আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
116 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম।

১/ আমার কিছু জিনিস যদি আমার এমন কোন বান্ধবীকে দিয়ে আনাইতে চাই, যে বাইরে বেপর্দায় বের হয়, তবে আমার কি কোন গুনাহ্ হবে তার এই বেপর্দায় বের হবার দ্বারা? যেহেতু আমার প্রয়োজনে সে ওইসময় বের হচ্ছে!

২/শখের বশে বা বেড়াতে যাবার প্রয়োজনে সফরে বের হলে নামাজের যে মাসআলা, নামাজ আদায়ের সুযোগ না থাকা, নামাজের সাদৃশ্য গ্রহণ করা ইত্যাদি বিষয় হলে পরবর্তীতে নামাজকে দোহরিয়ে নিলেও কি গুনাহ্ হবে? যেহেতু ওয়াক্তমতো আদায় করতে পারে নি!

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

ওয়া আলাইকুম আসসালাম। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আমাদের মনে রাখতে হবে,পরকালে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ আ'মলের হিসাব নিকাশ দিতে হবে।কারো পাপের বোঝাকে অন্য কেহ বহন করবে না।

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়। (সূরা ফাতির-১৮)

সুতরা যে ব্যক্তি বেপর্দাভাবে চলাফিরা করবে,তারই গোনাহ হবে।তথা ঐ মহিলা বেপর্দাভাবে চলাফিরা করলে তার গোনাহ হবে।আপনি তাকে কিছু ক্রয় করার কথা বলছেন।তাকে তো বেপর্দাভাবে চলাফিরা করার কথা বলেননি।সুতরাং আপনার মাল ক্রয় করতে যেয়ে যদি সে বেপর্দাভাবে ঘুরেফিরা করে,সেই বেপর্দা চলাফিরার জন্য গোনাহ তারই হবে।হ্যা সতর্কতামূলক আপনি তাকে পর্দা সহকারে চলাফিরা করার পরামর্শ দিয়ে আপনার কাজের দায়িত্ব তাকে দিতে পারেন।

(২)
নামাজকে তার সঠিক সময়ে আদায় করতে হবে, এবং সঠিক সময়ে আদায় করাই প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরজ।যেমন আল্লাহ তা'য়ালা বলেনঃ
 ﺇﻥ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻛﺎﻧﺖ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻤﺆﻣﻨﻴﻦ ﻛﺘﺎﺑﺎ ﻣﻮﻗﻮﺗﺎ
)ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ- 103
নিশ্চয় নামাজ মুমিনদের উপর ফরজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। (সূরা নিসা-১০৩)

বিশিষ্ট মুফাস্সিরে কোরআন আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ুতি রাহ, উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেনঃ 
إنَّ الصَّلَاة كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا} 
مَكْتُوبًا أَيْ مَفْرُوضًا {مَوْقُوتًا} 
أَيْ مُقَدَّرًا وَقْتهَا فَلَا تُؤَخَّر عَنْهُ
অর্থ্যাৎ-নামাজ নির্দিষ্ট সময়ের সাথেই ফরজ, সেই সময় থেকে নামাজকে কখনো পিছানো যাবেনা।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে প্রতিটা নামাজের নির্দিষ্ট ওয়াক্ত বা সময় রয়েছে।

যদি শরীয়তের দৃষ্টিতে কোনো গ্রহণযোগ্য উযরের কারণে কেউ সঠিক সময়ে নামায পড়তে না পারে বা কেউ ক্রুতিযুক্ত নামায পড়ে কিংবা নামাযির সাদৃশ্য গ্রহণ করে,তাহলে পরবর্তীতে নামাযকে পড়ে নিলে বা দোহড়িয়ে নিলে কোনো গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...