আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
342 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (23 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর,

অনেক আগে আমাদের স্বামী স্ত্রী মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এবং আমি আমার স্ত্রী কে বলেছিলাম, "তোমাকে তালাক দেওয়ার কোন ইচ্ছা নেই আমার, আমি তোমাকে তালাক দিব না। তুমি চাইলে তুমি বা তোমরা (তোমার পরিবারের লোকেরা) দিলে দিতে পারো। " তখন আমার স্ত্রী বলেছিল, "আমার বা আমাদের দেওয়ার দরকার নাই, তোমার দরকার হলে তুমি দিও"।  আমি আমার কথার পুনরাবৃত্তি করি এবং আমার স্ত্রীও তার কথার পুনরাবৃত্তি করে। তারপর আমি আবারো আমার কথার পুনরাবৃত্তি করেছি কিনা না মনে নেই।

তখন আমি তালাকের অধিকার এর বেপারে কিছুই জানতাম না। তালাকে অধিকারপ্রাপ্ত হলে মহিলারা নিজেকে তালাক দিতে পারে এটাও জানতাম না। সংসারে সমস্যা হলে পরিবারের সবার সাথে আলোচনা করে প্রয়োজন হলে আমাকে তালাক দিবে এইটা মাথায় রেখেই কথাটা বলেছিলাম স্ত্রীকে।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে।

১। এতেও কি আমার স্ত্রী তালাকের অধিকার প্রাপ্ত হয়েছে? (সে কিন্তু অসীকৃতি জানিয়েছিল)।  যদি হয়েও থাকে আমার এখন কি করনীয়?

২। মহিলারা যদি তালাক প্রাপ্ত হয়, তাহলে "আমি নিজেকে তালাক দিলাম" এই কথা ছাড়া অন্য কোন কথার দ্বারা কি তালাক পতিত করতে পারে?

৩। তালাকের অধিকারপ্রাপ্ত স্ত্রী যদি স্বামীকে না শুনিয়ে না স্বামীর অনুপস্থিতিতে তালাক নেয় তাহলে সেটি কি ঠিক হবে?

৪। এখন এতটাই ওসসায় ভুগতেছি, আগে যে কথাগুলি কিভাবে বলেছি সেইটা ভালভাবে বুঝার জন্যে এখনও গুনগুনিয়ে বলি, "তুমি চাইলে তালাক...(দিতে পার)." পুরো বাক্য (ব্রাকেটের অংশ) বলার আগেই থেমে যাই, কারণ তখন মাথায় আসে এগুলি বলায় যদি তালাক হয়ে যায়। অবশ্য এইটা বিবিকে উদ্দেশ্য করে বলি নি। আগের কথাগুলি কেমন ছিল সেইটা নিজে নিজে ভালো করে বুঝার জন্যে গুনগুনিয়ে বলেছি। পরে আবার থেমে যাই, এইবুঝি তালাক হয়ে গেল।
আমি প্রচুর ওসয়াসার মধ্যে আছি। আমি খুবই পেরেশান।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(وَأَمَّا) بَيَانُ صِفَةِ الْحُكْمِ الثَّابِتِ بِالتَّفْوِيضِ: فَمِنْ صِفَتِهِ أَنَّهُ غَيْرُ لَازِمٍ فِي حَقِّ الْمَرْأَةِ حَتَّى تَمْلِكَ رَدَّهُ صَرِيحًا أَوْ دَلَالَةً لِمَا ذَكَرْنَا أَنَّ جَعْلَ الْأَمْرِ بِيَدِهَا تَخْيِيرٌ لَهَا بَيْنَ أَنْ تَخْتَارَ نَفْسَهَا وَبَيْنَ أَنْ تَخْتَارَ زَوْجَهَا، وَالتَّخْيِيرُ يُنَافِي اللُّزُومَ وَمِنْ صِفَتِهِ أَنَّهُ إذَا خَرَجَ الْأَمْرُ مِنْ يَدِهَا لَا يَعُودُ الْأَمْرُ إلَى يَدِهَا بِذَلِكَ الْجَعْلِ أَبَدًا،
তাফবীযে তালাকের মাধ্যমে অর্জিত তালাকের অধিকার স্ত্রীর জন্য গ্রহণ করা অত্যাবশ্যকীয় নয়।এমনকি স্ত্রী প্রকাশ্যে বা ইশারায় সেই অধিকার কে ফিরিয়ে দেয়ারও ক্ষমতা রাখে। কেননা আমরা ইতিপূর্বে উল্লেখ করেছি যে, স্ত্রীর হাতে অর্পিত অধিকারটি তার ইচ্ছাধীন।স্ত্রী চাইলে সে তার অধিকার কে বাস্তবায়িত করতে পারে, আবার সে স্বামীকে গ্রহণ করেও নিতে পারে।সুতরাং ইচ্ছাগত বিষয় অত্যাবশ্যকীয় বিষয়ের সম্পূর্ণ বিরোধী।
এ হিসেবে বলা যায় যে,যখন স্ত্রী তার স্বামী কর্তৃত প্রদত্ত তালাকের অধিকারকে ফিরিয়ে দেবে তখন পূর্বে প্রদত্ত অধিকার দ্বারা স্ত্রী আর নিজের উপর তালাক প্রয়োগ করতে পারবে না।(বরং নতুন করে আবার স্বামী অধিকার দিলে স্ত্রী তালাকের মালিক বনবে।)
(বাদায়ে সানায়ে-৩/১১৭)

তালাকের অধিকার প্রদাণের মূহুর্ত সময়কালের কোনো উল্লেখ না থাকলে,
তালাকের অধিকার দেয়ার পর মজলিসের ভিতরে সেই অধিকারকে গ্রহণ করা যাবে এবং ফিরিয়েও দেয়া যাবে। মজলিস শেষ হওয়ার পর স্ত্রীর আর সেই অধিকার গ্রহণের সুযোগ থাকবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/67418

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

(১) আপনার স্ত্রী তালাকের অধিকার প্রাপ্ত হয়নি, কেননা সে মজলিসেই সেই অধিকারকে অগ্রাহ্য করেছে।

(২) মহিলারা যদি তালাক প্রাপ্ত হয়, তাহলে "আমি নিজেকে তালাক দিলাম" এই কথা ছাড়া অন্য এমন কথার দ্বারাও তালাক পতিত হতে পারে, যেগুলোতে তালাক পতিত হওয়া বুঝায়।

(৩)তালাকের অধিকারপ্রাপ্ত স্ত্রী যদি স্বামীকে না শুনিয়ে স্বামীর অনুপস্থিতিতে তালাক নেয়, তাহলে সেটিও কার্যকর হবে।
(৪) কোনো সমস্যা হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (23 points)
হুজুর ৪ নম্বর পয়েন্ট টা যদি বলতেন। কোন সমস্যা হবে কিনা
by (23 points)
edited by
হুযুর ৪ নম্বর পয়েন্ট এর উত্তরটি যদি বলতেন।  ৪ নম্বর পয়েন্ট এর বিষয়গুলো আমি মনে মনে বলছি বা চিন্তা করছি। কিন্তু বেশি পেরেশান হয়ে ছিলাম এর জন্যে মনে হয়েছিল হয়তো মুখেই গুনগুনিয়ে বলছি। কারণ আমার মাঝে মাঝেই এরকম হয় যে এগুলো বিষয় মাথায় চিন্তা আসে আর নিশ্বাস নেওয়ার সময় মনে হয় মুখে দিয়ে এরকম কিছু উচ্চারণ হলো কিনা। 
এতে কি কোন সমস্যা হবে?  কিংবা ৪ নম্বর পয়েন্ট এভাবে লিখার কারণে কোন সমস্যা হবে?
by (597,330 points)
কোনো সমস্যা হবে না। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...