জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ وَجَدَ سَعَةً فَلَمْ يُضَحِّ فَلَا يَقْرَبَنَّ مُصَلَّانَا
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কুরবানী করে না, সে যেন অবশ্যই আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়। (মুসনাদ আহমাদ ৮২৭৩, ইবনে মাজাহ ৩১২৩, হাকেম ৭৫৬৫-৭৫৬৬)
কুরবানির দিনগুলো অর্থাৎ যিলহজ্বের ১০, ১১ ও ১২ এই ৩ দিন পুরো সময় কেউ যদি মুসাফির অবস্থায় থাকে, তাহলে তার উপর কুরবানি ওয়াজিব নয়।
(বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৯)
فى الدر المختار: (عَلَى حُرٍّ مُسْلِمٍ مُقِيمٍ) بِمِصْرٍ أَوْ قَرْيَةٍ أَوْ بَادِيَةٍ عَيْنِيٌّ، فَلَا تَجِبُ عَلَى حَاجٍّ مُسَافِرٍ؛ فَأَمَّا أَهْلُ مَكَّةَ فَتَلْزَمُهُمْ وَإِنْ حَجُّوا،
সারমর্মঃ
আযাদ,মুসলমান, মুকিমের উপর কুরবানী ওয়াজিব
হজ রত মুসাফিরের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়,তবে যারা মক্কা বাসী,তাদের উপর কুরবানি ওয়াজিব।
তবে একটি মাসয়ালাঃ-
যে সকল হাজী মক্কা,মিনা ও মুযদালেফা মিলে কুরবানীর সময় ১৫ দিন থাকবে তারা মুকীম। নেসাবের মালিক হলে হজ্বের কুরবানী ব্যতীত তাদের উপর ঈদুল আযহার কুরবানীও ওয়াজিব। আর যারা মুসাফির থাকবেন তাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। (ফাতাওয়া হিন্দীয়া ৫/২৯৩)
হজ্বে তামাত্তু/কেরানকারীর উপর দমে শোকর আবশ্যক হয়। যেটি কুরবানীর দিনসমূহে আদায় করতে হয়। সেই সাথে তার উপর যদি নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে, আর তিনি মুকীম হন, তাহলে তার উপর ঈদুল আযহার কুরবানীও আবশ্যক হবে।
,
তাই তার উপর দু’টি কুরবানী করা আবশ্যক হবে।
স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশ থেকে যারা গমণ করে থাকেন, তারা হজ্বে তামাত্তু/কেরানেরই নিয়ত করে থাকেন, পনের দিনের বেশি অবশ্যই মক্কায় বসবাস করে থাকেন, অর্থাৎ তারা মুকীম হয়ে যান।
তার উপর দু’টি কুরবানী করা আবশ্যক। একটি হজ্বের তামাত্তু/কেরান এর দমে শোকর। আরেকটি হল, কুরবানী।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বাংলাদেশী হাজী সাহেবগন যেহেতু তামাত্তু'/কেরান আদায় করে থাকে,এক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি পনের দিনের বেশি অবশ্যই মক্কায় বসবাস করে থাকে,সেক্ষেত্রে তার উপর দু’টি কুরবানী করা আবশ্যক।
২টিই মক্কায় আদায় করতে পারে,অথবা একটি মক্কায়, আরেকটি দেশে ব্যবস্থা করবে।
(০২)
এই টাকা যদি তার দৈনন্দিন প্রয়োজন অতিরিক্ত হয়,আর যদি পনের দিনের বেশি অবশ্যই মক্কায় বসবাস করে থাকে,সেক্ষেত্রে তার উপর কুরবানী করা আবশ্যক।
(০৩)
এক্ষেত্রে তিনি বাড়তি টাকাগুলো ঋণ করে হজ্জ্ব করতে পারবেন। এভাবে ঋণ করে হজ্জ্ব করা জায়েজ।
(০৪)
এতে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই।
(০৫)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই দুধ ক্রয় করা এবং খাওয়া ক্রেতার জন্য জায়েজ হবে।
ক্রেতার জন্য এটা আবশ্যক নয় যে সে গরুর ঘাস এর জায়েজ নাজায়েজ এর বিষয়ে খোঁজ করবে।
বরং খোঁজ না করেও সে দুধ কিনতে পারবে।
সমস্যা নেই।