মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
اَلَاۤ اِنَّہُمۡ یَثۡنُوۡنَ صُدُوۡرَہُمۡ لِیَسۡتَخۡفُوۡا مِنۡہُ ؕ اَلَا حِیۡنَ یَسۡتَغۡشُوۡنَ ثِیَابَہُمۡ ۙ یَعۡلَمُ مَا یُسِرُّوۡنَ وَ مَا یُعۡلِنُوۡنَ ۚ اِنَّہٗ عَلِیۡمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوۡرِ ﴿۵﴾
জেনে রাখ! নিশ্চয় তারা তার কাছে গোপন রাখার জন্য তাদের বক্ষ দ্বিভাঁজ করে। জেনে রাখ! তারা যখন নিজেদেরকে বস্ত্রে আচ্ছাদিত করে তখন তারা যা গোপন করে ও প্রকাশ করে, তিনি তা জানেন।অন্তরে যা আছে, নিশ্চয় তিনি তা সবিশেষ অবগত।
(সুরা হুদ ০৫)
یَعۡلَمُ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ یَعۡلَمُ مَا تُسِرُّوۡنَ وَ مَا تُعۡلِنُوۡنَ ؕ وَ اللّٰہُ عَلِیۡمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوۡرِ ﴿۴﴾
আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে সমস্তই তিনি জানেন এবং তিনি জানেন তোমরা যা গোপন কর ও তোমরা যা প্রকাশ কর। আর আল্লাহ অন্তরসমূহে যা কিছু আছে সে সম্পর্কে সম্যক জ্ঞানী।
(সুরা তাগাবুন ০৪)
অন্য আয়াতে আল্লাহ্ তা'আলা বলেনঃ “আমিই মানুষকে সৃষ্টি করেছি এবং তার প্রবৃত্তি তাকে যে কুমন্ত্রণা দেয় তা আমি জানি।” [সূরা কাফঃ ১৬]
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেনঃ “আর জেনে রাখ যে, তোমাদের অন্তরে যা গোপন আছে আল্লাহ তা জানেন সুতরাং তোমরা তাকে ভয় কর।” [সূরা আল-বাকারাহঃ ২৩৫]
অন্য আয়াতে বলেনঃ “তারপর আমি অবশ্যই জ্ঞানসহ তাদের কাছে তা ব্যক্ত করব, আর আমি তো অনুপস্থিত ছিলাম না।” [সূরা আল-আরাফঃ ৭]
আরও বলেনঃ “আপনি যে কোন অবস্থায় থাকেন এবং আপনি সে সম্পর্কে কুরআন থেকে যা তিলাওয়াত করেন এবং তোমরা যে কোনো কাজ কর, আমি তোমাদের পরিদর্শক—যখন তোমরা তাতে প্রবৃত্ত হও। আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর অণু পরিমাণও আপনার প্রতিপালকের দৃষ্টির বাইরে নয় এবং তার চেয়ে ক্ষুদ্রতর বা বৃহত্তর কিছুই নেই যা সুস্পষ্ট কিতাবে নেই।” [সূরা ইউনুসঃ ৬১]
সাইকোলজিস্টরা মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের অঙ্গিভঙ্গি ইত্যাদি দেখে অনেক সময় মনের বিষয় বলতে পারে।
কবিরাজরা জীনের সাহায্য নিয়ে বলতে পারে।
তবে এসবই কোনো না কোনো সাহায্যে।
আর বলতেও পারে খুবই অল্প,আর সেটিই ১০০% নিশ্চিত নয়,বরং সম্ভাবনা থেকেই বলে।