ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) শয়তানের কিছু বা অধিকাংশ বৈশিষ্ট্য যার কাছে থাকে,তাকেই মানুষ শয়তান বলে।
(২) মানুষ শয়তান মুসলিম, অমুসলিম উভয় থেকেই হতে পারে তাদের খারাপ কৃতকর্ম দ্বারা।
(৩) কোনো খারাপ লোক যিনি মুসলিম, তাকে শয়তান বললে ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।
(৪) কম বয়সী ছেলে মেয়েদের দুষ্ট বোঝাতে শয়তান ডাকলে ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।
(৫)কোনো মুমিন মুসলামানকে কাফির ব্যাতিত অন্য কিছু যেমন খারাপ লোক বুঝাতে শয়তান বলে ডাকলে ইমানে কোনো সমস্যা হবে না।
(৬)কোনো মুসলমানকে যদি বলা হয় যে,দিনদিন তার শয়তানি বাড়ছে তাহলেও ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।
(৭)কোন মুসলিম ছোট বাচ্ছাকে দুষ্টোমি না করতে বুঝাতে যদি শয়তানি কম করতে বলা হয়, তাহলেও ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।
(৮)কেউ যদি মুখে বলে "যে ব্যক্তি তার তালাকের বিষয়ে সঠিক সমাধান করে দিবে, তাকে ৫০০ টাকা হাদিয়া দিবে। কিন্তুু তা কেউ সমাধান করে দেওয়ার পর যদি সেই হাদিয়া তাকে না দেওয়া হয়, তাহলে স্ত্রী তালাক হবে না।
(৯)কেউ যদি মুখে বলে "যে ব্যক্তি তার তালাকের ওয়াসওয়াসা দূর করে দেবে, তাকে ৫০০ টাকা হাদিয়া দিবে। কিন্তুু কারও দ্বারা তার তালাকের ওয়াসওয়াসা দূর হওয়ার পর যদি সেই হাদিয়া না দেয়,তাহলে তার স্ত্রী তালাক হবে না।
(১০)হানাফি মাজহাব অনুযায়ী পুরুষাঙ্গে আবরন ছাড়া সরাসরি হাত লাগলে অযু ভঙ্গ হবে না। এবং লিঙ্গ দেখলেও অযু ভঙ্গ হবে না।
(১১) যুহরের ৪ রাকাত সুন্নতে মুয়াক্কাদা নামাজ জামাতের পরে পড়তে চাইলে প্রথমে ২রাকাত সুন্নতে বা’দিয়া, তারপর ৪ রাকাত সুন্নতে কাবলিয়া পড়তে হবে।
(১২) সুনান আত-তিরমিজির ২২৭২নং হাদিসটি হাসান পর্যায়ের।যারা গরীব বলেছেন,তাদের বক্তব্যকে কেউই গ্রহণ করেননি।