আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
218 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (9 points)
edited by

স্বামি যদি স্ত্রীকে ম্যসেজে বলে,,,"তোমার ভালো না লাগলে ডিভোর্স দিও"
"তোমার মন চাইলে ছাইড়া দিও"
এই বাক্য দ্বারা স্ত্রীকে ডিভোর্সের অধিকার দেওয়া হয়ে যাবে।
কিন্তু স্ত্রী যদি না জানে যে এভাবে বলায় অধিকার পায় তাহলে সে অধিকার পাবে না

মুফতি ইমদাদুল হুজুর বলেছেন,

তাকে ওসব কথা বলা হইলেও,কিন্তু স্ত্রী যদি না জানে বা মাসালা না জানে এভাবে তাহলে সে অধিকার পাবে না। তাকে জানাতে হবে যে সে অধিকার পাইছে না হলে অধিকার পাবে না।
তাকে আর জিজ্ঞেস করবেন না।সে যেহেতু জানে না, তাই তালাক হবে না।

একটা মেয়ে যদি তালাকের অধিকার পায় কিন্তু সে জানে না সে অধিকার পায়ছে বা মেয়েরা মুখে যাই বলুক তালাক হবে না এমনটা জানে।।।কিন্তু কেউ যদি না ই জানে যে এইভাবে বললে তালাক হয় তাহলে কি সে তালাকের উদ্দেশ্যে কথাটা বলতে পারে??এই ব্যাপারটা একটু যদি বলতেন???

হুজুর ইমদাদুল হক উত্তরে বলেছেন:

একটা মেয়ে যদি তালাকের অধিকার পায় কিন্তু সে জানে না সে অধিকার পায়ছে বা মেয়েরা মুখে যাই বলুক তালাক হবে না ।


মুফতি ওলি উল্লাহ হুজুরের কাছে প্রশ্ন:

উপরোক্ত আলোকে স্বামি যদি স্ত্রীকে ম্যসেজে বলে,,,"তোমার আমারে ভালো না লাগলে ডিভোর্স দিও বা দিয়া দেও"
"তোমার  আমারে মনে না চাইলে বা মনে না ধরলে ছাইড়া দিও"........

স্বামি নিয়ত ছাড়াই অজান্তে কথার তালে বলেছে এবং সেও জানতো না যে এগুলা বললে স্ত্রীকে অধিকার দেওয়া যায় এবং স্ত্রীও জানতো না।

স্ত্রী যদি তালাকের অধিকার পায় কিন্তু সে জানে না সে অধিকার পেয়েছে এবং সে মাসালাও জানতো না।
তাই স্ত্রী পরে মুখে যাই বলুক তাহলে কি ডিভোর্স হবে???


মুফতি ইমদাদুল হুজুর বলেছেন না জানার জন্য অধিকার পাবে না...
এখন হুজুর ওলি উল্লাহ হুজুরের কাছে জানতে চাই।

1 Answer

0 votes
by (564,060 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


https://ifatwa.info/36539/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

শরহে বিকায়াহ গ্রন্থে আছেঃ-

وفي إختياري لا تصح نية الثلاث. بل تبين ان قالت اخترت نفسي. او أختار نفسي.  .... ولو كرر اختاري ثلاثا فقالت اخترت اختيارة أو اخترت الأولي او الوسطي. أو الأخري يقع ثلاث بلا نية. ولو قالت طلقت نفسي او اخترت نفسي بتطليقة بانت بواحدة. 
সারমর্মঃ-
যদি স্বামী বলে "তুমি নিজেকে গ্রহন করো" তাহলে তিন তালাকের নিয়ত করা শুদ্ধ হবেনা। বরং স্ত্রী এক তালাকের সাথে বায়েনাহ হবে,যদি স্ত্রী প্রতিত্তরে বলে "আমি নিজেকে গ্রহন করেছি বা আমি নিজেকে গ্রহন করছি",,,, 

আর যদি স্বামী "তুমি নিজেকে গ্রহন করো" শব্দটি তিনবার পুনরাবৃত্তি করে,আর স্ত্রী উত্তরে  বলে, "আমি গ্রহন করেছি গ্রহন করার মতো" অথবা বললো আমি প্রথমটি বা মধ্যমটি বা শেষটি গ্রহন করেছি,তাহলে নিয়ত ব্যাতিত তিন তালাক পতিত হবে। 
.
আর যদি বলে যে "আমি আমার নিজেকে তালাক প্রদান করিলাম" 
অথবা বলে যে "আমি আমার নিজেকে এক তালাকের সাথে গ্রহন করিলাম,তাহলে সে এক তালাকে বায়েনাহ হয়ে যাবে।
(শরহে বিকায়াহ. মাকতাতুল ফাতাহ আরবি মতন ২/৮০)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
স্বামি যদি স্ত্রীকে ম্যসেজে বলে,,,"তোমার আমারে ভালো না লাগলে ডিভোর্স দিও বা দিয়া দেও"
"তোমার  আমারে মনে না চাইলে বা মনে না ধরলে ছাইড়া দিও"


এক্ষেত্রে সাথে সাথেই যদি স্ত্রী তালাক গ্রহন করে বা নিজেকে নিজে তালাক দেয়,বা নিজের নফসের উপর তালাক প্রদান করে,সেক্ষেত্রে তালাক পতিত হয়ে যাবে।

তবে সেই সময় সাথে সাথেই তালাক গ্রহন না করে পরবর্তীতে তালাক গ্রহন করলে তালাক হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...