আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
213 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
edited by

আসসালমুআলাইকুম হুজুর,  

১. হুজুর আমার স্ত্রী আমাকে একটা কথা বলে মাঝে মধ্যে ঠাট্টা করে। আজকে ফোন স্ত্রী ওই কথাটা বলতে ই যাচ্ছিলো তখন আমার মনে মনে এমন হয়, ওই কথা বললে তালাক এমন মনে মনে হয়। দিয়ে আমি ভয় পেয়ে জাই স্ত্রী ওই কথাটা বলবে বলে । দিয়ে আমি স্ত্রী কে বললাম plz ওই কথাটা আর বলো না আমার খুব খারাপ লাগে । তাই বললাম মুখে উচ্চরণ করে ওই কথাটা বলিনি  ওই বলেই বুঝিয়েছি। বিষয় হলো আমার স্ত্রী যদি আমায় ওই কথা বলে মজা করে তাহলে কি তালাক হবে?  আমি কিন্তু সর্ত টা মুখে উচ্চরণ করিনি। এক্ষেত্রে কি তালাক হবে যদি স্ত্রী ওই কথাটা বলে!.
২.আসলে আমি টেবিল , বেঞ্চ এ  হাত দিয়ে  আওয়াজ দিয়ে বাজনা তুলতে পারি।তার মধ্যে হলো হিন্দুদের পূজোর সময় যে বাজনা বাজে সেইটাও পারি।  মাঝে মাঝে বাজনা তুলতাম।  স্কুলে বা টিউশন এ। এমনি নরমালি হাত দিয়ে বাজনা তুলতাম। কোনো উদ্দেশ্য না এমনি বাজাতাম।এখন মনে হচ্ছে আমি ভুল করেছি । আমি খুবই ওয়াসওয়াসা রুগী, দিয়ে আপনাদের কে প্রশ্ন করেছিলাম আপনাদের উত্তর ছিল ঈমান চলে যাবে না। হুজুর কালকে ভুল করে এমনি হাত দিয়ে শব্দ করছিলাম , হটাৎ মনে হলো , পূজো তে যে বাজনা বাজে সেই বাজনা হচ্ছে। হুজুর দিয়ে আমার খুবই ভয় হয়ে জাই আল্লাহ কসম না জেনে ভুল বসত হয়ে গিয়েছে। বেশি ক্ষন না ৫ থেকে ১০ সেকেন্ড হবে যখনই বুঝতে পারি তখনি বন্ধ করে দিয়েছি , হুজুর ভুল করে হয়ে গিয়েছে , আল্লাহ কসম, ভুল করে হয়েছে, আমি খেয়াল করিনি, একদম ভুল করে হয়েছে,  এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
৩. হুজুর আমার খুব ভয় আমার স্ত্রী হয়ত রেগে তালাকের কথা বলবে বলে খুব ভয় লাগে , তাই আমি আমার স্ত্রী কে কি এমন ভাবে বলতে পারি যে , জীবনে জাই হয়ে যাক না কেন ওই কথাটা মুখ দিয়ে উচ্চরণ করো না । এমন ভাবে বলতে পারি? অবশ্য একবার স্ত্রী কে বুঝিয়ে বলেছিলাম , আমি কি এই কথা বলতে পারি??? আর বলার জন্য কোনো সমস্যা হবে না তো?
৪. মনে মনে এমন হচ্ছে, একটা কথা মনে পড়ছে না , দিয়ে মনে মনে হচ্ছে যদি ওই কথা মনে পড়ে তাহলে তালাক, এই রকম মনে মনে হচ্ছে , হুজুর, দিয়ে ওই কথা মনে পড়লো তাহলে কি তালাক হবে? যা হয়েছে মনে মনে। 
৫. মনে মনে এমন হচ্ছে  যদি কোনো মেয়ের দিক এ তাকাই তাহলে তালাক, মনে মনে হচ্ছে দিয়ে হুজুর কোনো মেয়ের দিক তাকালাম তাহলে কি তালাক হবে? মনে মনে হচ্ছে।
৬. হুজুর মনে মনে এমন হচ্ছে যদি ifarawa তে প্রশ্ন করি তাহলে তালাক এবং মনে মনে এমন হচ্ছে যদি ifatawa থেকে উত্তর দেই তাহলে তালাক। সম্পূর্ণ মনে মনে হচ্ছে,হুজুর প্রয়োজন এ প্রশ্ন করলাম ও উত্তর দিলেন তাহলে কি তালাক হবে?
৭. মনে মনে নানারকমের সর্ত তালাকের চিন্তা মাথায় আসছে, আমার রাগ হয়ে জাই , দিয়ে মুখ দিয়ে উচ্চরণ করেছি " হোট"বলে নিজের কাজে মগ্ন হয়ে জাই। রাগ করে "হোট" কথা টা বলার জন্য কি যেটা মনে মনে ভাবনা হচ্ছিলো সেটা  সর্ত তালাক হবে? বা কোনো তালাক হবে?
৮. হুজুর কারো সাতে কথা বলছি , তখনি মনে মনে তালাক কথা টা হচ্ছে, আমি তো কথা বলছি একজনের সঙ্গে মনে মনে তখন তালাক কথা টা হচ্ছে, আমি কিছু কথাই বলে যাচ্ছি কিন্তু তালাক কথা টা উচ্চরণ করিনি। হুজুর কারো সাতে কথা বলছি মুখ ও জিহ্ববা নড়ছে , কথা বলছি সেই সময় তালাক কথা টা মনে হলে কি তালাক হবে? বা এটা কে কি উচ্চরণ বলা হবে? আমি কিন্তু অন্য কথা বলছিলাম আর তালাক টা মনে ।মনে হচ্ছিল এক্ষেত্রে কি তালাক হবে? বা উচ্চরণ হবে?
৯. হুজুর মনে মনে এমন হচ্ছে, যদি এটা হয় বা ওটা হয় তাহলে তালাক। হুজুর এটা সম্পূর্ণ মনে মনে হচ্ছে, দিয়ে যদি হুজুর সেটা হয়। বা ওটা হয় তাহলে কি তালাক হবে? মনে মনে হয়েছে মুখে উচ্চরণ করিনি।
১০. হুজুর আমি দাড়িয়ে পানি খেতে যাচ্ছি দিয়ে মনে হলো দাড়িয়ে পানি খেলে তালাক। দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে বসে পানি খেতে যাচ্ছি দিয়ে মনে হচ্ছে বসে পানি খেলে তালাক। মনে মনে এমন হলো দিয়ে আমি বসে পানি টা খেলাম। এর জন্য কি তালাক হবে? যা হয়েছে মনে মনে। মুখে উচ্চরণ করিনি 
১১. হুজুর আমার আলসি তে হাই উটতে যাচ্ছিলো , আমি হাই টাকে মুখের মধ্যে চেপে হাই তুলছি , যেনো তালাক কথা টা না উচ্চরণ হয়। মুখের মধ্যে চেপে হাই তুলতে গিয়ে মনে মনে তালাক কথা টা হয়ে জাই আর নাক দিয়ে বাতাস বেরোচ্ছিল আর সেই সময় তালাক কথা টা মনে হয়,  আমার ঠাণ্ডা লেগেছে তাই কানে, নাকে  কথা বাজছে তাই মনে হয়। আমি যখন নিশ্বাস ছাড়ছি তখন তালাক কথা টা মনে হয় আর বাতাসের তালে তালে  তালাক কথা টা মনে হয়, তার শব্দ তে মনে হলো উচ্চরণ হয়ে গেলো মনে হচ্ছে শুনতে পাচ্ছি, কিন্তু আসলে আমি উচ্চরণ ই করিনি। জিহ্ববা নড়েনি, ঠোঁট নড়েনি। মনে মনে ই হয়েছ এ এবার হাই তোলার জন্য মনে হচ্ছে উচ্চরণ হয়ে গেলো নাকি, হয়ত হালকা জিহ্ববা নড়েছে হাই তুলতে গিয়ে কিন্তু আমি মন থেকে স্পষ্ট ভাবে উচ্চরণ করিনি এক্ষেত্রে কি তালাক হবে?  আর এটাকে উচ্চরণ ধরা হবে?
১২. স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা কাটা কাটি হচ্ছিলো, দিয়ে ফোন রেখে দিয়েছি, দিয়ে মনে মনে আমার এমন মনে হচ্ছে স্ত্রী হয়ত রেগে তালাক ই বলছে। এই রকম মনে মনে ভাবনা হচ্ছে এর জন্য কি তালাক হবে?
১৩. হুজুর স্ত্রীর সঙ্গে একটু মন কষা কষি হয়। দিয়ে শয়তানের ওয়াসওয়াসা র জন্য মনে হচ্ছে এর পর যদি ঝামেলা হয় তাহলে তালাক। মনে মনে এমন হয়েছে মুখে উচ্চরণ করিনি। এর পর যদি স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা হয় তাহলে কি তালাক হবে?
১৪. মনে মনে এমন হলো আমি যদি স্ত্রী র কাছ থেকে  দুঃখ পেয়ে  চোখ দিয়ে জল পড়ে তাহলে তালাক  ,  হুজুর কোনো কারণে স্ত্রীর কাছ থেকে দুঃখ পেয়ে চোখ দিয়ে জল পড়ে তাহলে কি তালাক হবে , যা হয়েছে মনে মনে?

১৫. হুজুর মনে মনে এমন হচ্ছে স্ত্রী কে যদি অমুক কথা বলি তাহলে তালাক, এই রকম মনে মনে হচ্ছে, দিয়ে স্ত্রী কে সেই কথা বললাম তাহলে কি তালাক হবে?

১৫.১ আমার স্ত্রী আমাকে বলছে ওয়াসওয়াসা ব্যাক্তির তালাক হয় না । আমাকে তাই বলছে ,  এই কথার দরুন কি কিছু হবে?

১৫.২ হুজুর পর পর তিন শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়া হয়নি দুই শুক্র বার বাড়ির বাইরে ছিলাম। আর আজকে আলসির কারণ এ নামাজ পরা হয়নি তাহলে ঈমান চলে যাবে? 

১৬. হুজুর মুখের মধ্যে এমনি জিহ্ববা নড়েছে হালকা আর মনে মনে তালাক কথাটা হয়েছে , দিয়ে মনে হচ্ছে উচ্চরণ হয়ে গেলো। হুজুর যদি উচ্চরণ ও হয় আমার মুখ থেকে কোনো শব্দ বের হয়নি কারণ আমার ঠোট বন্দ ছিল মানে মুখ বন্ধ ছিল। যা হয়েছে মুখের মধ্যে , বাইরে ঠোঁট নড়েনি। বন্ধ অবস্থায় ছিল। এক্ষেত্রে কি উচ্চরণ হবে? বা তালাক হবে? Plz বলবেন।
 

1 Answer

0 votes
by (573,660 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


https://www.ifatwa.info/75876/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
শরীয়তের বিধান হলো, মুখে উচ্চারণ না করে শুধু মনে মনে তালাক দিলে বা মনে মনে শর্ত যুক্ত তালাক দিলে তাহা পতিত হবেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।

ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

অন্য এক হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

আরো জানুনঃ- 

তালাকের বা শর্ত যুক্ত তালাকের বাক্য বলার ক্ষেত্রে জিহবা ঠোঁট নাড়িয়ে এমন ভাবে উচ্চারণ করতে হবে,যাতে নিজ কান পর্যন্ত আওয়াজ আসে।

তালাক নিয়ে মনে মনে কথা বলার সময় তালাকের উদ্দেশ্যে কোন অঙ্গ যেমন হাত, মাথা, চোখ নাড়ালে তালাক হয়না।

অতি স্বল্প স্বরে হলেও নিজ কানে শুনতে হবে।

নিজ কানে না শুনলে জিহ্বা বা ঠোঁট নাড়িয়ে বললেও তালাক হবে না।

উল্লেখ্য, নিজ কানে আসার মতো উচ্চারণ সত্ত্বেও এখানে ফ্যানের আওয়াজ বা অন্য কোনো প্রতিবন্ধকতার কারনে নিজ কানে তালাকের আওয়াজ না আসলে সেক্ষেত্রে তালাক হবে।

★ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,

وأما حد القراءة فنقول تصحيح الحروف أمر لا بد منه فإن صحح الحروف بلسانه ولم يسمع نفسه لا يجوز وبه أخذ عامة المشايخ هكذا في المحيط وهو المختار. هكذا في السراجية وهو الصحيح. هكذا في النقاية 

নামাযের তেলাওয়াতের জন্য হরফ গুলি পরিস্কার ভাবে উচ্ছারিত হওয়া শর্ত। যদি হরফগুলি উচ্ছারিত হয়,তবে নিজে না শুনে তাহলে সেই তেলাওয়াত/কেরাত নামায বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য যথেষ্ট হবে না।এটাই সাধারণ মাশায়েখগণের সিদ্ধান্ত।(মুহিত)এবং এটাই পছন্দনীয় মত।এমনটাই সিরাজিয়্যাহ নামক কিতাবে বর্ণিত রয়েছে।এবং এটাই বিশুদ্ধতম মত।(নুকায়া) অর্থাৎ  নিজে শুনতে হবে,নতুবা নামায বিশুদ্ধ হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৬৯)

উচ্ছস্বরের সর্বনিম্ন পরিমাণ হল,এক কাতার পরের লোক কর্তৃক শ্রবণ করা।আর উচ্ছস্বরের সর্বোচ্ছ কোনো পরিমাণ নেই।তবে যাতে অন্যর কষ্ট না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
এবং নিম্নস্বরের সর্বনিম্ন পরিমাণ হল,জবান নাড়িয়ে হরফকে উচ্ছারণ করা।আর সর্বোচ্ছ পরিমাণ হল নিজ কর্ণ দ্বারা শ্রবণ করা বা পাশের জন কর্তৃক শ্রবণ করা।এরচেয়ে কম বেশ করা যাবে না।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 2570

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(১-১৫)
প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো ছুরতেই তালাক হবেনা।
আপনার বৈবাহিক সম্পর্ক আগের মতোই বহাল রয়েছে,আলহামদুলিল্লাহ। 

প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার ঈমানেরও কোনো সমস্যা হবেনা। 

১৫.১
এই কথার দরুন কিছু হবেনা
কোনো সমস্যা হবেনা। 

১৫.২
ইচ্ছাকৃত জুমা নামায ছেড়ে দেওয়া মারাত্মক গুনাহ। তার সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হুঁশিয়ারি বাক্য হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَبِيدَةَ بْنِ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي الْجَعْدِ يَعْنِي الضَّمْرِيَّ، وَكَانَتْ، لَهُ صُحْبَةٌ فِيمَا زَعَمَ مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ تَرَكَ الْجُمُعَةَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ تَهَاوُنًا بِهَا طَبَعَ اللَّهُ عَلَى قَلْبِهِ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَسَمُرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي الْجَعْدِ حَدِيثٌ حَسَنٌ . قَالَ وَسَأَلْتُ مُحَمَّدًا عَنِ اسْمِ أَبِي الْجَعْدِ الضَّمْرِيِّ فَلَمْ يَعْرِفِ اسْمَهُ وَقَالَ لاَ أَعْرِفُ لَهُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ هَذَا الْحَدِيثَ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَلاَ نَعْرِفُ هَذَا الْحَدِيثَ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو .

আবুল জা’দ আয-যমরী মুহাম্মাদ ইবনু ‘আমরের ধারণানুযায়ী তিনি একজন সাহাবী রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি নিছক অলসতা এবং গাফলতি করে পরপর তিন জুমা ছেড়ে দেয় আল্লাহ তা‘আলা তাঁর অন্তরে মোহর মেরে দেন।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৫০০

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা। 
তবে আপনি তওবা করবেন,এবং সেই জুম'আর নামাজ গুলির কাযা হিসেবে জোহর নামাজ আদায় করবেন।

ভবিষ্যতে কোনো দিন যেনো আর এমন না হয়,সেই ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবেন।

(১৬)
এক্ষেত্রে উচ্চরণ হবেনা। তালাকও হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...