আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
195 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (8 points)
১. আমি মেসে থাকি এবং সেখানে নানা বিষয়ে মাঝেমধ্যে আলোচনা করি। আলোচনায় ইসলামেরও বিভিন্ন বিষয় থাকে। আলোচনা চলাকালে একেকজন একেকরকম দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে। এটা আমার ওয়াসাওয়াসা কীনা জানিনা মাঝেমধ্যে আমার মনে হয় কোনো কথার কারণে এই বুঝি কারো ঈমান চলে গেছে এবং আমার তাকে জানানো উচিৎ। নাহলে সে ঈমানহারা হয়ে মারা গেলে তাকে না জানানোর জন্য আমার গুনাহ হবে। আমি তো আলেম না আর আমি জানিওনা কোন কথার কারণে কারো ঈমান গেছে কীনা। যেমন উদাহরণ হিসেবে বলি

ঘটনা ১ঃ আমি অনেকদিন আগে কোনো এক ঘটনার সময় ২ জন বড় ভাইয়ের সাথে ইসলামে ২য় বিবাহ করতে ১ম স্ত্রীর অনুমতি লাগেনা এই বিষয়ে কথা বলেছিলাম তখন তারা অনেকটা জোর দিয়ে বলে যে তারা এটা মানেনা। তারা মানে যে ১ম স্ত্রীর অনুমতি লাগে। তারা জেনে নাকি না জেনে বলেছিল আমি জানিনা। এখন আমার মনে হচ্ছে তারা জোর দিয়ে বলার কারনে যদি ঈমানহারা হয়ে যায় তার দায়ভার আমার উপর এসে পড়বে মানে হাশরের ময়দানে আমাকে ধরা হবে আমি কেন তাদের বলিনাই যে তারা ঈমানহারা হয়েছিল। এটা কেউ না মানলে সে কী ঈমানহারা হবে? আর কেউ যদি ঈমানহারা হয়েও যায় সেটা আমার তাদের জানানো বাধ্যতামূলক কীনা। কারণ দেখা যায় অনেকদিন আগের কথা এরপর অনেকের সাথে যোগাযোগ হয়না। হঠাৎ করে যদি মেসেজ বা কল দিয়ে বলি ভাই আপনার ঈমান চলে গেছিলো সেটা কেমন যেন দেখা যায়।

ঘটনা ২ঃ মেসে আমার দুই ছোট ভাই গান শুনতেছে তো আমি হঠাৎ এসে শুনে তাদের জিজ্ঞেস করি যে এই গানে কি বলছে তোরা জানিস? তখন একজন উত্তরে বলে যে "তোর মধ্যে আমি আল্লাহকে দেখতে পাই।" আমি নাউজুবিল্লাহ বলতে বলার পরেও সে নাউজুবিল্লাহ বলেনাই। তো এখন আমার উত্তর হিসেবে এটা বলার কারনে সে কী ঈমানহারা হবে? আরেক ছোট ভাই উত্তরে বলে গানের মধ্যে ওই কথা মেটাফোর হিসেবে বলছে তাই সেটা শুনতেছে এবং সে ওইভাবেই নিছে। আমি তাদেরকে সতর্ক করেছি। এখন তারা যদি না মানে সে দায় কি আমার উপর পড়বে? কারন আমি বারবার বললে হয়তো আমাকে নিয়ে হাসাহাসিও করতে পারে।

ঘটনা ৩ঃ আমার এক আত্নীয় যার সাথে আমার কথাবার্তা হয়না। সে বিদেশে থাকে। সে একটা ফাউন্ডেশন চালায়। তো আমার আরেক আত্নীয় যে বাংলাদেশে এটার দায়িত্বে আছে তার মাধ্যমে ফেসবুকে দেখি পোস্টারে লেখা "সেবক হিসেবে করিতে চাই সেবা, এটিই আমার কর্ম, কর্ম ছাড়া এ পৃথিবীতে নাই কোনো ধর্ম।" এই কথাটা ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক কীনা? আর যদি হয়েও তাকে তাদের জানানো আমার জন্য বাধ্যতামূলক কীনা?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
وَإِذَا رَأَيْتَ الَّذِينَ يَخُوضُونَ فِي آيَاتِنَا فَأَعْرِضْ عَنْهُمْ حَتَّىٰ يَخُوضُوا فِي حَدِيثٍ غَيْرِهِ ۚ وَإِمَّا يُنسِيَنَّكَ الشَّيْطَانُ فَلَا تَقْعُدْ بَعْدَ الذِّكْرَىٰ مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
যখন আপনি তাদেরকে দেখেন, যারা আমার আয়াত সমূহে ছিদ্রান্বেষণ করে, তখন তাদের কাছ থেকে সরে যান যে পর্যন্ত তারা অন্য কথায় প্রবৃত্ত না হয়, যদি শয়তান আপনাকে ভূলিয়ে দেয় তবে স্মরণ হওয়ার পর জালেমদের সাথে উপবেশন করবেন না।(সূরা আন'আম-৬৮)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কেউ ইসলাম বিদ্বেষী কোনো আলোচনায় লিপ্ত হলে, সেই আলোচনায় শরীক হওয়া যাবে না।এবং কেউ অজ্ঞতাবশত ইসলামের কোনো বিধি-বিধান সম্পর্কে নেতিবাচক আলোচনায় শুরু করলে, তাকে বুঝানো সম্ভব হলে তাকে বুঝাতে হবে।নতুবা তার সাথে আলোচনাকে পরিত্যাগ করতে হবে। কারো কোনো আলচনায় তার ঈমান চলে যাচ্ছে, এজন্য আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হবে না। হ্যা, আপনার দায়িত্ব হল, তর্কবিতর্ককে পরিত্যাগ করে, হেকমতের সাথে দ্বীনের দাওয়াত প্রদাণ করা।

(১)
দ্বিতীয় বিয়ে করতে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি লাগবে না।এটাই শরীয়তের বিধান।

(২)
এটা শুনার কারণে তাদের গোনাহ হবে। তাদের ঈমান নষ্ট হবে না। এজন্য আপনি দায়ী হবেন না।

(৩)
"সেবক হিসেবে করিতে চাই সেবা, এটিই আমার কর্ম, কর্ম ছাড়া এ পৃথিবীতে নাই কোনো ধর্ম।"

এখানে তো ইসলাম বিরোধী কিছু দেখছি না।তাছাড়া ইসলাম বিরোধী হলেও আপনি যদি তাদেরকে না জানান, এতকরে আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না। হেকমতের সাথে নসিহত করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...