ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعَلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنْ حَفْصَةَ، عَنْ أُمِّ الرَّائِحِ، عَنْ سَلْمَانَ بْنِ عَامِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ الصَّدَقَةَ عَلَى الْمِسْكِينِ صَدَقَةٌ، وَعَلَى ذِي الرَّحِمِ اثْنَتَانِ صَدَقَةٌ وَصِلَةٌ»
সালমান ইব্ন আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মিসকীনকে দান করার মধ্যে শুধু সাদাকা (র সওয়াব রয়েছে) আর আত্নীয়-স্বজনকে দান করা দুটি (সওয়াব রয়েছে) দান করা (র সওয়াব) এবং আত্নীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা (র সওয়াব)।
[মুসনাদে আহমাদ (১৫৭৯৪) ও সুনানে নাসাঈ (২৫৮২)]
আরো জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার বোন যদি বালেগাহ হয়,আর সে যদি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক না হয়,মোট কথা সে যদি যাকাত গ্রহনের উপযুক্ত হয়,সেক্ষেত্রে আপনি তার পড়াশুনার খরচ যাকাত হিসেবে তাকে দিতে পারবেন।তার বিয়ের খরচ তাকে যাকাত হিসেবে দিতে পারবেন।
এই যাকাতের টাকা তাকেই দিতে হবে,আর আপনার বাবা,মা বা দাদা তারা কেউ আপনার বোনকে তাদের যাকাতের টাকা দিতে পারবেনা।
الفتاوى الھندية: (189/1، ط: دار الفکر)
"ولايجوز دفعها إلى ولد الغني الصغير، كذا في التبيين. ولو كان كبيراً فقيراً جاز، ويدفع إلى امرأة غني إذا كانت فقيرةً، وكذا إلى البنت الكبيرة إذا كان أبوها غنياً؛ لأن قدر النفقة لايغنيها، وبغنى الأب والزوج لاتعد غنية، كذا في الكافي"
সারমর্মঃ-
ধনীর ছোট ছেলেকে যাকাত দেয়া জায়েজ নেই।
যদি বড় হয় ও দরিদ্র হয়,সেক্ষেত্রে তাকে যাকাত দেয়া যাবে।
অনুরূপ ভাবে বড় মেয়েকে যাকাত দেয়া যাবে,যদিও তারা বাবা ধনী হোক।
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (2/ 349):
"(و) لا إلى (طفله) بخلاف ولده الكبير.
(قوله: ولا إلى طفله) أي الغني فيصرف إلى البالغ ولو ذكرا صحيحا قهستاني، فأفاد أن المراد بالطفل غير البالغ ذكرا كان أو أنثى في عيال أبيه أولا على الأصح لما عنده أنه يعد غنيا بغناه نهر (قوله: بخلاف ولده الكبير) أي البالغ كما مر"
সারমর্মঃ-
বাচ্চা যাই ছেলে হোক বা মেয়ে হোক,তার বাবার হিসেবেই অন্তর্ভুক্ত,,,।
(০২)
প্রশ্নটি কমেন্ট বক্সে আরো স্পষ্ট করার পরামর্শ রইলো।
(০৩)
মানুষের রক্ত নাপাক।
এক দিরহামের কম হলে তাহা মাফ,সেই কাপড়/শরীরেই নামাজ হয়ে যাবে।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার শরীরে যদি রক্তের দাগ না পান,বা পেলেও এক দিরহাম চেয়ে কম হয়,সেক্ষেত্রে নামাজ হয়ে যাবে।
আর যদি শরীরে এক দিরহাম বা তার চেয়ে বেশি
রক্তের দাগ পান,সেক্ষেত্রে নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে।
(০৪)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৫)
একজনের জন্য করলে অসুবিধা নেই।
এটি যেহেতু নফল,তাই একই নিয়তে দুজনের জন্যই ওমরাহ করা যাবে।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এমনটি করারই পরামর্শ থাকবে।