আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
268 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (14 points)
edited by
প্রশ্ন ১) আমি ও আমার স্ত্রী ফোনের মধ্যে নাটকের এক অভিনেতার বিষয়ে এবং উনার নাটকের সংলাপ বিনিমিয় করছিলাম। আমি একটা ডায়লগ বলছিলাম এবং আমার স্ত্রী উনার অন্য কোন একটা ডায়লগ বলছিলাম। হটাৎ আমার স্ত্রী বলে " *****, ****, *****" ( একটু বুঝে নিবেন দয়া করে)। মোট তিনবার উচ্চারণ করে । আমি চমকিয়ে উঠি এবং স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করি এটা কাকে বলেছো? আমার স্ত্রী উত্তর দেয় ",তোমাকে একথা বলিনি ,এটাও নাটকের ডায়লগ ,তোমাকে উদ্দেশ্য করে বলিনি।" আমি একজন মুফতি সাহেবকে জিজ্ঞেস করি ।উনি আমাকে জিজ্ঞেস করেন কে বলেছে ? আমি মুফতি সাহেবকে বলি আমার স্ত্রী বলেছে। মুফতি সাহেব ফতুয়া দিলেন কোন সমস্যা নাই। স্ত্রী বললে কোন সমস্যা নাই। তখন আমি এই বিষয়ে ইন্টারনেটে মাসলা মাসায়েল ঘাটাঘাটি করে কাবিন নামার ১৮ নাম্বার এর বিষয়ে জানতে পারি, এর আগে এই বিষয়ে আমি আগে জানতাম না। আরো অনেক আগে আমাদের বিয়ের পর একবার স্ত্রী একদিন আমাকে বলেছিল যে ," সামী ***** দিতে পারবেনা না, স্ত্রীকে নাকি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে" এইটা নাকি কাবিননামায় লিখা হয়েছে কিন্তু আমি তখনও জানতাম যে আসলে কাবিননামায় কি লিখা ছিল। আমি আমার কাবিন নামা বের করে দেখি কাবিন নামায় আমার স্ত্রীকে ***** ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এবং সাথে দুইটা শর্ত সামী যদি পাগল ,উন্মাদ হয়ে যায় তখন স্ত্রী অইটা দিতে পারবে।কাবিন নামা দেখে  আমি স্ত্রীকে বলি "ওই ক্ষমতা আমি তোমাকে দেইনি,ওই ক্ষমতা কাজী সাহেব দিয়েছেন,আমি জানতাম ও না এই বিষয়ে। আমি ক্ষমতা ( ****** এর অধিকার ) আমার কাছে ফিরিয়ে নিলাম।" স্ত্রীও সম্মতি হয়।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে উপরোক্ত ঘটনায় আমার স্ত্রীর ওই ব্যাক্তির ডায়লগ (*****) আমার সামনে বলার কারনে কোন সমস্যা হবে কিনা ?  এবং আমি যে স্ত্রীর থেকে **** অধিকার ফিরিয়ে নিলাম ।এইভাবে বলার কারনে আমার স্ত্রীকি তা*** অধিকার হারিয়েছে?

২) এক নাম্বার প্রশ্নের ঘটনার পর স্ত্রীকে বলি , " এক হিসেবে ভালোই হয়েছে, আমি তোমার থেকে অধিকার টা ফিরিয়ে নিতে পেরেছি"।
একথার কারনে কোন সমস্যা হবে ?

৩) আমার স্ত্রীর অই নাটকের ডায়লগ বলার কারনে আমার নতুন করে সন্দেহ হচ্ছে যে অই নাটকের ডায়লগ (*****) শব্দটি আমি কখনো আমার স্ত্রীর সামনে উচ্চারন করেছি কিনা?।এতদিন সন্দেহ হয়নি নতুন করে সন্দেহ হচ্ছে নাকি এটা ওয়াসওয়াসা।
আমার মনে পড়েনা এইরকম কোন কথা বলেছি।আবার ভয় ও হচ্ছে যদি নাটকের সংলাপ বলে থাকি ।

৪) প্রশ্ন লিখতে গিয়ে "সামী ****** দিতে " ভুলে লিখেছিলাম প্রথমে "সামী ****** দিয়ে " এটা লিখেছিলাম । এর দরুন কোন সমস্যা হবে কিনা?  আমি তো আসল শব্দটাই লিখতে ভয় পাই তাই সাংকেতিক ভাবে ******** লিখি। এটা তো শরীয়তের ভাষা ও না আর কেনায়া শব্দ ও না ।

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
উপরোক্ত ঘটনায় আপনার স্ত্রীর ওই ব্যাক্তির ডায়লগ (*****) আপনার সামনে বলার কারনে কোন সমস্যা হবেনা। এবং আপনি যে স্ত্রীর থেকে **** অধিকার ফিরিয়ে নিলেন। এইভাবে বলার কারনে আপনার স্ত্রী তা*** অধিকার হারায়নি।
এভাবে তালাকের অধিকার ফিরিয়ে নেয়ার দ্বারা ফিরিয়ে নেয়া হয়না।

(০২)
একথার কারনে কোন সমস্যা হবেনা।

(০৩)
আপনি সন্দেহকে পাত্তা দিবেননা।
আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক আগের মতোই বহাল রয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। 

(০৪)
এর দরুন কোন সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...