আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
181 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (10 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকা-তুহ
১. এক বোনের ফুফুদের প্রায় সবারই পরিবারে একজন সরকারি চাকুরীজীবি আরেকজন ব্যাংকার। এখন তাদের বাসায় কি খাওয়া, তাদের উপহার গ্রহণ করা কি উচিৎ হবে?
২. ওই বোনের নিজের বাবাও ব্যাংকার ছিলেন। ১৫ সালে রিটায়ার করেন। এখন পেনশন পান আর মা প্রাইমারির টিচার। এখন সে খাওয়া-পরার ক্ষেত্রে কি পদ্ধতি অবলম্বন করবে?
৩. তার কোনো ভাই নাই, বড় এক বোন আছে. এখন সে কি চাকরী করতে পারবে? ইসলামে কোন কোন চাকরীর অনুমতি আছে? বিসিএস দিতে পারবে কি?
৪. আমি যদি ছোটখাটো, অনলাইন গহনাপত্রের বিজনেস করি তা কি জায়েজ হবে? কারণ এগুলি পরে পরিধানকারীরা সাধারণত বেপর্দা হয়ে ঘুরে বেড়ায়। এতে কি আমার গুনাহ হবে?
৫. একটা ওয়েবসাইট বিভিন্ন লেখকদের গল্প (যা টাকা দিয়ে কিনতে হয়, ফ্রি না, এবং অন্য ভাষায় লেখা) কপি করে (অনুবাদ করে) পোস্ট করে। আমি যদি সেখান থেকে পড়ি তা কি গুনাহের কাজ হবে?

৬. গল্পের বইয়ের চরিত্রগুলি যদি ভিন্ন ধর্মের হয়, বা ধর্ম উল্লেখ না থাকে তাহলে সেটা পড়া কি ঠিক হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 

(০১)
আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ اللهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا طَيِّبًا، وَإِنَّ اللهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِينَ، فَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا، إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ} [المؤمنون: ٥١] وَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ} [البقرة: ١٧٢] ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ، يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ، يَا رَبِّ، يَا رَبِّ، وَمَطْعَمُهُ حَرَامٌ، وَمَشْرَبُهُ حَرَامٌ، وَمَلْبَسُهُ حَرَامٌ، وَغُذِيَ بِالْحَرَامِ، فَأَنَّى يُسْتَجَابُ لِذَلِكَ؟ "

 তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ তা'আলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ তা'আলা তার প্রেরিত রসূলদের যে হুকুম দিয়েছেন মুমিনদেরকেও সে হুকুম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “হে রসূলগণ! তোমরা পবিত্র ও হালাল জিনিস আহার কর এবং ভাল কাজ কর। আমি তোমাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে জ্ঞাত।" (সূরা আল মু'মিনূন ২৩ঃ ৫১)তিনি (আল্লাহ) আরো বলেছেন, “তোমরা যারা ঈমান এনেছো শোনা আমি তোমাদের যে সব পবিত্র জিনিস রিযক হিসেবে দিয়েছি তা খাও”— (সূরা আল বাকারাহ ২ঃ ১৭২)। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ সফর করে। ফলে সে ধুলি ধূসরিত রুক্ষ কেশধারী হয়ে পড়ে। অতঃপর সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, “হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পরিধেয় বস্ত্র হারাম এবং আহার্যও হারাম। কাজেই এমন ব্যক্তির দু'আ তিনি কী করে কবুল করতে পারেন?”(সহীহ মুসলিম-১০১৫)

★★প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই/বোন!
এক্ষেত্রে সরকারি চাকুরীজীবির টাকায় সেই বাসার বাজার,খাবার ক্রয় করা হলে তার বাসায় খাবার খাওয়া যাবে।
আর ব্যাংকারের টাকায় সেই বাসার বাজার,খাবার ক্রয় করা হলে তার বাসায় খাবার খাওয়া যাবেনা।

খেলে সমপরিমাণ টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে।

(০২)
শরীয়ত উপার্জন সক্ষম বালেগ পুরুষ এর উপর আরো অনেকের লালন পালনের দায়িত্ব দিয়েছে।যেমন, উপার্জন অক্ষম মাতা-পিতা, নাবালিগ ছেলে,মেয়ে,স্ত্রী সহ অনেকের ভরণপোষণের দায়িত্ব রয়েছে একজন পুরুষের উপর।
এখন অভিবাবকের সম্পদ হারাম হলে, সেই সম্পদ থেকে খরছ না করে নিজ মাল থেকে খরছ করাই উচিৎ,যদি নিজের সম্পদ থাকে।তবে বালেগ ছেলের উপর ওয়াজিব যে,তার সম্পদ না থাকলেও সে হালাল তরিক্বায় তার জীবিকা নির্বাহ করার চেষ্টা করবে।হ্যা উপার্জন অক্ষম ব্যক্তির জন্য অভিবাবকের  হারাম মাল থেকে তাওবাহ-ইস্তেগফারেরর সাথে প্রয়োজন পর্যন্ত খোরাকি গ্রহণ করা বৈধ রয়েছে।কেননা এই উপার্জন অক্ষম ব্যক্তিগণকে ভরণপোষণ করা তার একান্ত দায়িত্ব ছিলো।সুতরাং গোনাহ ঐ অভিবাবকের ই হবে।(বিস্তারিত জানতে দেখুন-ফাতাওয়ায়ে উসমানী-৩/১২৭)

★★প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত বোন তার ভরনপোষণ, প্রয়োজনীয় খরচ তার বাবার পেনশন হতে গ্রহন করতে পারবে। তবে যতটুকু প্রয়োজন, ঠিক ততটুকুই নিবে,বেশি নিবেনা।

আর মায়ের বেতন থেকে প্রয়োজন অতিরিক্ত খরচও নিতে পারবে।

আরো জানুনঃ

(০৩)
এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 

(০৪)
এটি জায়েজ আছে।
যারা এটি পড়ে বেপর্দা হয়ে গায়রে মাহরামদের সামনে যাবে,গুনাহ তাদের হবে।
আপনার নয়।

(০৫)
এভাবে কপি করে অনুবাদ করে প্রচার করার অনুমতি লেখক/প্রকাশকের পক্ষ থেকে থাকলে সেসব গল্প পড়া যাবে।

(০৬)
সেটি পড়া যাবে।
তবে ইসলামী আকীদা নষ্টকারী কিছু থাকলে সেই স্থান পড়বেননা।

আরো জানুনঃ- 

(০৭)
সেটাকে বীর্য ধরা হবেনা।
এক্ষেত্রে গোসল ফরজ হবেনা। 

লজ্জাস্থান ধুয়ে অযু করাই যথেষ্ট। 
কাপড়ে লাগলে কাপড়ের সেই স্থান পা করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...