এক্ষেত্রে উক্ত মেয়ে যদি খালেস দিলে তওবা করে ফিরে আসে,আর স্বামীও যদি বিষয়টি জিজ্ঞাসা না করে,সেক্ষেত্রে স্ত্রী তাহা না জানালে ধোঁকার শামিল হবেনা।
তবে স্বামী তাহা জানতে চাইলে অথবা অবস্থা যদি এমন হয় যে স্বামী তাহা জেনে যাবেই,সেক্ষেত্রে জানানো উচিত।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
হযরত আমর ইবনুল আহওয়াস রা. বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
সাবধান, তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের উপর রয়েছে কিছু অধিকার, আর তোমাদের স্ত্রীদের জন্যও তোমাদের উপর রয়েছে কিছু অধিকার। তোমাদের অধিকার এই যে, স্ত্রীরা কোনোভাবেই তোমাদের বিছানায় এমন কাউকে পদার্পণের সুযোগ দিবে না, যাকে তোমাদের পছন্দ নয়। এবং তোমাদের ঘরে এমন কাউকে প্রবেশের অনুমতি দিবে না, যাকে তোমাদের অপছন্দ।
সাবধান, তোমাদের উপর তাদের অধিকার এই যে, খোরপোষের বিষয়ে তাদের প্রতি সদাচার করবে।-জামে তিরমিযী, হাদীস : ১১৬৩; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ১৮৫১
মুআবিয়া কুশাইরী রাহ. বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খেদমতে আরজ করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! স্ত্রীদের বিষয়ে আমাদের প্রতি আপনার আদেশ কী? তিনি বললেন-
তোমরা যেমন খাও তাদেরকেও তেমন খাওয়াও, তোমরা যেমন পর, তাদেরকেও তেমন পরাও। তাদেরকে প্রহার করো না ও কটু কথা বলো না।-সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস : ৪১৬৩; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ২১৪২
ফাতওয়ার কিতাবে আছেঃ
الفقه الإسلامي وأدلته للزحيلي (10/ 7380):
"نفقات العلاج: قرر فقهاء المذاهب الأربعة أن الزوج لا يجب عليه أجور التداوي للمرأة المريضة من أجرة طبيب وحاجم وفاصد وثمن دواء، وإنما تكون النفقة في مالها إن كان لها مال، وإن لم يكن لها مال، وجبت النفقة على من تلزمه نفقتها؛ لأن التداوي لحفظ أصل الجسم، فلا يجب على مستحق المنفعة، كعمارة الدار المستأجرة، تجب على المالك لا على المستأجر، وكما لا تجب الفاكهة لغير أدم.
সারমর্মঃ
চার মাযহাবের উলামায়ে কেরামগন বলেছেন যে স্ত্রীর চিকিৎসা খরচ,ডাক্তার বিল স্বামীর উপর ওয়াজিব নয়।
তার চিকিৎসা তার সম্পদ থেকেই করা হবে,যদি তার সম্পদ না থাকে,এক্ষেত্রে তার নফকাহ যার উপর আবশ্যক তার উপরেই চিকিৎসা খরচ বর্তাবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
স্ত্রীর চিকিৎসা খরচ স্বামীর উপর ওয়াজিব নয়।
স্ত্রী নিজ মালিকানা টাকা হতে খরচ করবে,তাহা না থাকলে মেয়ের অভিভাবকদের দায়িত্ব থাকবে।
তবে স্ত্রী যেহেতু স্বামীর এমন অনেক কাজই করে,যাহা তার উপর ওয়াজিব নয়,তাই তার চিকিৎসা খরচও স্বামীই দিবে।
এটি শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে ওয়াজিব না হলেও দিয়ানাতান ও আখলাক এর দিক হতে জরুরী।
আরো জানুনঃ-
★স্বামীর উপর স্ত্রীর ভরণপোষণ এবং বাসস্থান ওয়াজিব।চিকিৎসা খরচ ভরণপোষণ বা বাসস্থানের অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বামীর নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। যেভাবে স্বামীর উপর স্ত্রীর চিকিৎসা খরচ ওয়াজিব নয় ঠিক সেভাবে স্ত্রীর উপর স্বামীর রান্নাবান্নারও দায়িত্ব নেই।অন্যদিকে স্ত্রীকে রান্না করা খাবার পাঠিয়ে দেওয়া স্বামীর দায়িত্ব ও কর্তব্য।
সুতরাং যেহেতু আমাদের সমাজের স্ত্রীরা স্বামীকে বা স্বামীর বাড়ীর লোকজনকে রান্না করে খাওয়ান, তাই স্বামীরাও তাদের স্ত্রীদের চিকিৎসা খরচ বহন করবেন।
আরো জানুনঃ-