আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
330 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (10 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। আপনারা অনেক সাহায্য করেছেন এই পরজন্ত।একটা মাসালা নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। এই পেজ এ প্রশ্ন করাই ওলি উল্লাহ হুজুর একভাবে বলছেন আবার আপনাকে জিজ্ঞেস করাই মাসালা অন্য ভাবে আসছে।এই জন্য আমি সাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছি না।আমাকে সঠিক মাসালা দিয়ে সাহায্য করুন।আমি এমনেই ওয়াস ওয়াসা গ্রস্ত। এই মাসালায় দিমত আসাই আমার চিন্তা দূর হচ্ছে না। মনে হইলে দম বন্ধ হয়ে আসে।

১।।হাসবেন্ড  কে ছাইড়া দেওয়ার কথা বলাই  সে যদি বলে মন চাইলে তুমি দেওগা বা দিও।  বা ইচ্ছে হইলে বা ভালো না লাগলে তুমি ছাইড়া দিও। এখানে আপনি বলেছিলেন হাসবেন্ড এর নিয়ত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে। হাসবেন্ড কে আবার জিজ্ঞেস করাই সে বলছে আল্লাহর কসম আমি অধিকার দেওয়া বুজতাম না।এভাবে বললে যে অধিকার দেওয়া বুজাই আমি জানি না।আর বউ ও জানত না এই অধিকার দেওয়ার মাসালা।এখন তার অইসব কথা দিয়া মজলিস এর ভিতরে বাইরে ২ টাই বুজাই।কিন্তু সময় নির্দিষ্ট না।আর সে জানত ২,৩ দিনের মধ্যে সব ঠিক হবে.....এখন হইত রাগ কইরা বলতেছি।আমি তাকে  ছাইড়া  দিব না এটা ভাবসে সেও দিবে না তাই অইভাবে বলছে।আর আমি যখন ছাইড়া দেওয়ার কথা বলছি তখন বর্তমান ভবিষ্যত সব বুজাইছি(  বউয়ের নিয়ত মুুুখ্য বিষয় না)।আর হাসবেন্ড  এর অইসব কথা যদি ভবিষ্যৎ নিরদেশ করে কিন্তু অন্তরে যদি অধিকার দিলাম ভবিষ্যতে দিতে পারবে নিয়ত না করে তাহলে কি সাময়িক অধিকার দেওয়া বুজাবে  হুজুর। সে বলছে এগুলা তার পাশ কাটানো কথাছিল। আপনাকে অনেক বার জিগ্যেস করাই আপনি প্ররতি  বার বলেছেন এতে সাময়িক অধিকার দেওয়া বুজাবে। কিন্তু ওলি উল্লাহ হুজুর বলেছিলেন মজলিস এর বাইরে অধিকার দেওয়া বুজাবে। হাসবেন্ড ত এখানে...যখন  শব্দ বলে নাই।ওনি বলেন যে..এখানে নাকি অই শব্দ গুলা দারা বুজাই যখন মন চাবে.. তখন দিতে পারবে।হাসবেন্ড ত যখন বলে নাই।তালাকের ক্ষেএে মুখে না বললে ত সমস্যা নাই মনে মনে যাই বুলুক।মুুুুখে কোন শব্দ উচ্চচারন করছে এটাই আসল।আর  অই রকম  নিয়তে বলে নাই।আপনি একটা সমাধান দিন হুজুর।আমি কি সাময়িক অধিকার ধইরা নিব।মাসালাই দিমত নিয়া সংসার করলে কি গুনাহগার হব।  এই বিষয় নিয়া আর বিরক্ত করব না। খুব চিন্তা হচ্ছে।

ক।সাময়িক অধিকার দেওয়ার পর সাথে সাথে তালাক দেওয়ার মত কিছু না বলে জগরা করতে থাকলে তারপর যদি বলে তাইলে কি মজলিস থাকবে নাকি থাকবে না।যেমন একটা উদাহরণ দেয় হাসবেন্ড বলল তুমি ছাইড়া দিও। তখন বউ বল্লো আমি কেন ছারব।তুমার সমস্যা তুমি ছারবা।আমি কি তুমার মত এসব করি।তুমার একটা দিয়া হই না।এই বিষয় ধরেন আরও কিছু বল্ল কান্না কাটি ত আছেই ই।তারপর যদি বলে তখন কি মজলিস থাকবে।গত কাল কের উত্তরেে বলছিলেন. থাাকবে না।....তখন না বইলা এর মধ্যে কথা হলে মজলিস থাকবে না।সিওর হওয়ার জন্য জিজ্ঞেস করা।

খ।সাময়িক অধিকার পাওয়ার পর বউ যদি বলে তুমাকে না আগেই বলছি  কত বার বলছি এসব করলে আমি তুমার কাছে থাকব না।((বিয়ের আগেও বলা হইছে পরেও)তাইলে কি আগের বলা কথা মনে করিয়া দেওয়াতে অই সময় কি নতুন করে শর্ত তালাক দেওয়া হবে।??আর আগে যখন  বলছে তখন জদি অধিকার না থাকে তাহলে এর মাসালা কি

গ।এই কাজ করলে তুমার কাছে থাকব না বললে হাসবেন্ড জদি সেই কাজ করে তাইলে কি তালাক হবে?এখানে বউ ত মেয়েদের যেভাবে বলতে হই সেই নিয়তে বলে নাই।আর হাসবেন্ড কে ছাইড়া জাই নাই।আর অই কথা ত ভবিষ্যৎ বাচক।

ঘ।হাসবেন্ড যদি বলে তুমি এইটা করলে সম্পর্ক থাকবে না বা রাখব না।বউ যাতে সেই কাজ না করে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্য বল.... তালাক হইয়া যাবে এই নিয়তে না বলে তাইলে কি বউ সেই কাজ করলে তালাক হবে?হাসবেনড এগুুুলা বলছে তা বলা হই নাই।জানার জন্য জিজ্ঞেস করা।

 ঙ। একের অধিক বার অধিকার দেওয়ার মত বলছে এমন টা  মনে হলে কিন্তু কত বার বলছে তা মনে না আসলে কই বার ধরে নিব।একবার ধরতে বলছিল হইত।

২।গত কালকের প্রশ্ন এ বলছেন ৩এর অধিক  কাজায়ান তালাক হলে দিয়ানাতান তালাক না হলে সংসার করা যাবে।আমার যেহেতু ওয়াস ওয়াসা সমস্যা আমার সন্দেহ হচ্ছে যে টাইপ ভুল হইল কিনা।নাকি সত্যি সংসার করা যাবে।সন্দেহ দূর করার জন্য একটু বইলেন হুজুর।

৩।আগে জদি নেগেটিভ কিছু হইয়া থাকে কিন্তু এখন জদি তা মনে করতে না পারি তাইলে কি সমস্যা হবে। সে সময় কিছু হইয়া থাকলে এখন জদি হুবুহু কি কথা হইছে হাসবেন্ড বউ মনে করতে না পারে তাইলে কি সংসার করলে গুনাহ হবে।যেহেতু ভুইলা গেলে কিছু হই নাই এম্ন টা দরতে হই।

৪।কোন  বিষয় যদি বউয়ের একভাবে মনে আসে আর হাসবেন্ড  এর আরেকভাবে মনে আসে তাইলে কোন  গ্রহণ যোগ্য। বউয়ের টা জদি নেগেটিভ হই আর হাসবেন্ড  এর টা যদি পজিটিভ হয়।তাহলে কি করনি।। বউয়ের যদি হালকা হালকা মনে আসে সিওর হউয়ার জন্য হাসবেন্ড কে জিজ্ঞেস করলে সে জিদি বলে মনে নাই তাহলে সেই টা পরিতাগ করতে হবে তাইনা।আর এভাবে ত তালাক হবে না
by (10 points)
১নং প্রশ্নের উত্তর ওলি উল্লাহ হুজুর সংশোধন করে দিয়েছেন। বলেছেন সাময়িক অধিকার দেওয়াই বুযাবে।আলহামদুলিল্লাহ আর কোন সন্দেহ নাই হুজুর।আপনি পারলে বাকি গুলা উত্তর দিয়েন 

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

 তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি ওয়াসওয়াসার রোগী, ওয়াসওয়াসা রোগীদের তালাক হয় না। স্বামী ওয়াসওয়াসাগ্রস্ত হোক বা স্ত্রী ওয়াসওয়াসাগ্রস্ত হোক। তালাক হবে না।ওয়াসওয়াসা গ্রস্ত স্ত্রীদের মনের তালাকের যতপ্রকার কল্পনা জল্পনা আসবে, কোনোটা দ্বারাই তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...