয়া ২৪৮৮, ইবনু মাজাহ ৩২৩৪, আবূ দাঊদ ৩৮০৫, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ১৬৭৩।)

ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ كُلِّ ذِي نَابٍ مِنَ السِّبَاعِ وَكُلِّ ذِي مِخْلَبٍ مِنَ الطَّيْرِ.


’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে কোন তীক্ষ দাঁতবিশিষ্ট হিংস্র জানোয়ার এবং ধারালো পাঞ্জাবিশিষ্ট পাখি খেতে নিষেধ করেছেন।

(সহীহ মুসলিম (১৯৩৪)-১৬, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫২৮০, নাসায়ী ৪৩৪৮, ইবনু মাজাহ ৩২৩৪, দারিমী ১৯৮২, আবূ দাঊদ ৩৮০৫, ৩৮০৩, ৩৮০৮; আল মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ১২৮১৯, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৯৮৪০।)

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كُلُّ ذِي نَابٍ منَ السِّباعِ فأكلُه حرامٌ»

আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তীক্ষ্ণ দাঁতধারী যে কোন হিংস্র জন্তু খাওয়া হারাম। 
(সহীহ মুসলিম (১৯৩৩)-১৫, সুনান নাসায়ী ৪৩২৪, মুসনাদে আহমাদ ইবনু হাম্বাল ৭২২৩, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ৪৭৫, সহীহুল জামি‘ ৪৫২৫, ইবনু মাজাহ ৩২৩৩, ইরওয়া ২৪৮৬, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৯৮৩৭।)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
হাতির গোস্ত খাওয়া হারাম।

(০২)
অহিংস্র পশুর মধ্যে যেগুলোর সর্বাঙ্গ পাক, সেগুলো খাওয়া হালাল। যেমন—গৃহপালিত গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া, উট, দুম্বা। অনুরূপ বন্য পশুর মধ্যে বন্য গরু, হরিণ, খরগোশ, বন্য গাধা। আর যেগুলোর সর্বাঙ্গ নাপাক, তা খাওয়া হারাম। যেমন শূকর। কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনি তোমাদের ওপর হারাম করেছেন মৃত জন্তু, প্রবাহিত রক্ত, শূকরের গোশত।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৭৩)

আর গৃহপালিত গাধা ও সব ধরনের ঘোড়া খাওয়া মাকরুহ। এ ছাড়া হালাল প্রাণীর মধ্য থেকেও যেগুলো শুধু নাপাকি খেতে অভ্যস্ত, সেগুলো খাওয়াও মাকরুহ। (বাদায়েউস সানায়ে ৫/৩৫-৪১, আল মাওসুয়াতুল ফিকিহিয়্যাহ : ৫/১৩২-১৪৮)

(০৩)
ঘোড়া গোশত খাওয়া হারাম নয়,তবে যুদ্ধের বাহন হিসেবে তার গোশত খাওয়া মাকরুহ।

যুদ্ধের বাহন হিসেব কোনো এলাকায় ব্যবহার না হলেও সতর্কতা স্বরুপ না খাওয়াই ভালো। 
তবে প্রয়োজন বশত জবাই করা হলে তার গোশত খাওয়া যাবে।

বিস্তারিত জানুনঃ-

তিমি,কাঁকড়া, গুইসাপ, সান্ডা খাওয়া হারাম।

(তবে তিমি মাছের ক্ষেত্রে কিছু উলামায়ে কেরামদের মতবিরোধ রয়েছে।) 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...