بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
আপনার কথার দ্বারা শর্তযুক্ত তালাক পতিত হয়নি।
যদি সে কখনো জেনে শুনে ইচ্ছাকৃতভাবে কুফরি বা বড় শিরক করে, তাহলে বিচ্ছেদ হয়ে যাবে।
(০২)
স্বামী স্ত্রী যদি উভয়ে মুরতাদ হয়ে যায়,তারপর উভয়েই যদি এক সাথে ইসলাম গ্রহন করে,তাহলে তাদের বিবাহ ঠিকই থাকবে।
নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবেনা।
হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছেঃ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَجُلاً، جَاءَ مُسْلِمًا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ جَاءَتِ امْرَأَتُهُ مُسْلِمَةً بَعْدَهُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهَا قَدْ كَانَتْ أَسْلَمَتْ مَعِي . فَرَدَّهَا عَلَيْهِ .
উসমান ইবন আবূ শায়বা ........ ইবন আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে প্রথমে এক ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করে, পরে তার স্ত্রী ইসলাম কবূল করে। সে ব্যক্তি বলে, হে আল্লাহ্র রাসুল! সে তো আমার সাথেই ইসলাম কবূল করেছে। তিনি তাকে (স্ত্রীকে) তার নিকট ফিরিয়ে দেন।
(আবু দাউদ ২২৩২)
الفقه الإسلامى و أدلته: (3153/4، ط: دار الفكر)
وأما الفسخ: فهو نقض العقد من أصله، أو منع استمراره، ولا يحتسب من عدد الطلاق، ويكون غالبا في العقد الفاسد أو غير اللازم.
সারমর্মঃ-
ফসখে নিকাহকে তালাকের সংখ্যার মধ্যে গণনা করা হবেনা।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন,
স্বামী স্ত্রীর কেউ যদি কখনো জেনে শুনে ইচ্ছাকৃতভাবে কুফরি বা বড় শিরক করে, তাহলে তাদের মাঝে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাবে।
তবে এটি তালাক হলে গননা হবেনা।
তাই এমন করে যদি তিন বার করে,তাহলে একেবারে ৩ তালাক হয়ে যায়না।
তালাকই হবেনা। বিবাহ বিচ্ছেদ হবে।