জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মহিলাদের কন্ঠস্বর পর্দার অন্তর্ভুক্ত।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا (32) وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى
হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে আকর্ষণধর্মী ভঙ্গিতে কথা বলনা, যাতে যাদের মাঝে যৌনলিপ্সা আছে তারা তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা স্বাভাবিক কথা বল। এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে, জাহেলী যুগের মেয়েদের মত নিজেদের প্রকাশ করো না। {সূরা আহযাব-৩২}
কুরআনে কারীমে অপর আয়াতে ইরশাদ হয়েছে,
إِنَّ السَّمْعَ وَالبَصَرَ وَالفُؤَادَ كُلُّ أُولَئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُولًا.
...নিশ্চয় কান, চোখ, হৃদয় এর প্রতিটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। সূরা বনী ইসরাঈল (১৭) : ৩৬
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।
فَالْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ، وَالْأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الِاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الْكَلَامُ، وَالْيَدُزِنَاهَا الْبَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا، وَالْقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى، وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, চোখের জিনা হল [হারাম] দৃষ্টিপাত। কর্ণদ্বয়ের জিনা হল, [গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক] কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা। জিহবার জিনা হল, [গায়রে মাহরামের সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন। হাতের জিনা হল, [গায়রে মাহরামকে] ধরা বা স্পর্শকরণ। পায়ের জিনা হল, [খারাপ উদ্দেশ্যে] চলা। অন্তর চায় এবং কামনা করে আর লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবে রূপ দেয় [যদি জিনা করে] এবং মিথ্যা পরিণত করে [যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে জিনা না করে]। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৯৩২}
★গ্রহনযোগ্য মতানুসারে যেহেতু মহিলাদের কন্ঠও সতরের অন্তর্ভুক্ত।
https://www.ifatwa.info/1058
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
গ্রহনযোগ্য মত অনুসারে নারীদের কন্ঠস্বর পর্দার আওতাভুক্ত।
সুতরাং বিভিন্ন জায়গায় যে শর্ত দেয়া থাকেঃ-পুরুষ সদস্য আশেপাশে থাকলে হেডফোন ব্যবহার করবেন।কোন পুরুষ সদস্য যেন কন্ঠ না শুনেন।
এক্ষেত্রে যদি কোন পুরুষ সদস্য শুনে ফেলে,সেক্ষেত্রে দেখতে হবে যে অডিওটি কি পাবলিক ছিলো কিনা?
যদি পাবলিকলি ছাড়া হয়,সেক্ষেত্রে কেয়ামত এর দিন সে নারীর কোন শাস্তি হবে।
আর যদি পাবলিকলি ছাড়া না হয়,বরং বিশেষ কিছু মহিলাদের কাছে উপরোক্ত শর্তের ভিত্তিতে পাঠানো হয়,এক্ষেত্রে যদি কোন পুরুষ সদস্য শুনে ফেলে,সেক্ষেত্রে কেয়ামত এর দিন সে নারীর কোন শাস্তি হবেনা।
কেউ যদি সে শর্ত ভঙ্গ করে সেটা আমানতের খিয়ানত কারী হবে।গুনাহগার হবে।
(নারীর কন্ঠস্বর পর্দার আড়াল হতে বিশেষ প্রয়োজনে ফিতনার আশংকা না থাকার শর্তে শোনার অনুমতি রয়েছে।
তবে অপ্রয়োজনীয় কথা শোনার অনুমতি নেই।)