আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
212 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (21 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।
১।বউ যদি বলে ছেড়ে দেও হাসবেন্ড যদি বলে যাও গা তেমনি ভাবে মুক্তি দেও মুক্তি দিলাম।এগুলা বলার সময় যদি হাসবেন্ড তালাকের নিয়ত না করে তাইলে কাযায়ান তালাক হই দিয়ানাতান তালাক হই না।এখন প্রশ্ন হল...৩ এর অধিক কাযায়ান তালাক হলে দিয়ানাতান তালাক না হলে তারা কি সংসার করতে পারবে?

২।বউ যদি সাময়িক তালাকের অধিকার প্রাপ্ত থাকে তাইলে কি মজলিসের বাইরে শর্তযুক্ত তালাক দিতে পারবে? আর সাময়িক তালাকের অধিকার দেওয়ার পর সাথে সাথে শর্ত না দিয়ে যদি এর মাজে অন্য কিছু নিয়া কথা কাটা কাটি হই বা কথা হই একি অবস্থান এ থেকে তারপর যদি শর্ত দেয় তাইলে কি সেসময় মজলিস থাকবে?

৩।কোন কথপোকথন যদি হাসবেন্ড বউ কারো হুবুহু মনে না আসে।কিছু কিছু কথা যদি বিচ্ছিন্ন ভাবে মনে আসে তাইলে কি করনিয়।যেমন বউ কি বলছে তা মনে আসলেও সে সময় কি সে তালাকের অধিকার প্রাপ্ত ছিল কিনা তা মনে আসে না।আবার হাসবেন্ড যখন সাময়িক তালাকের অধিকার দেওয়ার মত কথা বলসে সে সময় বউ কি বলছে তা মনে না আসলে কি করনিয়। ভুলে যাওয়া লোকের উপর তালাক এর মাসালা কি??

ক।যখন জগরা হইছে তখন পাসের রুমে শাশুড়ী আর ননদ থাকছে।হুসবেন্ড সিওর দিয়া বলছে কোন দিন ছাইড়া দিলাম বলি নাই।অধিকার দেওয়ার মত কিছু তখন বলছে কিনা তার প্রেক্ষিতে আমি তখন শর্ত  দেওয়ার মত কিছু বলছি কিনা মনে নাই।তাহলে কি শাশুড়ী আর ননদ কে এগুলা জিজ্ঞেস করব।তারা ত এগুলা মাসালা জানে না।

৪।আমার মনে আছে আমি বিয়ের আগে পরেও বলছি যে কোন মেয়েলি বিষয় আর নেশা করলে আমি তুমার কাছে থাকব না।এখানে মেয়েলি বিষয় দারা নেগেটিভ কথা সম্পর্ক করা বা ফিজিকাল করা বুজাইছি।হাসবেন্ড মেয়েদের সাথে এমনে নেগেটিভ কথা বলছে মানে প্রেম বিষয় কিছু না।কারো সাথে সসম্পর্ক  করে নাই।আর এক দুই দিন হইত হাবিজাবি খাইছে।তাইলে কি এতে শর্ত পূরন হবে। অগুলা বলার সময় কি আমি অধিকার প্রাপ্ত ছিলাম কিনা মনে নাই।এগুলা বুজতাম না।বুজলে ত এসব বলতাম না।

আবার বলছি যে তুমি যদি এই কর (বেশি  সম্ভব মনে হই বিয়ের করার কথা বলছি আবার মনে হই যে মেয়েলি বিষয় নেশা  নিয়া ই বলছি নাকি)তাইলে আমি একাই ছাড়া হইয়া যাব।বলার সময় অধিকার ছিল কিনা ১০০% সিওর না।তাইলে কি কোন সমস্যা হবে?আর মুলত ভয় দেখানোর জন্য জাতে সেটা না করে এবং অই ধরনের কাজ করলে আমাদের সম্পর্ক থাকবে না।একাই শেষ  হইয়া যাবে।আমার যত টুকু মনে হই আমি কখনো নিজের উপর যেভাবে নিতে হই অইভাবে কিছু বলি নাই।

৫।অধিকার প্রাপ্ত বউ যদি সন্দেহ থেকে বা জানার জন্য কোন ঘটনা বইলা মাসলা নেই তাইলে কি মিথা বলার জন্য কোন সমস্যা হবে? সত্যি সেটা যদি না ঘটে। আমি অনেক হুজুর কে হাসবেন্ড কে বলছি যে আমি ত নিজের উপর বইলা ফেলছি।কিন্তু আমি যে ওয়াস ওয়াসা থেকে বলছিলাম মনে মনে ত সবসময় আসত তাই কিছু দিন পর মনে হইছে যে আমি মুখেও বইলা ফেলসি। আমার তালাক নেওয়ার কোন  ইচ্ছে ছিল না।এখন আমি যদি সেসময় সত্যি না বইলা থাকি অইভাবে বইলা মাসালা  নেওয়াই কি তালাক পতিত হবে??

৬।হাসবেন্ড যদি বউ কে ভুলে মা বলে ভুলে গেদিবলে বা মজা কইরা গেদি বলে।আর হাসবেন্ড তার মাকে ডাকার সময় বউ যদি উত্তর দেয় তাইলে কি বউ হারাম হবে।

৭।মাজে মাজে আমাদের ফোন এ জগরা হইত। এখন ত তা মনে পরছে না হুবুহু কি কথা হইছে।এখন কি সিম জানি কিভাবে কম্পিউটারে আগের কল রেকর্ড দেখা জাই অইরকম কি করতে হবে?হাসবেন্ড  ত রাজি হবে না এসব এ।আর মেসেঞ্জার  এর এসএমএস ডিলিট দেওয়া ।তাই জানা পসিবল না।এখন তাহলে কি করনিয়। নাকি আল্লাহ জা ভুলিয়ে দিয়েছেন তাই নিয়ে থাকা উচিত।হাসবেন্ড  কোনদিন একা বা সামনে সরাসরি অই কথা বলে নাই।

৮।কোন বিষয় হুবহু মনে না আসলে। তালাক হইছে কি হই নাই।নেগেটিভ পজিটিভ ৫০%৫০% হইলে কি করনিয়।সেই সময় কিছু হইয়া থাকলে আল্লাহ ভালো জানেন এখন ত স্পষ্ট মনে না আসলে পজিটিভ চিন্তা কইরা সংসার কিরলে কি পাপ হবে?

৯।আমি আমার হাসবেন্ড আমাদের আদর কইরা জা বইলা ডাকি আমার ছেলেকে মাঝে মাঝে তাই বইলা আদর কইরা ডাকি ২ জনে।এতে কি কোন সমস্যা হবে?

উপরের সব বিবরন পইরা মাসালা দিয়ে সাহায্য করুন

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
বউ যদি বলে ছেড়ে দেও হাসবেন্ড যদি বলে যাও গা তেমনি ভাবে মুক্তি দেও, মুক্তি দিলাম।এগুলা বলার সময় যদি হাসবেন্ড তালাকের নিয়ত না করে তাইলে কাযায়ান তালাক হই দিয়ানাতান তালাক হই না।এখন প্রশ্ন হল...৩ এর অধিক কাযায়ান তালাক হলে দিয়ানাতান তালাক না হলে, তারা সংসার করতে পারবে।

(২)
বউ যদি সাময়িক তালাকের অধিকার প্রাপ্ত থাকে তাইলে মজলিসের বাইরে শর্তযুক্ত তালাক দিতে পারবে না। আর সাময়িক তালাকের অধিকার দেওয়ার পর সাথে সাথে শর্ত না দিয়ে যদি এর মাজে অন্য কিছু নিয়া কথা কাটা কাটি হই বা কথা হই একি অবস্থানে থেকে তারপর যদি শর্ত দেয় তাইলে সে সময় মজলিস থাকবে না।

(৩)কোন কথপোকথন যদি হাসবেন্ড বউ কারো হুবুহু মনে না আসে।কিছু কিছু কথা যদি বিচ্ছিন্ন ভাবে মনে আসে তাইলে এই বিষয়কে পরিত্যাগ করতে হবে।

(ক)যখন ঝগরা হইছে তখন পাসের রুমে শাশুড়ী আর ননদ থাকছে। হাসবেন্ড সিওর দিয়া বলছে কোন দিন ছাইড়া দিলাম বলি নাই।অধিকার দেওয়ার মত কিছু তখন বলছে কিনা তার প্রেক্ষিতে আমি তখন শর্ত  দেওয়ার মত কিছু বলছি কিনা মনে নাই।তাহলে  শাশুড়ী আর ননদ কে এগুলা জিজ্ঞেস করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।

(৪)আমার মনে আছে আমি বিয়ের আগে পরেও বলছি যে কোন মেয়েলি বিষয় আর নেশা করলে আমি তুমার কাছে থাকব না।এখানে মেয়েলি বিষয় দারা নেগেটিভ কথা সম্পর্ক করা বা ফিজিকাল করা বুজাইছি।হাসবেন্ড মেয়েদের সাথে এমনে নেগেটিভ কথা বলছে মানে প্রেম বিষয় কিছু না।কারো সাথে সম্পর্ক  করে নাই।আর এক দুই দিন হইত হাবিজাবি খাইছে।তাইলে এতে শর্ত পূরন হবে না। তাছাড়া আপনি অধিকার প্রাপ্ত ছাড়া শর্ত দিতে পারবেন না।

আবার বলছি যে তুমি যদি এই কর (বেশি  সম্ভব মনে হই বিয়ের করার কথা বলছি আবার মনে হই যে মেয়েলি বিষয় নেশা  নিয়া ই বলছি নাকি)তাইলে আমি একাই ছাড়া হইয়া যাব।বলার সময় অধিকার ছিল কিনা ১০০% সিওর না।তাইলে কোন সমস্যা হবেনা।

(৫)অধিকার প্রাপ্ত বউ যদি সন্দেহ থেকে বা জানার জন্য কোন ঘটনা বইলা মাসলা নেয়, তাইলে মিথা বলার জন্য কোন সমস্যা হবে না। 

(৬)হাসবেন্ড যদি বউ কে ভুলে মা বলে ভুলে গেদি বলে বা মজা কইরা গেদি বলে। আর হাসবেন্ড তার মাকে ডাকার সময় বউ যদি উত্তর দেয় তাইলে বউ হারাম হবে না।

(৭) অতিতের সবকিছু ডিলেট করে দিবেন

(৮)কোন বিষয় হুবহু মনে না আসলে। তালাক হইছে কি হই নাই।নেগেটিভ পজিটিভ ৫০%৫০% হইলে, ধরে নিবেন যে,তালাক হয় নাই। 

(৯)আমি আমার হাসবেন্ড আমাদের আদর কইরা জা বইলা ডাকি আমার ছেলেকে মাঝে মাঝে তাই বইলা আদর কইরা ডাকি ২ জনে।এতে  কোন সমস্যা হবে না

বিঃদ্রঃ
তালাক নিয়ে কাল্পনিক প্রশ্ন পারিবারিক জীবনের জন্য অত্যান্ত ভয়ানক ও ক্ষতিকর।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...