ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعنهُ حَرَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعْنِي يَوْمَ خَيْبَرَ الْحُمُرَ الْإِنْسِيَّةَ وَلُحُومَ الْبِغَالِ وَكُلَّ ذِي نَابٍ مِنَ السِّبَاعِ وَكُلَّ ذِي مِخْلَبٍ مِنَ الطَّيْرِ.
উক্ত রাবী [জাবির (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বার যুদ্ধের দিন গৃহপালিত গাধা, খচ্চরের গোশত, প্রত্যেক (তীক্ষ্ণ) দাঁতওয়ালা হিংস্র জানোয়ার এবং পাঞ্জাবিশিষ্ট (শিকারি) পাখি খাওয়া হারাম করেছেন।
(তিরমিযী ১৪৭৮, মুসনাদে আহমাদ ১৪৪৬৩, মুসান্নাফ ইবনু আবূ শায়বাহ্ ৩৬৮৯৩, নাসায়ী ৪৩৪৮, ইরওয়া ২৪৮৮, ইবনু মাজাহ ৩২৩৪, আবূ দাঊদ ৩৮০৫, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ১৬৭৩।)
ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ كُلِّ ذِي نَابٍ مِنَ السِّبَاعِ وَكُلِّ ذِي مِخْلَبٍ مِنَ الطَّيْرِ.
’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে কোন তীক্ষ দাঁতবিশিষ্ট হিংস্র জানোয়ার এবং ধারালো পাঞ্জাবিশিষ্ট পাখি খেতে নিষেধ করেছেন।
(সহীহ মুসলিম (১৯৩৪)-১৬, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫২৮০, নাসায়ী ৪৩৪৮, ইবনু মাজাহ ৩২৩৪, দারিমী ১৯৮২, আবূ দাঊদ ৩৮০৫, ৩৮০৩, ৩৮০৮; আল মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ১২৮১৯, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৯৮৪০।)
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كُلُّ ذِي نَابٍ منَ السِّباعِ فأكلُه حرامٌ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তীক্ষ্ণ দাঁতধারী যে কোন হিংস্র জন্তু খাওয়া হারাম।
(সহীহ মুসলিম (১৯৩৩)-১৫, সুনান নাসায়ী ৪৩২৪, মুসনাদে আহমাদ ইবনু হাম্বাল ৭২২৩, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ৪৭৫, সহীহুল জামি‘ ৪৫২৫, ইবনু মাজাহ ৩২৩৩, ইরওয়া ২৪৮৬, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৯৮৩৭।)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
হাতির গোস্ত খাওয়া হারাম।
(০২)
অহিংস্র পশুর মধ্যে যেগুলোর সর্বাঙ্গ পাক, সেগুলো খাওয়া হালাল। যেমন—গৃহপালিত গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া, উট, দুম্বা। অনুরূপ বন্য পশুর মধ্যে বন্য গরু, হরিণ, খরগোশ, বন্য গাধা। আর যেগুলোর সর্বাঙ্গ নাপাক, তা খাওয়া হারাম। যেমন শূকর। কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনি তোমাদের ওপর হারাম করেছেন মৃত জন্তু, প্রবাহিত রক্ত, শূকরের গোশত।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৭৩)
আর গৃহপালিত গাধা ও সব ধরনের ঘোড়া খাওয়া মাকরুহ। এ ছাড়া হালাল প্রাণীর মধ্য থেকেও যেগুলো শুধু নাপাকি খেতে অভ্যস্ত, সেগুলো খাওয়াও মাকরুহ। (বাদায়েউস সানায়ে ৫/৩৫-৪১, আল মাওসুয়াতুল ফিকিহিয়্যাহ : ৫/১৩২-১৪৮)
(০৩)
ঘোড়া গোশত খাওয়া হারাম নয়,তবে যুদ্ধের বাহন হিসেবে তার গোশত খাওয়া মাকরুহ।
যুদ্ধের বাহন হিসেব কোনো এলাকায় ব্যবহার না হলেও সতর্কতা স্বরুপ না খাওয়াই ভালো।
তবে প্রয়োজন বশত জবাই করা হলে তার গোশত খাওয়া যাবে।
তিমি,কাঁকড়া, গুইসাপ, সান্ডা খাওয়া হারাম।
(তবে তিমি মাছের ক্ষেত্রে কিছু উলামায়ে কেরামদের মতবিরোধ রয়েছে।)