ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লামা ইবনূল কাইয়ূম রাহ বলেনঃ
ﻳﺠﻮﺯ ﻛﺬﺏ ﺍﻹﻧﺴﺎﻥ ﻋﻠﻰ ﻧﻔﺴﻪ، ﻭﻋﻠﻰ ﻏﻴﺮﻩ ﺇﺫﺍ ﻟﻢ ﻳﺘﻀﻤﻦ ﺿﺮﺭ ﺫﻟﻚ ﺍﻟﻐﻴﺮ ﺇﺫﺍ ﻛﺎﻥ ﻳﺘﻮﺻﻞ ﺑﺎﻟﻜﺬﺏ ﺇﻟﻰ ﺣﻘﻪ،
একমাত্র মিথ্যার মাধ্যমে হক্ব(অধিকার রক্ষা)পর্যন্ত পৌছা নির্দিষ্ট হলে নিজের উপর বা অন্যর উপর মিথ্যা বলা জায়েয যখন এতে অন্যর কোনোপ্রকার ক্ষতি হয় হবে না।(যাদুল মা'আদ-২/১৪৫)
ইমাম বাগাবী রাহ লিখেন,
" ﻗﺎﻝ ﺃﺑﻮ ﺳﻠﻴﻤﺎﻥ ﺍﻟﺨﻄﺎﺑﻲ : ﻫﺬﻩ ﺃﻣﻮﺭ ﻗﺪ ﻳﻀﻄﺮ ﺍﻹﻧﺴﺎﻥ ﻓﻴﻬﺎ ﺇﻟﻰ ﺯﻳﺎﺩﺓ ﺍﻟﻘﻮﻝ ، ﻭﻣﺠﺎﻭﺯﺓ ﺍﻟﺼﺪﻕ ﻃﻠﺒﺎً ﻟﻠﺴﻼﻣﺔ ﻭﺭﻓﻌﺎً ﻟﻠﻀﺮﺭ ،ﻭﻗﺪ ﺭﺧﺺ ﻓﻲ ﺑﻌﺾ ﺍﻷﺣﻮﺍﻝ ﻓﻲ ﺍﻟﻴﺴﻴﺮ ﻣﻦ ﺍﻟﻔﺴﺎﺩ ، ﻟﻤﺎ ﻳﺆﻣﻞ ﻓﻴﻪ ﻣﻦ ﺍﻟﺼﻼﺡ ،
আবু সুলাইমান খাত্তাবী রাহ বলেছেনঃ
কিছু বিষয় এমন রয়েছে যেথায় অনেক সময়
ক্ষতি দূরকরণার্তে ও সুষ্ঠ সমাধান তলব করতে
মানুষ কিছু বাড়িয়ে ও সত্য-মিত্যার সংমিশ্রণে কথা বলতে বাধ্য হয়, ।এমন পরিস্থিতিতে ইসলাহের আশা কিছু বিষয়ে সামান্য বেশকম করে মিথ্যা বলা জায়েয আছে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কোনো নারী যদি বেদিন পরিবারে থেকে লুকিয়ে দীন পালন করে। এমন অবস্থায় যদি পরিবারের কাছে ধরা পড়ে যায় আর বিপদ থেকে বাচার জন্য যদি মিথ্যা কথা বলে তাহলে তার গুনাহ হবে না।কাফফারা আসবে না। কেননা না বললে তাকে দীন পালন করতে দিবে না। তবে সাধারণত মিথ্যা বলাতে না গিয়ে এমন ভাবে বুদ্ধি খাটিয়ে বলতে হবে যে, মা খুশি থাকেন এবং দ্বীন শিক্ষাও হয়ে যায়।