আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
490 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (48 points)
রাস্তায় অনেক ভিক্ষুককে "আল্লাহর ওয়াস্তে ভিক্ষা দিন" ধরনের কথা বলতে শুনা যায়। প্রশ্ন হলো, কেও যদি আল্লাহর ওয়াস্তে কিছু চায়, তাকে কি তা দেয়া আমার জন্য ওয়াজিব হবে যায়?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহর ওয়াস্তে ভিক্ষা চাইলে ভিক্ষা দেয়া কি জরুরি? এমন প্রশ্নের জবাবে 
5749 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম,

হযরত জাবের রাযি থেকে বর্ণিত,
وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " «لَا يُسْأَلُ بِوَجْهِ اللَّهِ إِلَّا الْجَنَّةُ» "
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,আল্লাহর জাতকে উল্লেখ করে কিছু চাওয়া যাবে না।(সুনানু আবি-দাউদ-,মিরকাতুল মাফাতিহ-১৯৪৪)

মোল্লা আলী কারী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
«لا يسأل بوجه الله» ") أي بذاته " إلا الجنة " بالرفع أي لا يسأل بوجه الله شيء إلا الجنة، مثل أن يقال: اللهم إنا نسألك بوجهك الكريم أن تدخلنا جنة النعيم، ولا يسأل روي غائبا نفيا ونهيا ومجهولا، ورفع الجنة، ونهيا مخاطبا معلوما مفردا، ونصب الجنة، قال الطيبي: أي لا تسألوا من الناس شيئا بوجه الله، مثل أن تقولوا: أعطني شيئا بوجه الله أو بالله، فإن اسم الله أعظم من أن يسئل به متاع الدنيا، بل اسألوا به الجنة، أو لا تسألوا الله متاع الدنيا بل رضاه والجنة، والوجه يعبر به عن الذات
মর্মার্থ-
আল্লাহ নাম দ্বারা জান্নাত ব্যতীত অন্য কিছু চাওয়া যাবে না।ইমাম তিবি রাহ বলেন,আল্লাহর নাম ব্যবহার করে মানুষের কাছে কিছু চাওয়া যাবে না।যেমন,কেউ বলল,আল্লাহর ওয়াস্তে আমাকে কিছু দাও।কেননা আল্লাহর নাম বড় ও মহান।সুতরাং আল্লাহর নাম ব্যবহার পূর্বক দুনিয়ার তুচ্ছ জিনিষকে চাওয়া যাবে না।বরং আল্লাহ নাম দ্বারা একমাত্র জান্নাত চাওয়াই উচিৎ।অথবা অর্থ হল,আল্লাহর কাছে দুনিয়ার কোনো তুচ্ছ জিনিষ চাইবে না।বরং তুমি কিছু চাইলে আল্লাহর নিকট জান্নাতই চাইবে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/ও বোন!
আল্লাহর নাম ব্যবহার করে কিছু চাওয়া উচিৎ নয়।তবে যদি কেউ চেয়ে নেয়,তাহলে কেউ কেউ বলেন,কিছু দিয়ে দেয়া উত্তম।আবার কেউ কেউ বলেন,শিক্ষা দেয়ার জন্য তাকে কিছুই দেয়া যাবে না।

আপনি যে বলেছেন,আল্লাহর নামে চাইলে কিছু দিতে হবে,না দিলে ফিরিস্তারা লা'নত দিবেন।এমন কোনো কথা কুরআন হাদীসে নেই।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুওয়াল করার হুকুম ভিক্ষুকের অবস্থার উপর নির্ভর করবে।সে যদি সাবলম্বী হয় তাহলে সুওয়াল করা তার জন্য উপরের বর্ণিত ধারা অনুযায়ী হারাম হবে ঠিক কিন্তু সুওয়ালকৃত ব্যক্তির জন্য কিছু দিয়ে দেয়াটা উচিৎ।কেননা সুওয়ালের কারণে তার উপর সুওয়ালকারীর জন্য একরকম হক্ব বা অধিকার স্থাপিত হয়ে গেছে।তবে সাধারণত সদকার(নফল) নিয়্যাত থাকলে বাস্তব অবস্থা অনুসন্ধান করে দেয়াটাই উত্তম হবে।কারো সম্পর্কে যদি প্রবল ধারণা হয় যে,সে সর্বদিক দিয়ে অক্ষম তাহলে তাকে দিয়ে দিবে।তবে যদি কেউ ধনী বা সুস্থ-সবল,উপার্জনোক্ষম কাউকে সদকা দিয়ে দেয় তাহলে তার বৃথা যাবে না।বরং অবশ্যই সে সওয়াব পাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...