আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
323 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (76 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম শায়েখ।সন্দেহ নিয়ে প্রশ্নটা করলাম জানার জন্য।শায়েখ একটু  উত্তর দিয়েন কস্ট করে।

**কোন স্বামি স্ত্রীকে যদি বলে এরকম কর, এইভাবে সাজ,ওইটা পড়।স্ত্রী ও চেস্টা করে।তবু মন মত না হলে স্বামী  যদি অভিমান করে।তখন স্ত্রী রাগ করে যদি বলে দেখ নি আমাকে আগে কেমন আমি সেটা? করছ কেন বিয়ে? ভাল না লাগলে ছেড়ে দিও বা দাও।তখন স্বামী যদি বলে তুমাকে দেখতে চাই আর কি আর কাউকে তহ চাই না।তুমার তহ খারাপ লাগে।আর বলব না কিছু কোনদিন।ইচ্ছে হলেও দমায় রাখব ইচ্ছে ।তুমার যেমন ইচ্ছে চলিও বা যেমন ইচ্ছে পরিও বা যেমন ইচ্ছে করিও।আর ওদের কথাগুলো যদি মেসেজে হয় আর স্বামীর যদি এসব কথায় তালাকের নিয়ত না থাকে তাহলে কি তালাক হবে? অভিমান করে বললে? আসলে এ ব্যপারে আমার সন্দেহ আছে তাই প্রশ্ন করেছি।ঠিক এমনটা বলত কিনা স্বামি আমার মনে নেই।তবু জানার জন্য প্রশ্ন করেছি।

** আরেকটা এটাও জানার জন্য।স্ত্রী যদি বলে তুমার সাথে সংসার করব না।স্বামী যদি বলে করিও না।এরপর স্ত্রী যদি বলে ডিভোর্স দিব তোমাকে।স্বামীও যদি বলে দিও।এরপর যদি স্ত্রীর বলে ডিভোর্স দিয়ে তুৃমাকে মা বাবার পছন্দ মত করব বিয়ে।স্বামি যদি বলে করিও বা কর গা।এসব কথা দ্বারা কি তালাক হয়?আসলে জানার জন্য প্রশ্ন করেছি।

**স্ত্রী যদি বলে আমি চলে যাব  বা যাচ্ছি তুমার জীবন থেকে।একা থাকব। কিন্তুু তুমার বউ হিসেবে থাকব।স্ত্রী যদি আবার  বলে যদি তুমার ইচ্ছে হয় তাহলে  দিয়ে দিও ডিবোর্স বা পাঠিয়ে দিয়ো ডিভোর্স লেটার মানে ভবিষ্যৎ এর কথা।স্বামী যদি বলে ঠিক আছে যাও বা যাওগা।যদি স্বামী একথা তালাকের নিয়ত ছাড়া বলে তাহলে কি তালাক হয়? আমি জানার জন্য প্রশ্নটা করেছি।

** কোন মেয়েকে যদি তার স্বামি তালাকের অধিকার দেয়।তার  মনে এসব নিয়ে ভয়,হতে থাকে।স্বামীর সাথে রাগ করে সে বলে রাখ ভাল লাগতেছে না।এখন সে চিন্তায় পরে গেছে কেন বলেছে,কোন নিয়তে বলেছে।সে খুব চিন্তায়। স্ত্রীর এসব কথা  দ্বারা কি সমস্যা হয়?আবার আরেকটা বলেছে কপাল চাপরাবা কথা না শুনলে।স্ত্রী জানে সে অন্য কারনে বলেছে তবু তার মনে ওয়াসওয়াসা আসে।অনিচ্ছ সত্বেও।কারন সে স্বামীর সাথে তার বিচ্ছেদ হোক সেটা চায় না।এসব কথা বলে অন্য কারনে কিন্তুু বলার পর ভয় হচ্চে ওর।কোন নিয়তে বলেছে সেটা ভেবে।অনিচ্ছা সত্বেও বলার কথাগুলো বলার সময় স্ত্রীর মনে এ ধরনের তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে কি সমস্যা হবে?এখানে স্ত্রীর কি গুনাহ হবে?

**কোন স্বামী যখন স্ত্রীর সাথে খারাপ ব্যবহার করে তখন স্ত্রী যদি বলে চলে যাব তুমার জীবন থেকে,আল্লাহ হয়ত আমার জন্য আমার মত কাউকে রাখছে ইত্যাদি ইত্যাদি।এমনিতে স্বামীকে এসব অভিমান করে বললে এর পর স্বামী তালাকের নিয়ত ছাড়া কেনায়া বাক্য কথার ছলে বললে কি তালাক হবে? আসলে জানার জন্য প্রশ্ন করেছি।

1 Answer

0 votes
by (713,000 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .
আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)

https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে মাথা নাড়ালে তালাক পতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
ভাল না লাগলে ছেড়ে দিও বা দাও।
এ জাতীয় কথাবার্তা দ্বারা তালাক হবে না।

(২)
স্ত্রী যদি বলে তুমার সাথে সংসার করব না।স্বামী যদি বলে করিও না।এরপর স্ত্রী যদি বলে ডিভোর্স দিব তোমাকে।স্বামীও যদি বলে দিও।এরপর যদি স্ত্রীর বলে ডিভোর্স দিয়ে তুৃমাকে মা বাবার পছন্দ মত করব বিয়ে।স্বামি যদি বলে করিও বা কর গা।এসব কথা দ্বারা তালাক হবে না।

বিঃদ্র:
আপনারা কি এজাতীয় কথাবার্তাকে পরিহার করতে পারেন না।

(৩)
এজাতীয় কথাবার্তা দ্বারা তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (713,000 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...