জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো সফর অবস্থায় কোনো এক জায়গায় ১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত করলে কসর নামাজ পড়তে হবে।
এমনকি যদি পনের দিনের কম থাকার নিয়ত ছিলো,কিন্তু কাজ ঘটনাক্রমে কাজ শেষ না হওয়ার কারনে আরো কিছু দিন থাকতে হলো,(যেটার সে নিয়ত করছিলনা) এক্ষেত্রেও ব্যক্তি কসরের নামাজ আদায় করবে।
হাদীস শরীফে এসেছে
عن سعید بن جبیر قال: إذا أقمت أکثر من خمس عشرۃ فأتم الصلاۃ۔ (المصنف لابن أبي شیبۃ ۵؍۳۸۴ رقم: ۸۳۰۲)
হযরত সাঈদ বিন জুবায়ের রাঃ থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,যদি ১৫ দিনের বেশি থাকার নিয়ত করা হয়।
তাহলে নামাজ পূর্ণ করতে হবে।
وإن نوی الإقامۃ أقل من خمسۃ عشر یوماً قصر، ہکذا في الہدایۃ، ولو بقی في المصر سنین علی عزم أنہ إذا قضی حاجتہ و یخرج و لم ینو الإقامۃ خمسۃ عشر یوما قصر کذا في التہذیب۔ (ہندیہ ۱؍۱۳۹، بدائع الصنائع ۱؍۲۶۸ زکریا، الفتاویٰ التاتارخانیۃ ۲؍۵۲۵ رقم ۳۲۰۶ زکریا)
যদি ১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত করা হয়।
তাহলে নামাজ কসর করতে হবে।
এমনকি যদি কোন শহরে দুই বছর অবস্থান করে,এই নিয়তে যে কাজ শেষ হওয়া মাত্র চল যাবো,পনের দিন অবস্থানের নিয়ত না করে,তাহলেও ব্যক্তি কসরের নামাজই পড়বে।
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি কসরের নামাজ আদায় করবেন।
,
সফর অবস্থায় চার রাকাতবিশিষ্ট নামায দুই রাকাত করে পড়তে হবে। যথা জোহর আসর ও ইশার নামায চার রাকাতের বদলে দুই রাকাত পড়া হবে।
তবে মাগরিবের নামায ও বিতির নামায তিন রাকাত পূর্ণই পড়তে হবে।
,
★বিতর নামাজ ওয়াজিব,ফরজ নামাজের ন্যায় বিতর নামাজও অবশ্যই আদায় করতে হবে।
বাকি সুন্নত নামায সুযোগ থাকলে পড়া উত্তম। কষ্টকর হলে বা চলন্ত অবস্থায় হলে না পড়াতে কোন সমস্যা নেই।
আরো জানুনঃ