ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)যদি অনেকদিন আগে কেউ নাপাক কাপড়ের সাথে পাক কাপড় ধুয়ে ফেলে সে আগে পাক নাপাক জানতো না, এখন সে বুঝতে পেরেছে যে আগের অনেকদিনের কাপড় পাক হয়নি কিন্তু সে মনে করতে পারছে না যে, কোন কাপড়গুলো ধুয়ে ছিল। এতদিন সেই কাপড়গুলো আরও অনেকবার সাধারণ নিয়মে ধুয়া হয়েছে।
এখন সে ঘরের প্রত্যেকটা কাপড়কে ৩ বার করে ধৌত করে নিবে।
(২)যদি রশি/দড়ি নাপাক হয়, তাহলে সেই রশি দড়িকে পাকপবিত্র করে নিবে।
(৩)পাপোশকে যেহেতু নিংড়ানো যায় না ,তাই পাপোশকে শুধুমাত্র একবার ধৌত করে শুকিয়ে নেবে
(৪)বালিশ যদি নাপাক হয়, যেহেতু বালিশকে নিংড়ানো যায়না, তাই শুধুমাত্র একবার ধৌত করে শুকিয়ে নিবে।
(৫) যদি নাপাক শরীর নিয়ে ঝড়নায় গোসল করা হয়, তাহলে পানির ছিটা যদি দেয়ালে লাগে তাহলে দেয়াল নাপাক হবে না।হ্যা, শরীরে দৃশ্যমান কোনো নাপাকি থাকলে শরীর নাপাক হবে।
(৬) যদি পাক কাপড় পরিধান করে নাপাক কাপড় ধৌত করা হয়, আর সেই নাপাক কাপড়ের ছিটা যদি পরিধেয় পাক কাপড়ে পরে তাহলে পাক কাপড় নাপাক হবে।এজন্য সতর্কতার সাথে নাপাক কাপড়কে ধৌত করতে হবে।
(৭)যদি কেউ একটা বালতিতে পানি নিয়ে নাপাক ঘর মুছে তারপর সেই পানি ফেলে নতুন পানি নিয়ে অন্য ঘর মোছে কিন্তু সে বালতি ধোয়নি নাপাক ঘর মোছার পর এভাবে ঘর পাক হবে।
(৮)নাপাক শরীর নিয়ে বালতি দিয়ে গোসল করতে গেলে যদি সেই নাপাক শরীর থেকে বালতিতে পানি পড়ে, তাহলে বালতির পানি নাপাক হবে না।
(৯)যদি কেউ নাপাক খাবার খায় তাহলে গুনাহ হবে।
(১০) উমরি কাযার নামাযগুলো পড়লে দায়মুক্তি হতে পারে। ঐ ব্যক্তির উপর উপর আল্লাহ তা'আলা কর্তৃক যে ফরয ছিলো, সেই দায়িত্ব থেকে হয়তো মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।আল্লাহ চাইলে সওয়াব দিতে পারেন।
(১১)যদি কারো অনেক উমরি কাযা থাকে আর নতুন কিছু কাযা নামাযও থাকে, তাহলে সে সর্বপ্রথম অথবা সর্বশেষ কাযা নামায পড়তে পারবে।প্রথমে সর্বশেষ কাযা নামায পড়ে নেয়া উচিত।