আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
216 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (91 points)
১. আমার বউ একটি ছবি আপলোড করে অনলাইন যাতে অন্ধকার ছিলো তা ও তার মুখের একটু অংশ দেখা যাচ্ছিলো। হাত ও কিছু দেখা যাচ্ছিলো, আমি এই ছবি সরাতে বললে সে বলে "একটু নাক দেখা যায়, এইটায় কি এমন হইবো?"  পরে বললো, আগে তো কইতায় মুখ খোলা থাকলে সমস্যা না, এখন দেখি কও মুখ ও লাগাইয়া রাখতাম, এরপর কইবা হাত মোজা লাগাও, এর পরে কইবায় ঘরে বন্দি ওই থাকো বাইরোনির দরকার নাই" তখন আমি বলি '" তুমি তো বাহিরে গেলে মুখ লাগিয়ে রাখো, তাই বলি মুখ ঢাকার কথা" পরে বলে " কি জন্য বলো তা তো বুঝিই বাল" (হয়তো বুঝাতে চাইছে, পর্দা নষ্ট না হওয়ার জন্য বা সব সময় মুখ ঢেকে রাখাতে চাই তাই ঢাকতে বলি)

এই কথোপকথনে কি তার ইমানে সমস্যা হবে?

২. একটা হিন্দি গান আছে এমন " তুজছে জুদা কার হো জায়েঙ্গে" এই গান যদি যদি কেও তার বউকে উদ্দেশ্য করে বলে " তুজছে জুদা কার হো" / "তুঝছে জুদা কার হো জায়েঙ্গে, তো তুজছে হো জায়েঙ্গে জুদা" এতে কি তালাকের নিয়ত থাকলে বা না থাকলে কি তালাক হতে পারে?

৩. বিয়ের পূর্বে বউকে (তখন অবৈধ সম্পর্ক ছিলো তার সাথে) একদিন বলি এমন করলে তোমাকে আদর করবো না, কথা বলবো না, তখন সে বলে " কথা না বললে ব্রেকাপ" " না মাতলে ব্রেকাপ" এর ফলে কি বিবাহের পরে সমস্যা হবে?

৪.বিয়ের পূর্বে একদিন বউকে নিয়ে একটি ডে দেই, কি লিখেছিলাম মনে নাই, ঝগঢা হয়েছিলো এমন কিছু মনে হয়, তখন এক বন্ধু রিপ্লে দিয়েছিলো, "শেষ? "আমি না কি বুঝেছিলাম জানিনা, আমি শেষ এর জবাবে" হ্যা" লিখে দিয়েছিলাম,  পরে সে জানতে চা সম্পর্ক শেষ কি না,  তখন বলি নাহ তো, আসলে সে শেষ বলতে সম্পর্ক শেষ কিনা জানতে চেয়েছিলো আমি না বুঝে হ্যা বলে ফেলেছিলাম এতে কি, বিবাহের পরে সমস্যা হবে?

৫. ৪নং এর একই ঘটনা বিয়ের পরে হলে কি সমস্যা হতো.?আমি উপরের প্রশ্ন লিখার সময় বিয়ের পূর্বে এটা প্রথমে লিখি নাই, পরে দেখে আবার লিখেছি এর ফলে কি সমস্যা হবে?

৬. আমার মনে হচ্ছে একদিন আমি আমার স্তি কে বলি, মেসেনজার থেকে আমার নিকনেম রিমুভ করলে ____.
আসলে কি বলেছিলাম মনে নাই, একবার মনে হচ্ছে জীবন থেকে নাম মুছে দিবো, বা কোনো কেনায়া বাক্য ও হতে পারে আসলে মনে পরছে না, তবে এতে তালাকের নিয়ত ছিলো বলে তো মনে হচ্ছে না এতে কি তালাক হবে? আর কি বলেছিলাম তা কি তালাশ জরুরী?

৭.কেও যদি তার বউ কে বলে তোমাকে আবার বিয়ে করবো এতে কি বিবাহে সমস্যা হবে?

৮.কারো স্ত্রী এর একাধিক ফেসবুক আইডি আছে, এখন সে যদি সেগুলোর একটায় ম্যাসেজ করে, মজা করে তার বউকে বলে, দেখো, আমার কতো টা বউ, কোনটা ছেড়ে কোনটার সাথে কথা বলি? বা বলে " কোনটা ছেড়ে কোনটাকে ধরবো" বা " ওই মেয়ে কেও না তুমিই সব"  এসব বলে ম্যাসেজ করে
(একই স্ত্রীর দুই আইডির দুই নামকে দুই বউ বলছে আরকি মজা করে) এর ফলে কি বিবহে সমস্যা হবে?

৯. আমার বউ এর অনেকগুলো আইডি, আমার মনে হচ্ছে আমি মজা করে এসব কিছু হয়তো বলেছিলাম, যাতে ছাড়া/ছেড়ে শব্দও থাকতে পারে হয়তো। কিন্তু আমি এসব এখন দেখতে পারবো না, আমি ওসওয়াসার কারণে সব ডিলেট করে দিয়েছি,  বউ এর কাছে আছে, সে দেখে দিবে বলে মনে হয় না, আমার তো পরিষ্কার মনে নাই?তার মোবাইল এনে এইসব তালাশ কি বাধ্যতামূলক?
১০. পরবর্তীতে নিজের মনে মনে পরিষ্কার কিছু মনে না পরলে, এইসব বিষয়ে ফতোয়া নেওয়া কি জরুরী? না কি সন্দেহ বউ এর মোবাইলে ম্যাসেজ গুলো থেকে খুজে বের করে দেখে ফতোয়া জানতে হবে? না কি আমার মনে নাই, ভেবে বাদ দিয়ে দিবো, কতো পুরাতন ঘটনা মনে হয়, ম্যাসেজ দেখতেও পারিনা, আর বউ ডিলেট ও করে না।

১১.কেও জিহার /ইলা /তালাক ইত্যাদি  বাক্য মনে মনে বলার সময়, মুখ দিয়ে কোনো কারনে উহ,বা হুম এরকম শব্দ বের হয়ে যায়, এতে কি তা সংঘটিত হয়ে যাবে?

১২. কোনো মানুষের মনের মাঝে যদি অযথাই মনে মনে তালাকের শর্তের লাইন চলে আসে, বা তালাকের লাইন(এমন কতা যা মুখে বললে তালা& হয়ে যায়) মনে চলে আসে,  তখন যদি মুখ জিহ্বা  অন্য কারণে নড়ে,  বা নড়লেও কোনো তালা* সংক্রান্ত শব্দ না বের হয় এতে কি তালা* হবে? মনে মনে আসা ওই সব শর্ত কি বিবেচ্য?

১৩. "ভালো থেকো" "আল্লাহ হাফেজ" এইসব কেও তালাকের নিয়তে বললে কি তালাক হবে?

১৪. জানলাম কেও যদি তার বউকে তালাকপ্রাপ্তা বলে ডাকে তবে, তা হয়ে যায়, এখন কেও যদি মজা করে তার বউকে এক্স বলে পরিচয় দেয় বা মজা করে এক্স ডাকে এতে কি তালাক হবে. (Ex- অর্থ সাবেক, তবে পূর্বের প্রমিক প্রেমিকা, বা পূর্বের স্বামী স্ত্রী ও বুঝায়)

1 Answer

0 votes
by (574,200 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
এই কথোপকথনে তার ঈমানে সমস্যা হবেনা।

(০২)
এতে তালাকের নিয়ত থাকলে বা না থাকলে তালাক হতে পারেনা।

(০৩)
বিবাহের পূর্বে সাধারণত তালাক পতিত হয়না। 
হ্যাঁ বিবাহের দিকে ঈঙ্গিত করে শর্তযুক্ত তালাক দিলে তালাক হবে। 
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ عَنْ جُوَيْبِرٍ عَنْ الضَّحَّاكِ عَنْ النَّزَّالِ بْنِ سَبْرَةَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا طَلَاقَ قَبْلَ النِّكَاحِ

‘আলী ইবনু আবূ ত্বলিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ বিবাহের পূর্বে তালাক নাই।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৪৯)

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ أَنْبَأَنَا عَامِرٌ الْأَحْوَلُ ح و حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَعِيلَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ جَمِيعًا عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا طَلَاقَ فِيمَا لَا تَمْلِكُ

‘আমর ইবনু শু‘আইব (রহ.) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তালাক দেয়ার অধিকার জন্মানোর আগে প্রদত্ত তালাক কার্যকর হয় না।

তিরমিযী ১১৮১, আবূ দাউদ ২১৯০, সহীহ, ইরওয়াহ ১৭৫১, ২০৬৯, সহীহ আবী দাউদ ১৯০০, ইবনে মাজাহ ২০৪৭ রাওদুন নাদীর ৫৭১, আত-তা'লীকু আলাত তানকীল ২/৬২।

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এর ফলে বিবাহের পরে সমস্যা হবেনা।

(০৪)
এতে বিবাহের পরে সমস্যা হবেনা।

(০৫)
এর ফলে সমস্যা হবেনা।

(০৬)
এতে তালাক হবেনা।
কি বলেছিলেন, তা তালাশ করা জরুরী নয়।

(০৭)
কেউ যদি তার বউ কে বলে তোমাকে আবার বিয়ে করবো, এতে বিবাহে সমস্যা হবেনা।

(০৮)
এর ফলে বিবাহে সমস্যা হবেনা।

(০৯)
তার মোবাইল এনে এইসব তালাশ বাধ্যতামূলক নয়।

(১০)
এক্ষেত্রে সেগুলো নিয়ে আর না ভাবার পরামর্শ থাকবে। 
নিশ্চিন্ত মনে সংসার করা যাওয়ার পরামর্শ থাকবে। 

(১১)
এতে তা সংঘটিত হয়ে যাবেনা।

(১২)
এতে তালাক হবেনা।মনে মনে আসা ওই সব শর্ত বিবেচ্য নয়।

(১৩)
এগুলো কেনায়া বাক্য নয়।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শুধু এতটুকু কথার দরুন তালাক হবেনা।

(১৪)
প্রশ্নের বিবরন মতে তালাক হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 194 views
...