বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আউযু বিল্লাহ শুধুমাত্র প্রথম রাকাতে পড়া সুন্নত।
আর নামাযের প্রত্যেক রা'কাতে সূরায়ে ফাতেহার পূর্বে নিম্নস্বরে বিসমিল্লাহ্ পড়া সুন্নত।এবং সূরায়ে ফাতেহার পর সূরা মিলানোর পূর্বে বিসমিল্লাহ্ পড়া উত্তম।অবশ্য এ ব্যাপারে মতানৈক্য রয়েছে।তবে সুন্নত না হওয়ার উপর সবাই-ই একমত।(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৪/৫১,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১৭২)
আউযু বিল্লাহ এবং বিসমিল্লাহ্ যেহেতু ক্বেরাতের সুন্নাত।তাই যার যিম্মায় ক্বেরাত রয়েছে,অর্থাৎ কুরআন তেলাওয়াত কারী চায় ইমাম হোক বা মুনফারিদ(একাকী নামায আদায় কারী)তিনিই একমাত্র আউযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ্ পড়বেন।
এবং পড়াই সুন্নাত।
আল্লাম কা'সানি রাহ লিখেন,
ان التعوذ سنة للقراءة فيأتي به كل قارئ للقرآن .....لا يأتي به المقتدي
আউযুবিল্লাহ ক্বেরাতের সুন্নত। সুতরাং ক্বারী সাহেবগণই একমাত্র পড়বেন।মুক্বতাদি পড়বেন না।
(আল-বাহরুর রায়েক্ব-১/৩১১)
সূরায়ে ফাতেহার পর সূরা মিলানোর পূর্বে বিসমিল্লাহ্ পড়া উত্তম।অবশ্য এ ব্যাপারে মতানৈক্য রয়েছে।তবে সুন্নত না হওয়ার উপর সবাই-ই একমত। এবং সূরার মধ্যখান থেকে পড়লেও বিসমিল্লাহ পড়া উত্তম।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
1300
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
একাকি হোক বা জামাতে হোক, সহল নামাজের ক্ষেত্রে প্রতি রাকাআত এ ক্বিরাত পড়ার আগে বিসমিল্লাহ পড়া সুন্নত।আর শুধু প্রথম রাকাআতে আউযু বিল্লাহ পড়া সুন্নত।পরবর্তী রা'কাত সমূহে আউযুবিল্লাহ পড়া সুন্নত নয়।যেহেতু প্রথম রা'কাতে আউযু বিল্লাহ এবং সকল রা'কাতে বিসমিল্লাহ পড়া সুন্নত।তাই এগুলোকে ছেড়ে দিলে নামাজের কোনো ক্ষতি হবে না।
(২)যোহরে ফরয সালাতের পূর্বের সুন্নাতকে ফরয সালাতের পর পড়তে চাইলে, আগে ফরয সালাতের পরের ২ রাকা'ত সুন্নত আদায় করতে হবে নাকি পূর্বের ৪রাকাত সুন্নতকে আদায় করতে হবে?
এ সম্পর্কে ফুকাহাদের মতবেদ রয়েছে।বিশুদতম কথা হল,প্রথমে ফরযের পরের ২ রা'কাত সুন্নত পড়া হবে তারপর ছুটে যাওয়া ৪ রা'কাত সুন্নতে কাবলিয়্যাহ কে পড়া হবে এটাই মুস্তাহাব ত্বরিকা।তবে উল্টো ভাবে অাদায় করলেও আদায় হবে।
(৩)একাকি সালাতে সূরাহ ফাতিহা পড়েছি কিনা, মাঝে মাঝে সন্দেপ্রবণ হয়ে পড়ি।এই সন্দেহের কারণে সালাত পুনরায় পড়তে হবে?
প্রথমবার হলে,নামাযকে আবার পড়ে নিতে হবে।বারংবার এমনটা হলে,তাহাররি করতে হবে।তথা গভীর চিন্তাভাবনা করে মন যে দিকে সায় দিবে,সে অনুযায়ী আ'মল করতে হবে।যদি মন বলে যে পড়া হয়নি,তাহলে সূরায়ে ফাতেহাকে পড়তে হবে।আর যদি মন সায় দেয় যে,পড়া হয়েছে,তাহলে আর পড়তে হবে না।সর্বাবস্থায় শেষে সাহু সিজদা দিতে হবে।
(৪)
যে সব নাসাযের পর সুন্নত নফল রয়েছে,সে সব নামাযে সুন্নত নফলের পরই যিকির দু'আ পড়া উত্তম আর যে সব নামাযে পরবর্তী সুন্নত নফল নেই সে সব নাসাযে ফরযের পরপরই দু'আ যিকির পড়া উত্তম।
ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৫/৬৬৪(ফারুকিয়া করাচি তাহকিককৃত) বিস্তারিত জানুন-
2293
(৫)
সূরায়ে ফাতেহার পর লম্বা এক আয়াত বা খাটো তিন আয়াত যেমন সূরায়ে কাউছার পরিমাণ পড়া আবশ্যক।
(৬)
প্রথম রা'কাতে সূরা ফিল তেলাওয়াতের পর,দ্বিতীয় রা'কাতে সূরা কুরাইশ তেলাওয়াত করতে হবে।ইচ্ছাকৃত এক সূরা মধ্যখানে ছেড়ে দিয়ে পরবর্তী সূরা তেলাওয়াত মাকরুহ।এবং প্রথম রা'কাতে যে সূরা তেলাওয়াত করা হয়েছে,দ্বিতীয় রা'কাতে এর পূর্বের সূরা তেলাওয়াত করা মাকরুহ।ফরয নফল সকল নামাযের ক্ষেত্রে বিধান সমান নয়।বরং ফরয নামাযের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা ওয়াজিব।কিন্তু নফল নামাযের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা ওয়াজিব নয়।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
2434