১/তালাক সন্দেহে স্বামীকে নতুন করে বিয়ের কথা বলেলে করবে না,তাই স্ত্রী বললো কাজি কি বলছে শুনি নি আমি ঠিক করে,তবে আমি নিশ্চিত বিয়ে হইছে।তাও যেহেতু আমি ওয়াসওয়াসার রুগি মন শান্ত করার জন্য তোমাকে আবার নতুন করে বিয়ে করতে চাই।
এসব কথা দ্বারা কি সমস্যা হবে?বললো যে কাজীর কিছু শুনে নি,আসলে তো তা মিথ্যা ছিলো।
২/ কাল সারা সন্ধ্যা এসব তালাক সন্দেহে অনেক কেঁদেছে স্ত্রী।শুধু সন্দেহ হয়।পরে ঘুমালো, ভোরের দিকে সারাক্ষন ঘুমের মাঝে উল্টাপাল্টা দেখলাম এসব তালাক নিয়ে।যেহেতু তাকে তালাকের অধিকার দেওয়া হয়েছে তাই আরও বেশি ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত হয়ে গেছে।
আর ভোরে ঘুমে তালাক নিয়া দেখলো অনেক কিছু।
গভীর ঘুমে ছিলো মেবি প্রথমদিকে বাট পরে ঘুমের ঘোরে ছিলো।
এখন ঘুমের ঘোরে যদি স্ত্রী তালাক নিয়ে থাকে তাহলে কি তালাক হবে?
৪/ ঘুমটা কি সবসময় গভীর হতেই হবে?কখনও কখনও তো আমা চোখ টেনে খুলতে পারি না ঘুমের জন্য।আবার আশেপাশের জিনিস শুনি।ঐ অবস্থায় কেউ তালাক দিলে কি তালাক হবে?
৫/ পুরোপুরি সজাগ না পুরোপুরি ঘুমও না এ অবস্থায় কি তালাক হয়?
৬/ ঘুমের ঘুরের মাঝে ঠোঁট খুলে উচ্চারন করে তালাক দিয়ে যদি আবার গভীর ঘুমে তলিয়ে যায় তাহলে কি তালাক হবে?
৭/স্ত্রীর তালাক সন্দেহ নিয়া স্বামী মান-অভিমান করলো রাত্রে।পরে তারা ঘুমায়া গেলো।স্ত্রী কষ্ট পাচ্ছে এটা তার নিজের অন্যায় ভেবেই।
এরপর ঘুমের মাঝে সে তালাক নেওয়ার ব্যাপারে উল্টাপাল্টা দেখলো।সে শিউর না তখন ঘুমের গভীরতা কেমন ছিলো।বাট মুখ নাড়িয়ে বলেছে।এতে কি তালাক হবে?(তার তালাকের অধিকার আছে শর্ত হলো,পুরুষত্বহীন,নিরুদ্দেশ,শারিরিক মানসিক নির্যাতান,বনিবনা না হলে)
এখন স্ত্রী যদি তালাক দিয়েও থাকে সজাগ থাকা অবস্থায় তাহলে কি তালাক হবে?যেহেতু তারা ঘুমাবার আগে মান-অভিমান করে ঘুমিয়েছে।আর স্ত্রী মনে করে এটা তার নিজের দোষ,স্বামীর না।
৮/স্ত্রী আরও ঝগড়া হলেও তো তালাক দিতে পারবে না যদি না কাবিননামার শর্ত পাওয়া যায় তাই না?
৯/ এই যে স্ত্রীর সন্দেহ হচ্ছ,ঘুমের মাঝে সে তালাক নেওয়ার ব্যাপারে কি বললো না বললো শিউর না।তবে উচ্চারন করেছে ঠোঁট নাড়িয়ে,এটা স্পষ্ট মনে আছে।বাট আসলে কি বলেছে মনে নাই।আবার মনে হচ্ছে সে বলছে মেয়েরা তালাক দিলে হয় না গ্রহন করতে হয় এমন কথা বলেছে।
আবার মনে হচ্ছে নিজে কি নিয়ে নিলো নাকি।
এমন সন্দেহের সমাধান কি?সন্দেহ কি পুরোপুরি ছেড়ে দিবো?