বিয়ের সময় বরকে গেটে আটকে রেখে টাকা আদায় করা হয়। সেখানে উভয় পক্ষের যুবক-যুবতীরা বিভিন্ন ধরনের দুষ্টমিতে মেতে ওঠে। এখানে যেমন শরিয়তের মহান হুকুম পর্দা লঙ্ঘন হয়। তেমনি অনেক সময় চাপ সৃষ্টি করে বেশি টাকা আদায় করা হয়।
অথচ হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ».
আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
,
(আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২,মিশকাতুল মাসাবিহ ২৯৪৬)
রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন :
‘কোনো মুসলমানের সম্পদ তার আন্তরিক সম্মতি ছাড়া হস্তগত করলে তা হালাল হবে না।’ (বায়হাকি, হাদিস : ১৬৭৫৬)
এমনি নতুন জামাই কিংবা কনেকে হাত ধুইয়ে টাকা উসুল করা, বাসর ঘরে গেট ধরে জোরপূর্বক টাকা উসুল করা উচিত নয়।
যদি বর বা কনে স্বেচ্ছায় তাদের আত্মীয়-স্বজনদের কিছু দেয়, তা নিতে কোনো অসুবিধা নেই।
,
★সুতরাং গেট আটকানোর পর চাপে পরে টাকা দেওয়া,চাপে পরে টাকা গ্রহন করা,চুক্তি করা যে কত টাকা চাওয়া হবে,কত টাকা দেওয়া হবে,সবই নাজায়েজ।
কারন এখানে কোনো সন্তুষ্টি চিত্তে টাকা দেওয়া হচ্ছেনা।
চাপে পড়েই দিচ্ছে।
যার প্রমানঃ এমন গেট না আটকালে কোনো ভাবেই পাত্র উক্ত টাকা কাউকেই দেয়না।
বরং এমনও হয় যে চাপ কম দিলে টাকা কম দেয়,আর চাপ বেশি দিলে টাকা বেশি দেয়।
,
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত সব গুলো কর্মকান্ড নাজায়েজ।
সমমূল্যের হাদিয়া যেদিন আপনার বোনের স্বামীকে দিবেন,সেদিন এই টাকা ব্যবহার করা আপনার জন্য জায়েজ হবে।