আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
170 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (23 points)
আমি একটি আর্টিকেল এ পরেছি "শেষ জামানায় স্বামী স্ত্রীর  মধ্যে যেনা হবে। তার মধ্যে একটি পয়েন্ট এমন ছিল, স্বামী স্ত্রীর কেউ যদি কুফরি বা শেরক করে তাহলে তাদের মধ্যে ঈমান না থাকার দরুন যেনা হবে"

একদিন আমার বউ বলতেছিল, আমারা পূর্ণিমার রাতে বেবি নিব তাইলে বাচ্ছা সুন্দর হবে। পরে বললাম এগুলি কুসংস্কার। কুফরি কথা বার্তা, পরে তাকে সতর্ক করলাম ভুলেউ কোন কুফুরি বা শেরক করিও না তাইলে যেনা হবে।

এখন আমার প্রশ্ন হল,
১. আমার কথার দ্বারা কি তালাকের শর্ত পতিত হয়েছে? যদি সে কখনো কুফরি না শেরক করে তাইলে কি বিচ্ছেদ হয়ে যাবে?

২. স্বামী স্ত্রীর কেউ যদি কুফরি না শেরক করে তাহলে কি অটোতালাক হয়? এমন করে যদি তিন বার করে তাইলে কি একেবারে তালাক হয়ে যায়?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
আপনার কথার দ্বারা শর্তযুক্ত তালাক পতিত হয়নি।
যদি সে কখনো জেনে শুনে ইচ্ছাকৃতভাবে কুফরি বা বড় শিরক করে, তাহলে বিচ্ছেদ হয়ে যাবে।

(০২)
স্বামী স্ত্রী যদি উভয়ে মুরতাদ হয়ে যায়,তারপর উভয়েই যদি এক সাথে ইসলাম গ্রহন করে,তাহলে তাদের বিবাহ ঠিকই থাকবে।
নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবেনা।

হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছেঃ

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَجُلاً، جَاءَ مُسْلِمًا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ جَاءَتِ امْرَأَتُهُ مُسْلِمَةً بَعْدَهُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهَا قَدْ كَانَتْ أَسْلَمَتْ مَعِي . فَرَدَّهَا عَلَيْهِ .

উসমান  ইবন  আবূ  শায়বা ........ ইবন  আববাস  (রাঃ)  হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,  রাসূলুল্লাহ্  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর  যুগে  প্রথমে  এক  ব্যক্তি  ইসলাম  গ্রহণ  করে,  পরে  তার  স্ত্রী  ইসলাম  কবূল  করে।  সে ব্যক্তি  বলে, হে আল্লাহ্র রাসুল!  সে  তো  আমার  সাথেই  ইসলাম  কবূল  করেছে।  তিনি তাকে (স্ত্রীকে)  তার নিকট  ফিরিয়ে  দেন।

(আবু দাউদ ২২৩২)

الفقه الإسلامى و أدلته: (3153/4، ط: دار الفكر)
وأما الفسخ: فهو نقض العقد من أصله، أو منع استمراره، ولا يحتسب من عدد الطلاق، ويكون غالبا في العقد الفاسد أو غير اللازم.
সারমর্মঃ-
ফসখে নিকাহকে তালাকের সংখ্যার মধ্যে গণনা করা হবেনা।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন,
স্বামী স্ত্রীর কেউ যদি কখনো জেনে শুনে ইচ্ছাকৃতভাবে কুফরি বা বড় শিরক করে, তাহলে তাদের মাঝে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাবে।
তবে এটি তালাক হলে গননা হবেনা।

তাই এমন করে যদি তিন বার করে,তাহলে  একেবারে ৩ তালাক হয়ে যায়না।
তালাকই হবেনা। বিবাহ বিচ্ছেদ হবে।

ইসলাম গ্রহনের পর তারা বিবাহ করতে চাইলে সেটি শুদ্ধ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...