ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
إِنَّ الَّذِينَ يُؤْذُونَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ لَعَنَهُمُ اللَّهُ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَأَعَدَّ لَهُمْ عَذَابًا مُهِينًا [٣٣:٥٧
যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাদের প্রতি ইহকালে ও পরকালে অভিসম্পাত করেন এবং তাদের জন্যে প্রস্তুত রেখেছেন অবমাননাকর শাস্তি। {সূরা আহযাব-৫৭}
হাদীস শরীফে এসেছে
من سب نبيًّا فاقتلوه ومن سب أصحابى فاضربوه
হযরত আলী রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি নবীকে গালি দেয়, তাকে হত্যা কর। আর যে সাহাবীকে গালি দেয়, তাকে প্রহার কর। {জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-২২৩৬৬, জমউল জাওয়ামে, হাদীস নং-৫০৯৭, দায়লামী, ৩/৫৪১, হাদীস নং-৫৬৮৮, আস সারেমুল মাসলূল-৯২}
আরো জানুনঃ
শাতিমে রাসূল কে হত্যা করা ওয়াজিব।শাতিমের রাসূল সাঃ এর অপরাধ মুরতাদের মত নাকি তারচেয়ে বেশী? মুরতাদের মত শাতিমের তাওবাহ কবুল হবে কি না?এ সম্পর্কে উলামাদের মতবিরোধ রয়েছে।ইমাম মালিক রাহ ও ইমাম আহমদ রাহ, বলেন,তাওবাহ কবুল হবে না।ইমাম আবু হানিফা রাহ ও ইমাম শা'ফেয়ী রাহ এর মতে মুরতাদের মত শাতিমের তাওবাহ ও কবুল হবে।
মুরতাদ সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে,
إن قتله إنسان قبل الاستتابة يكره له ذلك ولا شيء عليه لزوال عصمته بالردة
যদি ঘটনাক্রমে কেউ মুরতাদকে তওবা করার পূর্বেই হত্যা করে ফেলে, তাহলে কাজটি মাকরূহ হবে। তবে হত্যাকারীর উপর কোন কেসাস বা দিয়ত কিছুই ওয়াজিব হবে না।কেননা মুরতাদ হওয়ার দরুণ তার রক্ত মূল্যহীন হয়ে গেছে।{বাদায়ে সানায়ে-৭/১৩৪}
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি মুরতাদ হয়ে গিয়েছে।
তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
মুরতাদের সাথে কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবে না।হ্যা, নিজের উপর আত্মবিশ্বাস থাকলে, দাওয়াতের নিয়তে তার সাথে সম্পর্ক রাখা যাবে।
বাহ্যিক ব্যবহার ভালো দেখালেও, অন্তর হতে মুহাব্বত করা যাবেনা,অন্তর থেকে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক করা যাবেনা।
বিস্তারিত জানুনঃ-