আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
374 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (91 points)
edited by
১. স্ত্রী যদি নিজেকে তালাকপ্রাপ্তা বা ডিভোর্সি হিসাবে পরিচয় দেয় তবে কি তালাক হবে? যদি সে স্ত্রী এর তালাকের অধিকার থাকে.

২. স্ত্রী যদি বলে সে অবিবাহিত, বা তার স্বামী বা সে সিংগেল নাই তবে কি তার বিবাহে সমস্যা হবে?

৩.কোনো মেয়ে যদি মজা করে বা না তালাকের মাসআলা না জেনে নিজেকে তালাকপ্রাপ্তা বা ডিভোর্সি হিসাবে পরিচয় দেয় তবেওকি তা পতিত হবে?

৪. এতে যদি তা পতিত হয়, তো আমি যদি আমার বউ কে জানানোর জন্য এভাবে লিখে দেই "মেয়েরা নিজেদের মজা করে তালাকপ্রাপ্তা বা ডিভোসী পরিচয় দিলে তাদের সংসার নষ্ট হয়ে যায়" এতে কি সমস্যা হবে?

৫. কোনো মেয়ে/ছেলে  যদি কোনো কাগজ বা ফরম পূরনের সময় (ডিভোর্সী/ তালাকপ্রাপ্ত অপশন ভুলে চোজ করে ফেলে এতে কি সমস্যা হবে্
৬. তালাক,  তালাকপ্রাপ্তা,  ইত্যাদি লেখার সময় বউ এর কথা মাথায় আসলে কি বিবাহে সমস্যা হবে?

৭. আজ নামাজে একজন একটু হাসায় আমাকে শব্দমহয় কিছুটা, ওযু গেছে কি না সন্দেহ তৈরি হয়, সময় কম ছিলো তাি  এটা অট্টহাসি হয় নি বিবেচনা করে আমি নামাজ পরে ফেলি,পরে আবার ওযু করে নামাজ পরি তখন মাগরিবের আজান হয়ে যায় নামাজ চলাকালীন  এতে কি গুনাহ/কুফর হবে?

৮. কোনো স্ত্রীকে পর্দা প্রসঙ্গে বললে যদি বলে,  এগুলো জোর।করে হয় না/ তুমি যা করতে বলো আমার সব সময় মন চায় তার উল্টা করি/ আমিতো শালীন হয়ে চলি, তার পরেও এসব নিয়ে বললে মন চায় লেংটা হয়ে চলি। এসব কথা বলে। মানে কোনো স্টেপ নিতে গেলে মনে হচ্ছে কাজ আরো উল্ট হবে। এখন তার জন্য দোয়া আর মাঝেমধ্যে একটু বুঝানোর ফলে কি স্বামী দাইয়ুস থেকে বাচতে পারবে? এতে কাজ হলে না হলে ভালো না হলে আর কি!

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/36539/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
শুধু এতটুকুর দরুন তালাক হবেনা। 

(০২)
তবে তার বিবাহে সমস্যা হবেনা।

(০৩)
এক্ষেত্রে তালাক হবেনা। 

(০৪)
এতে কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৫)
এতে সমস্যা হবেনা।

(০৬)
তালাক,  তালাকপ্রাপ্তা,  ইত্যাদি লেখার সময় বউ এর কথা মাথায় আসলে বিবাহে সমস্যা হবেনা।

(০৭)
অনিচ্ছায় হাসলে এক্ষেত্রে হাসি চেপে রাখার চেষ্টার পরেও আটকাতে না পারলে গুনাহ হবেনা।

তবে ইচ্ছাকৃতভাবে হাসলে বা হাসি আটকানোর চেষ্টা না করলে গুনাহ হবে।

তবে কুফর হবেনা।

(০৮)
প্রশ্নের বিবরন মতে এক্ষেত্রে স্বামী দাইয়ুস থেকে বাঁচতে পারবেনা।

এক্ষেত্রে আপনি নিম্নোক্ত ফতোয়াতে প্রদত্ত পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (91 points)
edited by
৮ নং মতে এগুলো করলে তো সে আরো উল্টো করবে,  আমি তো তাকে আরো খারাপ  করুক এমন চাই না শায়েখ।  আমার তো তাকে হেদায়েত উদ্দেশ্য তার খারাপ করা উদ্দেশ্য না একটু কি দেখবেন? অন্য মেয়ের ক্ষেত্রে এটা ফল দায়ক হলেও এই মেয়ে তো।একছেপশন, তার ভালোর জন্য কি এভাবে চলা যায় না?
একটু বিবেচনা করে দেখে বলবেন প্লিজ

( https://ifatwa.info/55433/?show=55433#q55433 এর ২ নং ৩ নং  )  এই লিংকে আপনি বিস্তারিত দেখে   বলেছিলেন বুঝালে আর দোয়া করলেই হবে।  আমাদের মাঝে এই বিষয় নিয়ে কথা বললে যখন ঝগড়া হয় তখন আমি এই বিষয় নিয়ে অনেক হতাশ হই, তখন আবার কি করনীয় জানতে মন চায় তাই আবার জিগ্যেস  করি। আমার অবস্থা  আর তার অবস্থা বিবেচনা করে একটু কি বলবেন? আমি তার জন্য দোয়া আর মাঝে মাঝে বুঝালে দাইয়ুস থেকে বাচতে পারবো কি না, যেহেতু কোনো স্টেপ নিলে উল্টো হতে পারে, আর আমি তার সাথে হেদায়েতপূর্ন জীবন চাই।
by (574,050 points)

https://ifatwa.info/55433/ লিংকে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
আপনি তাকে হাত পা ঢেকে পূর্ণ পর্দা করার আদেশ করবেন, চেষ্টা চালিয়ে যাবেন
   
তবে আপনি যদি তাকে পূর্ণ পর্দা করানোর আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যান,তাহলে আপনি দাইয়ুস হবেননা,ইনশাআল্লাহ ।
আল্লাহ তায়ালা চাইলে আপনাকে ক্ষমা করতে পারেন।

★ আপনি তাকে সাধ্যমতো আপ্রান চেষ্টা করে হলেও বুঝাবেন। আপনার এতো বুঝানোর পরেও যদি কাজ না হয়,তাহলে পৃথক বিছানায় ঘুমাবেন,তাতেও কাজ না হলে মুরব্বিদের মাধ্যমে বৈঠক করে তাকে বুঝাবেন,তাতেও কাজ না হলে তাকে বাবার বাসায় পাঠিয়ে দিবেন,এতেও সে যদি পূর্ণ পর্দা না করে,তাহলে এই অজুহাতে প্রয়োজনে তাকে তালাকও দিতে পারেন।

by
শায়েখ,
আনার এই জবাব অনুযায়ী,  

আপনি আপ্রান চেষ্টা করে তাকে বুঝাবেন,আর দোয়া করবেন।
তাহলেই আপনি দাইয়ুস হতে মুক্ত হবেন।
,
তবে পরামর্শ থাকবে, আপনি উপরোক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করে তাকে বুঝাবেন।
 

আমল করলেই কি দাইয়ুস থেকে বাচতে পারবো? যেহেতু বাকি গুলো করতে গেলে তার আরো বিপথে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।


by (574,050 points)
উপরোক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করে আমল করলে আপনি দাইয়ুস হবেননা,ইনশাআল্লাহ 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...