আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
210 views
in পবিত্রতা (Purity) by (8 points)
reopened by
১.কাপড় নাপাকির ক্ষেত্রে যদি একাধিক কাপড় থাকে তাহলে তিনবার পানি বদলানো ক্ষেত্রে প্রত্যেক কাপড়ের জন্য আলাদা আলাদা ভাবে পানি নিতে হবে এবং বদলাতে হবে? না শুধু একবার বালতিতে পানি নিয়ে সব গুলো কাপড়  একসাথে ধুয়ে নিয়ে ভালো ভাবে নিংড়ে পরবর্তিতে আবার পানি বদলে পুনরায় সব গুলো কাপড় ধুয়ে নিই এ-ই ভাবে তিন বার করলে কাপড় কি পাক হবে?আলাদা ভাবে করার প্রয়োজন নেই?
২. নাপাকি পানি শরীরে এবং পরিধেয় কাপড়ে পড়লে সেক্ষেত্রে করনীয় কি?
৩.কাপড় নিংড়ানোর সময় যদি নাপাকি পানি বালতিতে পড়ে সেক্ষেত্রে করনীয় কি?
৪. বালতিতে নাপাকি পানি থাকার জন্য বালতিও কাপড়ের সাথে সাথে তিনবার পরিষ্কারের প্রয়োজন আছে কি?
৫. নাপাকি পানি যদি পরিষ্কার কাপড়ে পরে তাহলে সেটাও তিনবার ধুয়ে নিতে হবে নাপাকি কাপড়ের মতো?
৬. নাপাকি কাপড় তিনবার ধুয়ে নিংড়ে ফেলার পরে সেটা পরিষ্কার কাপড়ের সাথে যদি রাখা হয় তাহলে কি পরিষ্কার কাপড় গুলোও নাপাক হয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


হাদিস শরিফে এসেছে,আসমা রাযি. থেকে বর্ণিত,

 أَنَّ النَّبِيَّ  ﷺ قَالَ -فِي دَمِ الْحَيْضِ يُصِيبُ الثَّوْبَ-: «تَحُتُّهُ، ثُمَّ تَقْرُصُهُ بِالْمَاءِ، ثُمَّ تَنْضَحُهُ، ثُمَّ تُصَلِّي فِيهِ

হায়িযের রক্ত কাপড়ে লেগে যাওয়া প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘পানি দিয়ে ঘষা দিবে তারপর পানি দ্বারা ভালোভাবে ধৌত করবে। অতঃপর সলাত আদায় করবে।’ (বুখারী ২২৭,৩০৭)

শরীয়তের বিধান হলো কাপড়ে/ চাদরে নাপাকি লাগলে তিনবার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং প্রত্যেকবার ভালো করে চাপ দিয়ে নিংড়াতে হবে। ভালো করে নিংড়িয়ে ধোয়ার পরও যদি দুর্গন্ধ থেকে যায় কিংবা দাগ থাকে তাতে কোনো দোষ নেই। এতেই চাদর কিংবা কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে।  (হাশিয়ায়ে তাহতাবী আলাল মারাকী, পৃষ্ঠা নং ১৬১, বেহেশতি জিওর ২/৭৭ )

কাপড়ে অদৃশ্যমান নাজাসত লাগলে, কাপড়কে তিনবার ধৌত করে তিনবারই নিংড়াতে হতে।এবং শেষ বার একটু শক্তভাবে নিংড়ানো হবে যাতে করে পরবর্তীতে আর কোনো পানি বাহির না হয়।(ফাতাওয়ায়ে হাক্কানিয়া;২/৫৭৪,জা'মেউল ফাতাওয়া;৫/১৬৭) 

আরো জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/118

وغير المرئية بغسلهاثلاثا والعصر كل مرة
অদৃশ্যমান নাপাক বস্তু তিন বার ধৌত করতে হবে।এবং প্রত্যেকবার নিংড়াতে হবে।
(নুরুল ইযাহ ৫৬)

উল্লেখ্য, তিনবারের কথা বলা হয়, যাতে সন্দেহ না থাকে। অন্যথায় যদি প্রবাহমান পানি যেমন, নদী, পুকুরে বা টেপের পানিতে এত বেশি করে ধোয়া হয়, যাতে নাপাকি দূর হওয়ার ব্যাপারে প্রবল ধারণা হয়ে যায় তাহলে তা পাক হয়ে যায়। এক্ষেত্রে তিনবার নিংড়িয়ে ধোয়া জরুরি নয়। (রদ্দুল মুহতার ১/৩৩৩ আলবাহরুর রায়েক ১/২৩৭ শরহুল মুনইয়া ১৮৩) 
,
আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
আপনি যে একবার বালতিতে পানি নিয়ে সব গুলো কাপড় একসাথে ধুয়ে নিয়ে ভালো ভাবে নিংড়ে পরবর্তিতে আবার পানি বদলে পুনরায় সব গুলো কাপড় ধুয়ে নেন, এ-ই ভাবে তিন বার করলে কাপড় পাক হবে।
আলাদা ভাবে করার প্রয়োজন নেই।

(০২)
নাপাকি পানি শরীরে এবং পরিধেয় কাপড়ে পড়লে শরীরে এবং পরিধেয় কাপড় নাপাক হয়ে যাবে।
এক্ষেত্রে সেই স্থান পাক করতে হবে।

(০৩)
সেক্ষেত্রে বালতির পানি ফেলে দিতে হবে।
নতুন করে পানি নিয়ে বালতির ভিতরের অংশ ধুয়ে ফেলে দিতে হবে।

তবে সেই বালতির মধ্যেই উক্ত কাপড় পাক করলে সেক্ষেত্রে নতুন পানি দিয়ে না ধুয়ে পুনরায় সেই কাপড় বালতিতে রেখে ধোয়া যাবে।

(০৪)
না,প্রয়োজন নেই।

বিস্তারিত জানুনঃ

(০৫)
হ্যাঁ, সেটিও তিনবার ধুয়ে পাক করতে হবে।

নাপাক পানি পড়ার স্থান নির্দিষ্ট ভাবে জানলে সেক্ষেত্রে শুধু সেই স্থান পাক করাই যথেষ্ট। 

(০৬)
এক্ষেত্রে পরিষ্কার কাপড় গুলো নাপাক হয়ে যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...