ওয়া আলাইকুম আসসালাম।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আমাদের মনে রাখতে হবে,পরকালে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ আ'মলের হিসাব নিকাশ দিতে হবে।কারো পাপের বোঝাকে অন্য কেহ বহন করবে না।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়। (সূরা ফাতির-১৮)
সুতরা যে ব্যক্তি বেপর্দাভাবে চলাফিরা করবে,তারই গোনাহ হবে।তথা ঐ মহিলা বেপর্দাভাবে চলাফিরা করলে তার গোনাহ হবে।আপনি তাকে কিছু ক্রয় করার কথা বলছেন।তাকে তো বেপর্দাভাবে চলাফিরা করার কথা বলেননি।সুতরাং আপনার মাল ক্রয় করতে যেয়ে যদি সে বেপর্দাভাবে ঘুরেফিরা করে,সেই বেপর্দা চলাফিরার জন্য গোনাহ তারই হবে।হ্যা সতর্কতামূলক আপনি তাকে পর্দা সহকারে চলাফিরা করার পরামর্শ দিয়ে আপনার কাজের দায়িত্ব তাকে দিতে পারেন।
(২)
নামাজকে তার সঠিক সময়ে আদায় করতে হবে, এবং সঠিক সময়ে আদায় করাই প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরজ।যেমন আল্লাহ তা'য়ালা বলেনঃ
ﺇﻥ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻛﺎﻧﺖ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻤﺆﻣﻨﻴﻦ ﻛﺘﺎﺑﺎ ﻣﻮﻗﻮﺗﺎ
)ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ- 103
নিশ্চয় নামাজ মুমিনদের উপর ফরজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। (সূরা নিসা-১০৩)
বিশিষ্ট মুফাস্সিরে কোরআন আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ুতি রাহ, উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেনঃ
إنَّ الصَّلَاة كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا}
مَكْتُوبًا أَيْ مَفْرُوضًا {مَوْقُوتًا}
أَيْ مُقَدَّرًا وَقْتهَا فَلَا تُؤَخَّر عَنْهُ
অর্থ্যাৎ-নামাজ নির্দিষ্ট সময়ের সাথেই ফরজ, সেই সময় থেকে নামাজকে কখনো পিছানো যাবেনা।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে প্রতিটা নামাজের নির্দিষ্ট ওয়াক্ত বা সময় রয়েছে।
যদি শরীয়তের দৃষ্টিতে কোনো গ্রহণযোগ্য উযরের কারণে কেউ সঠিক সময়ে নামায পড়তে না পারে বা কেউ ক্রুতিযুক্ত নামায পড়ে কিংবা নামাযির সাদৃশ্য গ্রহণ করে,তাহলে পরবর্তীতে নামাযকে পড়ে নিলে বা দোহড়িয়ে নিলে কোনো গোনাহ হবে না।