জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শিশু বাচ্চার প্রস্রাবও অপবিত্র এবং তা কাপড়ে/গায়ে লাগলে পবিত্র করা ব্যতিত নামাজ আদায় শুদ্ধ হবে না।
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، أَنَّهَا قَالَتْ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ بِصَبِيٍّ، فَبَالَ عَلَى ثَوْبِهِ، فَدَعَا بِمَاءٍ فَأَتْبَعَهُ إِيَّاهُ
উম্মুল মু’মিনীন আয়শা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল ﷺ-এর কাছে একটি শিশুকে আনা হল। শিশুটি তাঁর কাপড়ে পেশাব করে দিল। তিনি পানি আনালেন এবং এর ওপর ঢেলে দিলেন। (সহীহ বুখারী ২২২)
অপর হাদিসে এসেছে,
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ أَنَّهُ مَرَّ بِقَبْرَيْنِ يُعَذَّبَانِ فَقَالَ ” إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ أَمَّا أَحَدُهُمَا فَكَانَ لاَ يَسْتَتِرُ مِنَ الْبَوْلِ
ইবনু আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী ﷺ এমন দু’টি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন যে কবর দু’টির বাসিন্দাদের আযাব দেওয়া হচ্ছিল। তখন তিনি বললেন, এদের দু’জনকে আযাব দেওয়া হচ্ছে অথচ তাদের এমন গুনাহর জন্য আযাব দেওয়া হচ্ছে না যা থেকে বিরত থাকা দুঃরূহ ছিল। তাদের একজন পেশাবের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করত না আর অপরজন চোগলখুরী করে বেড়াত। (সহীহ বুখারী ১২৭২)
অপর হাদিসে রাসূল ﷺ বলেছেন,
استنزهوا من البول فإن عامة عذاب القبر منه
পেশাব থেকে নিজেকে রক্ষা করো। অর্থাৎ পবিত্র থাকো। কেননা, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কবরের আজাব হবে, পেশাব থেকে ভালোভাবে পবিত্র না হওয়ার কারণে। (ইবন মাজাহ ৩৪৮ হাকিম ১/১৮৩ মুসনাদ আহমাদ ২/৩২৬)
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ভালোভাবে তিন বার ধৌত করতে হবে।
,
(০২)
শরীয়তের বিধান মতে গীবত করা কবীরা গোনাহ।
তাই এটি শোনাও হারাম। কারণ যে কাজ করা হারাম। সে কাজ করতে সহযোগিতা করাও হারাম।
আরো জানুনঃ
,
কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে,
إِنَّ السَّمْعَ وَالبَصَرَ وَالفُؤَادَ كُلُّ أُولَئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُولًا.
...নিশ্চয় কান, চোখ, হৃদয় এর প্রতিটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। সূরা বনী ইসরাঈল (১৭) : ৩৬
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত বস্তু গুলো শোনা নাজায়েজ।
,
যদি আপনি সেগুলোর দিকে ধ্যান না দেন,সেগুলো না শোনার চেষ্টা করেন,সেগুলো কানে আসলেও ঘৃণা করেন,তাহলে তাদের সাথে বাহিরে যাওয়া জায়েজ।
,
তবু বারবার তাদের সাথে ঘুরতে গেলে যেহেতু সেই আলোচনা গুলো কানে কানে আসতে আসতে কোনো না কোনো সময় সেটার দিকে আপনার লক্ষ্য যাবেই,সেটা আপনি শুনবেনই।
তাই প্রয়োজনের সময় তাদের সাথে যাওয়া জায়েজ।
সর্বদায় তাদের সাথে ঘুরতে যাওয়া জায়েজ হবেনা।