আসসালমুআলাইকুম হুজুর, বিশেষ অনুরোধ মনোযোগ দিয়ে একটু দেখবেন। ।
হুজুর আমি ৩ বছর আগে ধুম পান , মদ্যো পান , আরো কিছু নেশা জাতীয় জিনিস প্রচন্ড পরিমাণে সেবন করতাম, একদিন আমার মনে হলো আমি ভীষন ভুল করছি। দিয়ে আমি আল্লাহর কাছে তওবা করে, আল্লাহ কে কথা দিয়েছি আমি আর কোনো নেশা করবো না। হুজুর আল্লাহর হেদাআত এ আমি সমস্ত নেশা সেবন বন্ধ করে দিয়েছি। তিন বছর থেকে আমার যত কষ্টই হয়েছে কিনা আমি কোনো নেশা জাতীয় জিনিস সেবন করিনি। এখন আমি একদম সম্পূর্ণ নেশা মুক্ত জীবন কাটাচ্ছি আলহামদুিল্লাহ।
১. হুজুর বিষয় হলো, বাড়ির কাছে মেলা বসেছে তার ই উৎসব হচ্ছে, তো এক ব্যাক্তি তালের রস বিক্রি করছে, আমি গিয়েছি আর আমার কাকা গিয়েছে, দিয়ে আমি বলছি তালের রস দাও দিয়ে কাকা বলছে পাকা রস খাস না মাথা ঘুরাবে নেশা হবে, আমি বললাম দেখি খেয়ে মাথা ঘোরে বা কি হয় দেখি বলে আমি খেয়েছি। হুজুর আমার মাথা ঘোরে নি আমার কোনো নেশা ও হয়নি। তাহলে হুজুর আমি এত দিন ধরে নেশা না করে আছি আল্লাহ কে কথা দিয়ে। এই তালের রস খাবার জন্য কি আমার ওয়াদা ভঙ্গ হবে? খুব চিন্তায় আছি হুজুর ওয়াদা ভঙ্গ হবে? কোনো নেশায় হয়নি।
২. মনে মনে বিভিন্ন কথা মনে হচ্ছে , মনে হচ্ছে আমি যদি কোনো দিন নেশা করি তাহলে কাফের । এইসব মনে মনে হচ্ছে মুখে উচ্চরণ করিনি। এখন যদি আমি ভুল করে কোনো নেশা করি তাহলে কি আমার ঈমান চলে যাবে বা কাফের হয়ে যাবো?
৩. মনে মনে এমন হচ্ছে , আমি যদি কোনো মেয়ের সাতে সম্পর্ক করি তাহলে আমার স্ত্রী তালাক এমন মনে মনে হচ্ছে মুখে উচ্চরণ করিনি। আমি যদি কোনোদিন কোনো মেয়ের সাতে সম্পর্ক করি তাহলে কি আমার স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে? আমি মুখে উচ্চরণ করিনি মনে মনে হয়েছে।
৪. ifatwa তে একটা জায়গায় দেখলাম কেউ যদি বিশ্বাসের সঙ্গে নামাজ ছেড়ে দেই। তাহলে তার ঈমান চলে যাবে। তার পর থেকে শয়তানের ওয়াসওয়াসা তে মনে হচ্ছে আমি হয়ত বিশ্বাসের সঙ্গে নামাজ ছেড়ে দিচ্ছি আস্তাগিরুল্লাহ আমি হয়ত পাঁচ অক্তো নামাজ পড়া হয় না। যা পারি নামাজ তাই পড়ার চেষ্টা করি। হুজুর মনে মনে শয়তানের এমন ওয়াসওয়াসা হলে কি ঈমান চলে যাবে,?
৫. কোনো কিছু কথা বলতে যাচ্ছি তখনি মনে মনে এমন হচ্ছে এটা বললে তালাক , সঙ্গে সঙ্গে মুখ বন্ধ করে রাখছি। হুজুর আমি মুখে উচ্চরণ করিনি। যদি আমি সেই কথা বলি তাহলে কি তালাক হবে?
৬. কাউকে যদি রাগ এর বসে বা তার ব্যাবহারে নিমকহারাম বলা হয় তাহলে কি ঈমান চলে যাবে,? ভুল করে মুখ দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
৭. মনে মনে এমন হচ্ছে যদি স্ত্রী সহবাস করি তাহলে তালাক, আস্তাগফিরুল্লাহ, হুজুর আমি মুখে উচ্চরণ করিনি মনে মনে এমন হচ্ছে , আমি যদি স্ত্রী সহবাস করি তাহলে কি তালাক হবে?
৮. মনে মনে এমন মনে হচ্ছে স্ত্রীকে আদর করে কথা বললে তালাক, মনে মনে হচ্ছে মুখে উচ্চরণ করিনি। তাহলে কি আদর করে কথা বললে তালাক হবে,?
৯. হুজুর আপনাদের কে সব বললাম , এখন যদি সেই কাজ করা হয় বা বলা হয় তাহলে কি তালাক হবে? বা ঈমান চলে যাবে?
১০. মোবাইল এ একটা প্রশ্ন দেখছি , দিয়ে মনে মনে ভাবছি এইটার উত্তর এইটা হলে তালাক, মনে মনে ভাবছি মুখে উচ্চরণ করিনি। দিয়ে দেখছি যা ভাবছিলাম তাই উত্তর তাহলে কি তালাক হবে?
১১. মনে মনে ভাবছি স্ত্রী যদি অমুক কথা বলে তাহলে তালাক, মনে মনে হচ্ছে মুখে উচ্চরণ করিনি। দিয়ে ভয় হচ্ছে স্ত্রী যদি সেই কথা বলে বলে, দিয়ে স্ত্রী সেই কথা বললো তাহলে কি তালাক হবে? বা আমি সেই কথা বললাম তাহলে কি তালাক হবে? যা হয়েছে মনে মনে। মুখে উচ্চরণ করিনি
১২. মনে মনে এমন হচ্ছে স্ত্রী যদি এক্সাম দিতে জাই তাহলে তালাক, মুখে উচ্চরণ করিনি , মনে মনে হয়েছে, স্ত্রী এক্সাম দিতে গিয়েছে তাহলে কি তালাক হবে?
১৩. হুজুর আমি ভাত খাচ্ছিলাম , আমার মুখ ও জিহ্ববা দুটোই নড়ছিলো যেহেতু আমি ভাত খাচ্ছিলাম , জিহ্ববা মুখ নড়বে সাভাবিক। হটাৎ আমার খেতে খেতে মনে হলো স্ত্রী এক্সাম দিতে বাড়ি আসলে দেখতে যাবনা, দেখতে গেলে তালাক। এই রকম মনে মনে হলো, খাচ্ছিলাম তাই জিহ্ববা নড়ছিলো, আমি জিহ্ববা নড়িয়ে উচ্চরণ করিনি। মনে মনেই হয়েছে। আমি যদি আমার স্ত্রী কে দেখতে জাই তাহলে কি তালাক হবে? আর এইটা ত উচ্চরণ হবে না তাই না হুজুর,? আমি যদি স্ত্রী কে দেখতে জাই তাহলে কি তালাক হবে?
১৪. মনে মনে এমন হচ্ছে হস্ত মৈথুন করলে তালাক, যদি হস্ত মৈথুন করে ফেলি তাহলে কি তালাক হবে ? মনে মনে হয়েছে মুখে উচ্চরণ করিনি।
১৫. যখনই হাই তুলতে জাই, তালাক কথা উচ্চরণ হবে বলে বিসমিল্লাহ আল্লাহ বলি। বাথরুম এ হাই উটতে যাচ্ছিলো দিয়ে বিসমিল্লাহ আল্লাহ বলে ফেলেছি , অভ্যাস এর কারণে এমন হয়েছে এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
১৬. হুজুর মনে মনে এমন হচ্ছে , এবার যদি সর্ত তালাকের চিন্তা হয় তাহলে তালাক, হুজুর দিয়ে আমার সেই চিন্তা হলো তাহলে কি তালাক হবে? মনে মনে হয়েছে মুখে উচ্চরণ করিনি। তালাক হবে?
১৭. হুজুর আমার সমস্ত ঘটনা অনুযায়ী আমার বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে তো? কোনো তালাক হয়নি তো?