আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
238 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
edited by

আসসালমুআলাইকুম হুজুর, 

আশা করছি plz উত্তর দিবেন হুজুর।

১.হুজুর  আমার ওয়াসওয়াসা আছে। একটা বিষয় হলো আমি এক জায়গাতে যাচ্ছিলাম। দিয়ে হটাৎ মনে মনে তালাক কথা টা মনে পড়ে জাই । দিয়ে মনে মনে বলা হয়েছে, আমি মুখে উচ্চরণ করিনি। আমার ঠোঁট এ ঠোঁট লাগিয়ে পুরো বন্দ ছিল। আমার মনে মনে তালাক কথা টা হয়। আমি উচ্চরণ করিনি। যখন কথা টা মনে হয় তখন আমি জিহ্ববা টা কে  নড়িয়ে দাতের সাতে স্পর্শ করিয়ে  দিয়েছি যাতে আর না নড়ে। কিন্তু আমি জিহ্ববা নড়িয়ে ওই কথাটা উচ্চরণ করিনি। কথা টা মনে মনেই হয়েছে। জিহ্ববা টা একটু নড়েছিল কারণ মনে মনে যখন ওটা হয় তখন জিহ্ববা কে দাতের সঙ্গে স্পর্শ করে চেপে রেখেছি যাতে উচ্চরণ না হয় বা জিহ্ববা না নড়ে। হুজুর আমি উচ্চরণ করিনি। এক্ষেত্রে কি তালাক হবে? হুজুর খুবই ভয় হচ্ছে খুবই ,,,,,,
২. হুজুর ভীষণ ভয় লাগছে দিয়ে বার বার একই কথা মনে মনে বলে দেখছিলাম যে কি হচ্ছে না হচ্ছে, দিয়ে ওয়াসওয়াসা র জন্য মনে হচ্ছে কিছুই হয়নি আবার ভয় এ মনে হচ্ছে উচ্চরণ হয়েছে নাকি এই রকম দুটানা র মধ্যে পড়ে যাচ্চি মনে হচ্ছে উচ্চরণ হয়নি । আর ওয়াসওয়াসা তে মনে হচ্ছে হয়েছে নাকি । কিন্তু আমি নিশ্চিত হয়ে বলতে পারবো না যে উচ্চরণ হয়েছে। আমার মনে হচ্ছে উচ্চরণ হয়নি । আবার ওয়াসওয়াসা র জন্য মনে হচ্ছে হয়ত হয়েছিল নাকি কিন্তু আমার মনে হচ্ছে উচ্চরণ হয়নি । বেশির ভাগই  মনে হচ্ছে উচ্চরণ হয়নি । হুজুর এক্ষেত্রে কি তালাক হবে?
৩.. দিয়ে আমি অনেক বার চেষ্টা করে দেখলাম যে কি বলেছি না বলেছি মনে মনে। দিয়ে হুজুর আমি তালাকের পরিবর্তে বিসমিল্লাহ বলে দেখছিলাম যাতে এই কথা টা বললে কোনো সমস্যা না হয়। আর উচ্চরণ করে বলছিলাম মনে মনে কেউ বিসমিল্লাহ বললে কিছু হবেনা। এই কথা টা বলছিলাম।দিয়ে দেখছিলাম আসলে উচ্চরণ হয়েছে কি না। হুজুর  এর জন্য কি কোনো তালাক হবে? আমি দেখছিলাম উচ্চরণ হয়েছিল কি না তাই ওই কথা টার পরিবর্তে নিজে নিজে  বিসমিল্লাহ বলে দেখছিলাম উচ্চরণ হয়েছে কিনা  এর জন্য কি তালাক হবে?
৪. স্ত্রী র সঙ্গে এমনি একটু ঝামেলা হয়েছে ফোন এ দিয়ে বলছি এখন কথা বলতে ইচ্ছা করছে না ফোন রাখো। আর একবার বলেছি , স্ত্রী আমাকে একটা কথা বলছে , দিয়ে আমি বলছি তোমার কথা মত চলতে পারব না । নরমালই  রেগে বলেছি আর অন্য কোনো কারণ নেই। হুজুর এর জন্য কি তালাক হবে?
৫. হুজুর মনে মনে  এমন মন হয়েছে , এক জায়গাতে বেড়াতে যাওয়ার কথা, এই কথা টা আমাকে স্ত্রী বলতে মানা করেছে কাও কে। দিয়ে আমার মনে মনে এমন হলো আমি যদি কাউ কে বলি তাহলে তালাক। মনে মনে বলেছি মুখে উচ্চরণ করিনি। তাহলে কি  শর্ত তালাক হবে? ও আপনাদের কে বললাম এর জন্য তালাক হবে? মনে মনে বলেছি  মুখে উচ্চরণ করিনি।
৬. হুজুর  মনে মনে এমন মনে হচ্ছে যদি অমুক জায়গায় বেড়াতে জাই তাহলে তালাক। হুজুর যখন এই কথা টা মনে মনে হয় তখন আমি জিহ্ববা দিয়ে ঠোঁট চাটছিলাম । কিন্তু আমি জিহ্ববা নড়িয়ে উচ্চরণ করিনি।  সত্যিই উচ্চরণ করিনি। জিহ্ববা নড়িয়ে দিয়ে এমনি ঠোঁট চাটছিলাম আর মনে মনে ওই কথা টা হলো । আমি মুখ নড়িয়ে জিহ্ববা নড়িয়ে উচ্চরণ করিনি মনে মনে ই হয়েছে। হুজুর এক্ষেত্রে কি শর্ত তালাক হবে? আমি উচ্চরণ করিনি।
*** হুজুর সেই জায়গাতে যদি বেড়াতে জাই তাহলে কি তালাক হবে?
৭. হুজুর আমার ঠোঁটের চামড়া উটেছে দিয়ে মুখের মধ্যে আছে। আমি থুতু ফেলার মত করে জিহ্ববা কে থু করে ফেলতে যাবো তখন মনে মনে হলো থুতু টা( ঠোঁটের চামড়া টা  ) যদি এই খানে পড়ে তাহলে তালাক মনে মনে হলো মুখে উচ্চরণ করিনি। থুতু ফেলতে গিয়ে জাস্ট জিহ্ববা টা নড়েছে ।কিন্তু আমি মুখে উচ্চরণ করিনি। ঠোঁট বা জিহ্ববা নড়িয়ে উচ্চরণ করিনি। এমনি থুথু ফেলতে গিয়ে জিহ্ববা নড়েছে। বাকি সব কিছু মনে মনে ই হয়েছে । এর জন্য কি তালাক হবে?

৮. দিয়ে মনে মনে হচ্ছে ঠোঁটের চামড়া উঠলে তালাক এই রকম মনে মনে হচ্ছে ,যখন মনে হচ্ছিল জিহ্ববা টা ঠোঁটে ঠেকে ছিল। উচ্চরণ করিনি , হুজুর যদি ঠোঁটের চামড়া ওঠে তাহলে কি তালাক হবে? বা আমি যদি ঠোঁটের ঠোঁটের চামড়া তুলি তাহলে কি তালাক হবে?
৯. হুজুর আমার খুবই চিন্তা হচ্ছে , হুজুর , মনে মনে প্রচন্ড ভয় হচ্ছে,  মনে হচ্ছে  আমি  উচ্চরণ করেছি ।   কিন্তু আমি আসলে উচ্চরণ করিনি,ন হাই তুলতে গিয়ে মনে মনে তালাক কথা টা হচ্ছে আর সঙ্গে সঙ্গে আমি আল্লাহ বিসমিল্লাহ বলছি উচ্চরণ করে। আর তালাক কথা টা মনে মনে হচ্ছে। আমি মুখে উচ্চরণ করিনি। যা হয়েছে মনে মনে। আর জিহ্ববা এমনি নড়েছে ওই কথা বলার জন্য নড়েনি। হুজুর তালাক হবে না তো?  আমি জিহ্ববা নড়িয়ে ওই কথা উচ্চরণ করিনি। কিন্তু এমনি কথা বিসমিল্লাহ আল্লাহ এই কথা উচ্চরণ করেছি।  হুজুর বাকি যা কিছু হয়েছে সব মনে মনে।
১০. হুজুর শয়তানের ওয়াসওয়াসা তে নানা রকমের কথা মনে হচ্ছে , মনে হচ্ছে উচ্চরণ করেছি হয়ত, এই রকম ভয় লাগছে হুজুর, কিন্তু আমি আসলে উচ্চরণ করিনি। আর যদি উচ্চরণ হয় আমি ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারবোনা যে  উচ্চরণ করেছি । হুজুর শয়তানের ওয়াসওয়াসা তে এমন হচ্ছে এর জন্য কি তালাক হবে?
১১. হুজুর আমার বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে? হুজুর কোনো সমস্যা হয়নি তো?

১২. হুজুর আমার যখন ঘুম পাচ্ছে তখন আমার হাই উটছে , যখন হাই উটছে, তখন মনে মনে তালাক, বা সর্ত তালাকের কথা মনে হচ্ছে। আমি উচ্চরণ করছিনা। কিন্তু হাই উটছে  তখন আল্লাহ বিসমিল্লাহ পড়ছি , যাতে অন্য কথা না মনে হয়, হাই উঠলে তো হালকা জিহ্ববা নড়বে। কিন্তু আমি জিহ্ববা নড়িয়ে ওই কথা উচ্চরণ করছি না,  মনে মনে কথা হচ্ছে, আর ভয় লাগছে উচ্চরণ হয়ে গেলো নাকি বলে মনে মনে যখন এমন হচ্ছে তখন আমার হাই উটছে  মুখ খোলা থাকছে , উচ্চরণ হবে বলে ভয় এ মুখ খুলছিনা, খুবই ভয় লাগছে । মনে মন, হয়েছে এর জন্য কি তালাক হবে? বা সর্ত তালাক হবে? আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা।

১৩. হুজুর ঠোঁটে জিহ্ববা দিয়ে ঠোঁট চুষছি তখন মনে মনে এমন হচ্ছে ঠোঁট চুষলে তালাক ,  জিহ্ববা দিয়ে ঠোঁট চুষছি কিন্তু উচ্চরণ করিনিএই রকম মনে মনে হচ্ছে, মুখে উচ্চরণ করিনি হুজুর, বিষয় হলো আমি যদি ঠোঁট চুষি তাহলে কি তালাক হবে? 


১৪ .হুজুর মনে মনে যতই তালাক কথা টা আসুক না কেনো আমি উচ্চরণ না করলে তো কোনো সমস্যা নেই তাইনা? আর মনে মনে যতই শর্ত তালাক এর কথা মনে হোক না কেনো , দিয়ে যদি সেই কাজ করি বা বলি তাহলে তো তালাক হবে না তাই তো হুজুর?

১৫. হুজুর আপনাদের কে সমস্ত ঘটনা বললাম, এবং ওই সব শব্দ গুলো লিখতে হয়েছে। এর পর যদি কোনো কিছু করি বা বলি তাহলে তালাক হবে না তো? আপনাদের কে বলার দরুন কোনো সমস্যা হবে না তো?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


শরীয়তের বিধান হলো, মুখে উচ্চারণ না করে শুধু মনে মনে তালাক দিলে বা মনে মনে শর্ত যুক্ত তালাক দিলে তাহা পতিত হবেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।

ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

অন্য এক হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(১-১০)
উপরে উল্লেখিত কোনো ছুরতেই তালাক হবেনা। 
শর্তযুক্ত তালাকও হবেনা।

(১১)
আপনার বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে।  কোনো সমস্যা হয়নি। 

(১২-১৪)
এসব ছুরতেও  তালাক হবেনা। 
শর্তযুক্ত তালাকও হবেনা।

(১৫)
আপনি আমাদেরকে কে সমস্ত ঘটনা বললেন, এবং ওই সব শব্দ গুলো লিখলেন। এর পর যদি কোনো কিছু করেন বা বলেন, তাহলে তালাক হবে না।
আমাদেরকে বলার দরুন কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...