আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
200 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমি  কথা বলেছিলাম ফোন অন্য এক জনের সাথে। কিন্তু আমার স্বামি আমাকে জিজ্ঞেস করায় আমি আমার স্বামি কে মিথ্যা  বলেছিলাম যে আমি কার সাথে কথা বলিনি।প্রথমে  সে আমাকে বলে আল্লাহর নামে কসম করে বলতে আমি কথা বলিনি পরে সে আমাকে বলে কুরআন এর কসম করে বলতে যে আমি যদি কথা  না বলে থাকি,তাহলে যেন বলি কুরআন এর কসম আমি কথা বলিনি,যদি বলে থাকি তাহলে আল্লাহ যেন আমাকে জাহান্নামে দেয়।কিন্তু আমি কথা বলেছিলাম, শুধু তার সাথে সস্পক থাকবে না বলে।মনে মনে আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে আমি সেই কথা বলেছিলাম। (তখন সে আমার স্বামি ছিল না)।পরে ভুল বুজতে পেরে আল্লাহর কাছে মাফ চেয়েছি অনেক বার।এর পর আমার জানতে ইচ্ছে করে এর জন্য কোন কাফফারা দিতে হবে কিনা।এই গুনার জন্য আর কি করে আল্লাহর কাছে  মাফ চাইতে হবে

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যদি কুরআনে কারীমের দিকে ইশারা করা ব্যতীত কেউ বলে,কুরআনের শপথ অথবা কালামুল্লাহর শপথ অথবা কুরআনের দিকে ইশারা করে এভাবে বলে যে,তাতে যে আল্লাহর কালাম রয়েছে,তার শপথ, তাহলে তখন শরয়ী শপথ (কসম) হয়ে যাবে।যা ভঙ্গ করলে অবশ্যই কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে।(আহসানুল ফাতাওয়া-৫/৪৮৮)

কুরআন স্পর্শ করে কসম/শপথ করলে কি কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে?এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-  https://www.ifatwa.info/579

কসম বা শপথ তিন প্রকার যথাঃ-
(اليمين بالله ثلاثة أنواع) غموس، وهو الحلف على إثبات شيء، أو نفيه في الماضي، أو الحال يتعمد الكذب فيه فهذه اليمين يأثم فيها صاحبها، وعليه فيها الاستغفار، والتوبة دون الكفارة.
(১)গুমুস- অতীত বা বর্তমান কালে কোনো জিনিষকে প্রমাণিত করা বা না করার জন্য ইচ্ছা করে মিথ্যা কসম করা।এমন শপথকারী নিজে গোনাহগার হবে।তার উপর তাওবাহ ইস্তেগফার করা অত্যাবশ্যকীয়। তবে তার উপর কাফফারা আসবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3101

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মিথ্যা কসম করার জন্য গোনাহ হবে।এজন্য আল্লাহর কাছে খালিছ নিয়তে তাওবাহ করতে হবে। তবে এখানে কাফফারা দিতে হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...