আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
164 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
edited by
আসসালমুআলাইকুম শায়েখ,
১. হুজুর আমার মনে মনে নানা রকমের শর্ত তালাকের চিন্তা আসে , বা মনে মনে তালাক এই কথা মনে মনে হয় উচ্চরণ করিনা। দিয়ে ভয় হয়ে জাই উচ্চরণ হয়ে যাবে বলে। তাই আমি মনে মনে ভাবতে থাকি উচ্চরণ হয়েছে কিনা।  দিয়ে তালাকের পরিবর্তে " বিসমিল্লাহ আল্লাহ" বলে উচ্চরণ করি দিয়ে  চেক করি  উচ্চরণ হয়েছে কি না । নিজে উচ্চরণ হয়েছে কি না বোঝার ক্ষেত্রে  বিসমিল্লাহ আল্লাহ বলে দেখি ।  বিষয় হলো তালাকের পরিবর্তে বিসমিল্লাহ আল্লাহ বলে চেক করেছি তাহলে কি বিসমিল্লাহ আল্লাহ বলার জন্য তালাক হবে?

২. হুজুর ভুল করে  শয়তানের ওয়াসওয়াসা তে যদি মনে মনে নিয়ত থাকে দিয়ে তালাকের পরিবর্তে বিসমিল্লাহ আল্লাহ বললে কি তালাক হয়ে যাবে?

২.২ এমনি হাই তুলতে গিয়ে , তালাক শব্দ টি বেরিয়ে যাবে বলে ভয় এ  বিসমিল্লাহ আল্লাহ বলি। মনে মনে বলি ও মাঝে মধ্যে উচ্চরণ ও করি। হুজুর এর জন্য কি কোনো তালাক হবে?

৩. এই তালাক সংক্রান্ত প্রশ্ন লিখতে গিয়ে যদি হালকা করে মুখে উচ্চরণ হয়ে যায়, বিনা কারণে বিনা উদ্দেশ্যে , এমনি উচ্চরণ হয়ে যায় , কোনো উদ্দেশ্য নেই তালাকের , এমনি উচ্চরণ হয়ে যায় তাহলে কি তালাক হবে?
৪. অনেক বন্ধু বসে আছি , দিয়ে গল্পঃ হচ্ছে , দিয়ে মনে মনে এমন হচ্ছে , এই কথার পরিপেক্ষিতে  যদি এই বলে তাহলে তালাক, এইটা একদম মনে মনে হচ্ছে, দিয়ে হয়ত কথার পরিপেক্ষিতে ওই কথা বললো তাহলে কি তালাক হবে?
৫. তার পর মনে মনে এমন হচ্ছে অমুক জায়গাতে যদি ঘুরতে জাই তাহলে তালাক মনে মনে হচ্ছে,  দিয়ে যদি সেই জায়গাতে বেড়াতে যাওয়া হয় তাহলে কি তালাক হবে? আমি আমার বাড়ির পাশে মুফতি কে জিজ্ঞাসা করেছি বলেছে তালাক হবে না।  এখন যেহেতু মুফতি কে বিষয় টা বলেছি এর পর যদি বেড়াতে যাওয়ার হয় তাহলে কি তালাক হবে?

৬. আর মনে মনে এমন হচ্ছে অমুক জায়গাতে বেড়াতে গেলে তালাক , মনে মনে হচ্ছে দিয়ে যদি সেই জায়গাতে যাওয়া হয় তাহলে কি তালাক হবে?

৭. হয়ত কিছু বন্ধু মিলে কথা বলছি , তখন মনে মনে এমন হচ্ছে কেউ যদি এই কথা টা বলে তাহলে তালাক , দিয়ে কেউ বলে ফেলবে সেই ভয় এ আমি নিজেই বলে ফেলছি সেই কথা তাহলে কি তালাক হবে?

৮. স্ত্রী র সঙ্গে ফোনে কথা হচ্ছে দিয়ে মনে মনে এমন হচ্ছে আমার  একটা কথা মনে মনে  ভাবা হয়ে যাচ্ছে , দিয়ে মনে মনে এমন হচ্ছে স্ত্রী যদি সেই কথা বলে তাহলে তালাক , এইরকম মনে মনে হচ্ছে , দিয়ে স্ত্রী সেই কথা বললো তাহলে কি তালাক হবে?
৯. আমার মনে মনে এমন হচ্ছে আমি যদি এটা বলি , বা এটা করি তাহলে তালাক, হুজুর মনে মনে এমন হচ্ছে , দিয়ে যদি সেই কাজ করি বা বলি তাহলে কি তালাক হবে?

১০. মুখে কথা বলছি করো সাতে, আর মনে মনে তখন তালাক কথা টা মনে মনে হচ্ছে মুখে উচ্চরণ করছিনা , মুখে এমনি অন্য কথা বলছি, আর তখনই মনে মনে তালাক কথা টা মনে হচ্ছে মুখে উচ্চরণ করিনি তাহলে কি তালাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (564,870 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক খুবই মারাত্মক এক বিষয় । নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

(০১)
(০২)
(২.২)
উপরোক্ত কোনো ছুরতেই তালাক হবেনা। 

(০৩)
তালাকের উদ্দেশ্য ছাড়া শুধু তালাক শব্দ উচ্চারণ করলে বা লিখলেও তালাক হয় না। কেননা, ফকিহগণ বলেছেন,

يشترط بالاتفاق القصد فى الطلاق، وهو إرادة التلفظ به ولو لم ينو فلا يقع طلاق فقيه يكره ولا طلاق حاك عن نفسه أو غيره لأنه لام يقصد معناه، بل قصد التعليم والحكاية، (الفقه الاسلام وادلته، كتاب الطلاق، باب شروط الطلاق-7/368)
সারমর্মঃ  
সকলের মতে তালাকের ইচ্ছা থাকতে হবে। আর তাহল, (তালাকের উদ্দেশ্যে) ইচ্ছাকৃতভাবে তালাক শব্দ উচ্চারণ করা। (আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু ৭/৩৬৮)

আরো জানুনঃ- 

(০৪)
তাহলে তালাক হবেনা।

(০৫)
এর পর যদি বেড়াতে যাওয়ার হয়,
তাহলেও তালাক হবেনা। 

(০৬)
যদি সেই জায়গাতে যাওয়া হয়, তাহলে তালাক হবেনা।

(০৭)
তাহলে তালাক হবেনা।

(০৮)
না,তাহলে তালাক হবেনা।

(৯.১০)
তাহলে তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...