আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
189 views
in পবিত্রতা (Purity) by (2 points)
edited by

১/যদি অনেকদিন আগে কেউ নাপাক কাপড়ের সাথে পাক কাপড় ধুয়ে ফেলে সে আগে পাক নাপাক জানতো না এখন সে বুঝতে পেরেছে যে আগের অনেকদিনের কাপড় পাক হয়নি কিন্তু সে মনে করতে পারছে না যে কোন কাপড়গুলো ধুয়ে ছিল। এতদিন সেই কাপড়গুলো আরও অনেকবার সাধারণ নিয়মে ধুয়া হয়েছে এখন সে কি করবে ঘরের প্রত্যেকটা কাপড় ৩ বার করে ধুয়া তো অনেক কষ্টকর। 
২/যদি রশি/দড়ি নাপাক হয় তাহলে তা কিভাবে পাক করবো? যদি কাপড়ের তৈরি দড়ি হয়?
৩/পাপোশ কিভাবে পাক করবো? কতগুলো  পাপোশ তো নিংড়ানো যায় না 
৪/বালিশ যদি নাপাক হয় তাহলে তা কিভাবে পাক করবো?ভিতরে তুলা আছে আর তা নিংড়ানোও যাবে না।সব তুলা ভিজে যাবে
৫/ যদি নাপাক শরীর নিয়ে ঝড়নায় গোসল করি তাহলে ছিটা পানি তো দেয়ালে লাগে সেই ছিটা পানিতর কারণে কি দেয়াল নাপাক হবে ? যদি দেয়াল নাপাক হয় তাহলে তো দেয়াল পাক করতে গেলে আবার গায়ে সেই দেয়ালের নাপাক পানি লাগবে।এখন কি করবো?
৬/ যদি পাক কাপড় পরে নাপাক কাপড় ধুই আর সেই নাপাক কাপড়ের ছিটা যদি পরিধেয় পাক কাপড়ে পরে তাহলে তো তা নাপাক হয় এখন সে পরিধেয় পাক কাপড়টা যে নাপাক হলো এখন পরিধেয় কাপড়টা ধুতে গেলে আবার সেটার ছিটা গায়ে যে কাপড়টা আছে  যেটায় পরে এভাবে তো চলতেই থাকবে এক্ষেত্রে কি করবো?  কিভাবে পাক করবো? কাপড় না পরে ধুব?
৭/যদি কেউ একটা বালতিতে পানি নিয়ে নাপাক ঘর মোছে তারপর সেই পানি ফেলে নতুন পানি নিয়ে অন্য ঘর মোছে কিন্তু সে বালতি ধোয়নি নাপাক ঘর মোছার পর এভাবে কি ঘর পাক হবে?কনেকদিন ধরেই এভাবে মুছতেছেন তিনি
৮/নাপাক শরীর নিয়ে বালতি দিয়ে গোসল করতে গেলে যদি সেই নাপাক শরীর থেকে বালতিতে পানি পড়ে তাহলে তা কি নাপাক হয়ে যাবে?  তাহলে নাপাক শরীর নিয়ে কিভাবে গোসল করবো?
৯/ উমরি কাযার নামাযগুলো পড়লে কি সওয়াব হবে?
১০/যদি কারো অনেক উমরি কাযা থাকে আর নতুন কিছু কাযা নামাযও থাকে এখন সে নতুন বা কয়েকদিন আগের হওয়া কাযা নামায পড়তে চাচ্ছে আগে সে কি পড়তে পারবে এভাবে? নিয়্যাত কি করবে?

১১/ ঘর মোছার মপ দিয়ে কিভাবে নাপাক ঘর পাক করবো?৩ বার মুছা লাগলে কি প্রত্যেক বার ভালো করে ধুয়ে তারপর ঘর মোছা লাগবে?আর প্রত্যেক রুমের জন্য ৩ বার ৩ বার করে নাকি একবার ধুয়ার পর সব রুম একবার মুছলাম তারপর আরো ২ বার একইভাবে ধুলে মুছলাম এভাবে?

১২/মপ দিয়ে প্রথমবার মুছার পর যখন ২য় বারের জন্য ধুতে যাব তখন কি ৩ বার নিংড়িয়ে ধুতে হবে আবার ৩য় বারও?

1 Answer

0 votes
by (597,870 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)যদি অনেকদিন আগে কেউ নাপাক কাপড়ের সাথে পাক কাপড় ধুয়ে ফেলে সে আগে পাক নাপাক জানতো না, এখন সে বুঝতে পেরেছে যে আগের অনেকদিনের কাপড় পাক হয়নি কিন্তু সে মনে করতে পারছে না যে, কোন কাপড়গুলো ধুয়ে ছিল। এতদিন সেই কাপড়গুলো আরও অনেকবার সাধারণ নিয়মে ধুয়া হয়েছে।
এখন সে ঘরের প্রত্যেকটা কাপড়কে ৩ বার করে ধৌত করে নিবে।

(২)যদি রশি/দড়ি নাপাক হয়, তাহলে সেই রশি দড়িকে পাকপবিত্র করে নিবে।

(৩)পাপোশকে যেহেতু নিংড়ানো যায় না ,তাই পাপোশকে শুধুমাত্র একবার ধৌত করে শুকিয়ে নেবে

(৪)বালিশ যদি নাপাক হয়, যেহেতু বালিশকে নিংড়ানো যায়না, তাই শুধুমাত্র একবার ধৌত করে শুকিয়ে নিবে।

(৫) যদি নাপাক শরীর নিয়ে ঝড়নায় গোসল করা হয়, তাহলে পানির ছিটা যদি দেয়ালে লাগে তাহলে দেয়াল নাপাক হবে না।হ্যা, শরীরে দৃশ্যমান কোনো নাপাকি থাকলে শরীর নাপাক হবে।

(৬) যদি পাক কাপড় পরিধান করে নাপাক কাপড় ধৌত করা হয়, আর সেই নাপাক কাপড়ের ছিটা যদি পরিধেয় পাক কাপড়ে পরে তাহলে পাক কাপড় নাপাক হবে।এজন্য সতর্কতার সাথে নাপাক কাপড়কে ধৌত করতে হবে।

(৭)যদি কেউ একটা বালতিতে পানি নিয়ে নাপাক ঘর মুছে তারপর সেই পানি ফেলে নতুন পানি নিয়ে অন্য ঘর মোছে কিন্তু সে বালতি ধোয়নি নাপাক ঘর মোছার পর এভাবে ঘর পাক হবে।

(৮)নাপাক শরীর নিয়ে বালতি দিয়ে গোসল করতে গেলে যদি সেই নাপাক শরীর থেকে বালতিতে পানি পড়ে, তাহলে বালতির পানি নাপাক হবে না।  

(৯)যদি কেউ নাপাক খাবার খায় তাহলে গুনাহ হবে। 

(১০) উমরি কাযার নামাযগুলো পড়লে দায়মুক্তি হতে পারে। ঐ ব্যক্তির উপর উপর আল্লাহ তা'আলা কর্তৃক যে ফরয ছিলো, সেই দায়িত্ব থেকে হয়তো মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।আল্লাহ চাইলে সওয়াব দিতে পারেন। 

(১১)যদি কারো অনেক উমরি কাযা থাকে আর নতুন কিছু কাযা নামাযও থাকে, তাহলে সে সর্বপ্রথম অথবা সর্বশেষ কাযা নামায পড়তে পারবে।প্রথমে সর্বশেষ কাযা নামায পড়ে নেয়া উচিত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,870 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 245 views
0 votes
1 answer 215 views
...