ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
কোনো মুসলমানের অগোচরে তার এমন বিষয় নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করা, যা শুনলে সে তা অপছন্দ করবে।এটা গীবত। গীবতের ব্যখ্যা সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1715
হযরত মু'আবিয়া ইবনে হাইদাহ রাযি থেকে বর্ণিত,
معاوية بن حيدة رضي الله عنه ، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ( أَتَرعُونَ عَنْ ذِكْرِ الْفَاجِرِ ! اذْكُرُوهُ بِمَا فِيهِ كَي يَعْرِفَهُ النَّاسُ وَيَحْذَرَهُ النَّاسُ ).
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,তোমরা কি ফাসিকের সমালোচনা থেকে বিরত থাকবে?বরং তোমরা ফাসিকের কৃত অপরাধ নিয়ে সমালোচনা করো,যাতেকরে লোকজন সেই অপরাধ থেকে বিরত থাকে।আস-(সুনানুল কুবরা-বায়হাক্বী-১০/২১০) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/2114
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কোনো শাসক যদি প্রকাশ্যে ফিসক ও গোনাহের মধ্যে লিপ্ত থাকে, তাহলে ঐ শাসকের সমালোচনা করা যাবে।তবে শাসক পর্যায়ের কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রুশের দরুণ বা রাজনৈতিকভাবে হেনস্থা করার নিয়তে তিলকে তাল বানিয়ে উপস্থাপন করা যাবে না।এটা সর্বদাই অনুচিৎ ও নীতি বহির্ভূত কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে।যার অনুমোদন শরীয়তে নাই।
(১) ইউটিউব চ্যানেলে খুলে রাজনৈতিক বা এডসেন্সের জন্য অনবরত কারো সমালোচনা করা জায়েয হবে না।বাড়ানে কমারো ব্যতিত শুধুমাত্র বাস্তব চিত্র তুলে ধরা যেতে পারে।
(২)নিয়মিত এই ধরণের সমালোচনা শুনা জায়েয হবে না। হোক সেটা এনালাইসিস বা ব্যক্তিগত কারণে।
(৩) হিকমাহর সাথে দুনিয়া ও আখেরাত লাভক্ষতি দেখিয়ে, কাউকে ফিরানোর চেষ্টা করতে হবে।