বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
অন্য কেউ নামাজ ধীরে ধীরে পড়ছে দেখে কেউ যদি তার দেখাদেখি নামাযকে ধীরে পড়া শুরু করে দেয় (নামাজের মধ্যেই প্রথমে দ্রুত পড়তেছিল পরে অন্য কেউ ধীরে পড়ায় সেও তার নামাজের গতি স্লো করে দিল)এক প্রকার প্রতিযোগিতা স্বরুপ অথবা এমনিতেই অনুকরণের জন্য তাহলে এমন নামায অবশ্যই ফাসিদ হবে না।বরং ঠিকঠিকভাবে রুকুন সমূহ আদায় হওয়ার দরুণ নামায আদায় হবে।
রাসূলুল্লাহ সাঃ ধীরেসুস্থে নামায পড়া অনেক তাকিদ দিয়েছেন,সুতরাং ধীরতায় কারো অনুকরণ নিন্দনীয় হবে না।বরং প্রশংসনীয় হবে।তবে আল্লাহ ব্যতীত কাউকে খুশী করা বা এ নিয়ে কোনো প্রকার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হওয়ার কোনো সুযোগ শরীয়তে নেই।যদি কেউ আল্লাহ ব্যতীত ভিন্ন কাউকে খুশী করা বা এ নিয়ে কোনো প্রকার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে এমনটা করে,তাহলে তার নামায কবুল হবে না।এমনকি রিয়া বা অজায়গাতে প্রতিযোগিতার দরুণ গোনাহ হবে।
সোলাইমান আঃ এর ৬ মাসের খাবার একটি মাছ একাই খেয়ে ফেললো,
আল্লামা সফুরী রাহ নুযহাতুল মাজালিস ওয়া মুনতাখাবুন-নাফাইস গ্রন্থে নিয়ে আসেন
(نزهة المجالس ومنتخب النفائس)
তবে এ ঘটনাকে কেউ বিশুদ্ধ বলেননি।অর্থা বিশুদ্ধ সনদে এমন কোনো ঘটনা হাদীসের কিতাব সমূহে বর্ণিত হয়নি।
ইদ্রিস আঃ ফেরেস্তার সাথে বন্ধুত্ব এমন কোনো ঘটনাও বিশুদ্ধ সনদে হাদীসের কোনো কিতাবে বর্ণিত হয়নি।
এগুলো ইসরায়েলি রেওয়াত।
এগুলোর বিধান হল,
এগুলোকে সত্য মিথ্যা কিছুই বলা যাবে না।