ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যদি কুরআনে কারীমের দিকে ইশারা করা ব্যতীত কেউ বলে,কুরআনের শপথ অথবা কালামুল্লাহর শপথ অথবা কুরআনের দিকে ইশারা করে এভাবে বলে যে,তাতে যে আল্লাহর কালাম রয়েছে,তার শপথ, তাহলে তখন শরয়ী শপথ (কসম) হয়ে যাবে।যা ভঙ্গ করলে অবশ্যই কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে।(আহসানুল ফাতাওয়া-৫/৪৮৮)
কুরআন স্পর্শ করে কসম/শপথ করলে কি কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে?এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/579
কসম বা শপথ তিন প্রকার যথাঃ-
(اليمين بالله ثلاثة أنواع) غموس، وهو الحلف على إثبات شيء، أو نفيه في الماضي، أو الحال يتعمد الكذب فيه فهذه اليمين يأثم فيها صاحبها، وعليه فيها الاستغفار، والتوبة دون الكفارة.
(১)গুমুস- অতীত বা বর্তমান কালে কোনো জিনিষকে প্রমাণিত করা বা না করার জন্য ইচ্ছা করে মিথ্যা কসম করা।এমন শপথকারী নিজে গোনাহগার হবে।তার উপর তাওবাহ ইস্তেগফার করা অত্যাবশ্যকীয়। তবে তার উপর কাফফারা আসবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3101
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মিথ্যা কসম করার জন্য গোনাহ হবে।এজন্য আল্লাহর কাছে খালিছ নিয়তে তাওবাহ করতে হবে। তবে এখানে কাফফারা দিতে হবে না।