আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
148 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আমার ভাই মারা যাওয়ার পর ভাই এর রেখে যাওয়া সম্পদের(যা বাজার মূল্য ২-৩ লাখ টাকার মতো ) অংশীদার হই কারন ভাইয়ের কোন ছেলে ছিলনা তিন মেয়ে ছিল, তাদের দিকে তাকিয়ে তখন আমি বলি এ সম্পদ আমার লাগবে না কিন্তু পরবর্তীতে ভাবী কে আমি ৫০০০০ হাজার টাকা দেনমোহর এ বিয়ে করি যা আমি পরিশোধ করিনি এবং আমার কাছে কিছু ধারের  টাকাও( ১৬ -২০ হাজার )পাবে। পরবর্তিতে সঙ্গত কারণে আমাদের মধ্যে তালাক হয়ে যায় , তালাক হয়ে যাওয়ার পরে যে কোন ভাবে আমার কাছে দেনমোহর এবং ধারের টাকা চাচ্ছে এবং আমিও দিতে বাধ্য এখানে আমার প্রশ্ন হচ্ছে এখন যদি আমি বলি সম্পদের অংশ যা  আমি পাবো সে অংশ আপনারা নিয়ে নেন দেনমোহর ও ধারের টাকা হিসেবে। এ বলাটা কতটুকু শরিয়ত সম্মত হবে এবং দেনমোহর ও ধারের টাকা কি পরিশোধ হবে???

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জবিউল ফুরুজঃ
এদের অংশ পবিত্র কোরআন শরীফে নির্ধারণ করে দেয়া আছে। জবিউল ফুরুজ হল ১২ জন। এদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ এবং বাকি ৮ জন মহিলা। ৪ জন পুরুষ হল - ১) স্বামী, ২)পিতা, ৩)দাদা, ৪) সৎ ভাই (বৈপিত্রেয়)। ৮ জন মহিলা হল - ১)স্ত্রী, ২)কন্যা, ৩)পুত্রের কন্যা, ৪)মাতা, ৫)দাদি এবং নানি, ৬)সহোদর বোন, ৭) সৎ বোন (বৈমাত্রেয়), ৮)সৎ বোন (বৈপিত্রেয়)। নির্ধারিত অংশের পরিমান নিম্নরূপঃ
(১) স্বামী ১/৪ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান থাকে।
(২) স্বামী ১/২ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান না থাকে।
(৩) স্ত্রী ১/৮ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান থাকে।
(৪) স্ত্রী ১/৪ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান না থাকে।
(৫) কন্যা ১/২ পাবে যখন একজন মাত্র কন্যা থাকে এবং পুত্র না থাকে।
(৬) কন্যা ২/৩ পাবে যখন দুই বা ততধিক কন্যা থাকে এবং পুত্র না থাকে।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/343

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার ভাইয়ের সম্পত্তি থেকে উনার তিন মেয়ে পাবে দুই তৃতীয়াংশ। এবং উনার স্ত্রী পাবে ৮ ভাগের ১ ভাগ।বাদবাকী সম্পত্তি আপনি পাবেন যদি আপনার মা বাব মৃত হন।
এই অবশিষ্ট সম্পত্তির একমাত্র মালিক যদি আপনি হন,এবং আপনার ভাইয়ের আর কোনো ওয়ারিশ জীবিত না থাকে, এবং এই সম্পত্তির মূল্য যদি ৫০ হাজার টাকা হয়, তাহলে আপনি এই সম্পত্তিকে মহরানা বাবৎ কর্তন করতে পারতেন।কিন্তু যেহেতু আপনি পূর্বে এই সম্পত্তি তাদেরকে দিয়ে দিয়েছেন, তাই এই সম্পত্তিতে আপনার কোনো অধিকার থাকছে না।সুতরাং আপনাকে এখন নিজ মাল থেকে মহর পরিশোধ করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...