আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
139 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (7 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম।
উস্তাদ!
আমাদের ফাউন্ডেশন থেকে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে অসহায় গরীব ও এতিমদের মাঝে কুরবানির মাংশ বিতরণের উদ্দেশ্যে কুরবানির প্রজেক্ট হাতে নেয়া হয়েছে।
এখন,ফাউন্ডেশন  থেকে চাচ্ছে অনুদানের টাকায় কাউকে পশুর মালিক বানিয়ে তার পক্ষে থেকে কুরবানি দিতে,তবে পশুর মালিক যাকে বানানো হবে সে জানবে না। এভাবে কি কুরবানী করা যাবে? এই পদ্ধতি অবলম্বনের কারণ হচ্ছে সম্পূর্ণ মাংশ বিতরণ করার উদ্দেশ্য।

جَزَاكَ ٱللَّٰهُ خَيْرًا
closed

1 Answer

+1 vote
by (574,050 points)
selected by
 
Best answer
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ وَجَدَ سَعَةً فَلَمْ يُضَحِّ فَلَا يَقْرَبَنَّ مُصَلَّانَا

আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কুরবানী করে না, সে যেন অবশ্যই আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়। (মুসনাদ আহমাদ ৮২৭৩, ইবনে মাজাহ ৩১২৩, হাকেম ৭৫৬৫-৭৫৬৬)

শরীয়তের বিধান হলো,প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, যে ১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব। টাকা-পয়সা, সোনা-রূপা, অলঙ্কার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না এমন জমি, প্রয়োজন অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র কুরবানীর নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য।

আর নিসাব হল স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি, রূপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি, টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্ত্তর ক্ষেত্রে নিসাব হল এর মূল্য সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হওয়া। 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কাহারো উপর কুরবানী ওয়াজিব হলে কেহ যদি তা পক্ষ থেকে তাহা আদায় করে দিতে চায়,সেক্ষেত্রে তা অনুমতি লাগবে।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনারা যাকে পশুর মালিক বানিয়ে তার পক্ষ থেকে কুরবানী দিতে চাচ্ছেন,এক্ষেত্রে তার উপর আগে থেকেই কুরবানী ওয়াজিব হয়ে থাকলে অর্থৎ সে যদি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হয়,সেক্ষেত্রে তার থেকে অনুমতি নিতে হবে।
অন্যথায় তার কুরবানী আদায় হবেনা।

হ্যাঁ যদি উক্ত ব্যাক্তির উপর কুরবানী ওয়াজিব নেই,এমনিতেই আপনার তার পক্ষ থেকে নফল কুরবানী এভাবে আদায় করতে চাচ্ছেন,সেক্ষেত্রে এর অনুমতি রয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 158 views
0 votes
1 answer 137 views
...