আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
289 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ

হুজুর,

১) জায়নামাজে দাঁড়িয়ে "ইন্নি ওয়াজজাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাহি......" এটা পড়া সুন্নাত কিনা,
২) ওযূ করে আকাশের দিকে তাকিয়ে সুন্নাত আমল কি?
৩) শুনেছি সোম ও বৃহস্পতিবার রোযা রাখা সুন্নাত, আবার শুনি বুধ ও বৃহস্পতিবার এর রোযার কথা, বিষয়টা তে আমি ক্লিয়ার না,  ক্লিয়ার করে বললে ভাল হয়।
৪) প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর উপর জ্ঞন অর্জন ফরয, উক্ত হাদিসটি  বাংলা উচ্চারণ ও আরবি বানান সহ " জানালে ভাল হয়।

৫) শব্দগুলোর শুদ্ধরুপ বাংলা এবং আরবি সহ জানালে ভাল হয়ঃ  ★ রহমাতুল্লিল 'আলামিন★ আশরফিল আম্বিয়া, ★সাইয়্যিদুল মুরসালিন★ খতামান্নাবিয়্যিন,★ শাফি'উল মুযনিবীন
জাজাক আল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১) শরীয়তে জায়নামাযের দুআ বলতে কোন কিছু নেই। আমাদের সমাজে জায়নামাযের দুআ হিসেবে যা পড়া হয় সেটা কোন দলিল নির্ভর বক্তব্য নয়। বরং এটা নিছকই বানোয়াট একটি মতবাদ। এটাকে রাসূল সাঃ এর শিখানো পদ্ধতি মনে করা সুষ্পষ্ট বিদআত হবে। কোন সন্দেহ নেই।

আরো জানুনঃ 
,
(০২) 
অযু শেষে কালেমায়ে শাহাদত পড়া সুন্নাত।
  
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ يَتَوَضَّأُ فَيُبْلِغُ – أَوْ فَيُسْبِغُ – الْوَضُوءَ ثُمَّ يَقُولُ: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ إِلَّا فُتِحَتْ لَهُ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ الثَّمَانِيَةُ يَدْخُلُ مِنْ أَيِّهَا شَاءَ
“তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি উত্তম ও পূর্ণাঙ্গ রূপে ওযূ করার পর বলে:
«أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ»
“আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোনো ইলাহ (উপাস্য) নেই , তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মদ-সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-তাঁর বান্দাহ্ ও রাসূল- তাহলে তার জন্যে জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেয়া হয়। সে ইচ্ছা করলে এর যে কোনো দরজা দিয়ে (জান্নাতে) প্রবেশ করতে পারবে।” [সহীহ মুসলিম (২৩৪)।]
.
★অযু শেষে আসমানের দিকে তাকানো মুস্তাহাব।

حدثنا الحسین بن عیسی قال ثنا عبد اللہ بن یزید المقریٴ عن حیوة بن شریح عن أبي عقیل عن ابن عمہ عن عقبة بن عامر الجہني عن النبي صلی اللہ علیہ وسلم ولم یذکر امر الرعایة قال عند قولہ فأحسن الوضوء ثم رفع نظرہ إلی السماء فقال وساق الحدیث بعنی حدیث معاویة (ابوداوٴد: ۱/۲۳، ط: اتحاد دیوبند) 
রাসুল সাঃ উত্তম রুপে অযু করলেন,অতঃপর চেহারা আসমানের দিকে উচু করলেন (তাকালেন).

 -সুনানে আবু দাউদ ১/২৩; মুসনাদে আহমদ ১/২৭৪; সুনানে তিরমিযী ১/১৮; মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা ১/২৩৬, ১৫/৪২৩
.

وأن یقول بعد فراغہ سبحانک اللہم وبحمدک أشہد أن لا إلٰہ إلا أنت استغفرک وأتوب إلیک وأشہد أن محمداً عبدک ورسولک ناظراً إلی السماء (شامی: ۱/۲۵۳)

সারমর্মঃ অযু শেষে  আসমানের দিকে তাকিয়ে 
 سبحانک اللہم وبحمدک أشہد أن لا إلٰہ إلا أنت استغفرک وأتوب إلیک وأشہد أن محمداً عبدک ورسولک  পড়বে।

,  
তবে শায়খ আলবানী রহঃ বলেছেন যে  
কালেমা শাহাদাত পড়ার সময় আকাশের দিকে তাকানোর প্রয়োজন নেই, এ সম্পর্কিত হাদীস মুনকার বা যঈফ। [শায়খ আলবানী, ইরোয়াউল গালীল ১/১৩৫]
,
সুতরাং তার মতানুসারীগন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।
এতে কোনো সমস্যা নেই।      
,
(০৩)
সোম ও বৃহস্পতিবার রোযা রাখা সুন্নাত

 হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
من حديث أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَصُومُ الاثْنَيْنِ وَالْخَمِيسَ، فَقِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؛ إِنَّكَ تَصُومُ الإِثْنَيْنِ وَالْخَمِيسَ، فَقَالَ إِنَّ يَوْمَ الاثْنَيْنِ وَالْخَمِيسَ يَغْفِرُ اللَّهُ فِيهِمَا لِكُلِّ مُسْلِمٍ إِلَّا مُهْتَجِرَيْنِ، يَقُولُ دَعْهُمَا حَتَّى يَصْطَلِحَا.

রাসূলুল্লাহ সাঃ সোমবার এবং বৃহস্পতিবার রোযা রাখতেন।রাসূলুল্লাহ সাঃ কে ঐ দিনগুলোতে রোযা রাখার হেকমত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন,আল্লাহ তা'আলা সোমবার এবং বৃহস্পতিবার প্রত্যেক মুসলমানকে ক্ষমা করে দেন।শুধুমাত্র ঝগড়াটে ব্যক্তি ছাড়া যতক্ষণ না তারা আপসে সংশোধন করছে।(সুনানু ইবনি মা'জা-)
,
(০৪)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ طَلَبُ الْعِلْمِ فَرِيضَةٌ عَلى كُلِّ مُسْلِمٍ

উচ্চারনঃ তলাবুল ইলমি ফারিদতুন আলা কুল্লি মুসলিমিন।

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘ইলম বা জ্ঞানার্জন করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ফরয।
(ইবনু মাজাহ্ ২২৪, সহীহুল জামি‘ ৩৯১৩, য‘ঈফুল জামি‘ ৩৬২৬, বায়হাক্বী ১৫৪৪।)

তবে এ হাদীসের শেষে مسلمة শব্দ যা সাধারণের মধ্যে প্রসিদ্ধ। অবশ্য এর কোনই ভিত্তি নেই। 
,
(০৫)
প্রশ্নে উল্লেখিত শব্দগুলোর শুদ্ধরুপ বাংলা এবং আরবিঃ
رحمة للعالمين 
রহমাতুল্লিল 'আলামিন
.
اشرف الأنبياء 
 আশরাফুল আম্বিয়া,
,
سيد المرسلين 
সাইয়্যিদুল মুরসালিন
.
خاتم النبيين 
খতামুন্নাবিয়্যিন,
,
شافع المذنبين
 শাফি'উল মুযনিবীন


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...