আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
167 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (48 points)
আসসালামু আলাইকুম। নারীদের কন্ঠস্বর কি পর্দার আওতাভুক্ত?বিভিন্ন জায়গায় দেখি শর্ত দেয়া থাকে।পুরুষ সদস্য আশেপাশে থাকলে হেডফোন ব্যবহার করবেন।কোন পুরুষ সদস্য যেন কন্ঠ না শুনেন।

যদি কোন পুরুষ সদস্য শুনে ফেলে তাহলে কি কেয়ামত এর দিন সে নারীর কোন শাস্তি হবে?কেউ যদি সে শর্ত ভঙ্গ করে সেটা কি আমানতের খিয়ানত কারী হবে?গুনাহগার হবে?

নবী সাহাবাদের সময় তো নারীপুরুষ প্রয়োজনে কথা বলেছেন।এটা তো নিষিদ্ধ বিষয় ছিল না।তাহলে কোন নারীর লেকচার বা রেকর্ড শোনার সময় কেন এত শর্ত?

1 Answer

0 votes
by (559,380 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


মহিলাদের কন্ঠস্বর পর্দার অন্তর্ভুক্ত।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا (32) وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى

হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে আকর্ষণধর্মী ভঙ্গিতে কথা বলনা, যাতে যাদের মাঝে যৌনলিপ্সা আছে তারা তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা স্বাভাবিক কথা বল। এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে, জাহেলী যুগের মেয়েদের মত নিজেদের প্রকাশ করো না। {সূরা আহযাব-৩২}

কুরআনে কারীমে অপর আয়াতে ইরশাদ হয়েছে,

إِنَّ السَّمْعَ وَالبَصَرَ وَالفُؤَادَ كُلُّ أُولَئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُولًا.

...নিশ্চয় কান, চোখ, হৃদয় এর প্রতিটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। সূরা বনী ইসরাঈল (১৭) : ৩৬

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।

فَالْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ، وَالْأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الِاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الْكَلَامُ، وَالْيَدُزِنَاهَا الْبَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا، وَالْقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى، وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ

রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, চোখের জিনা হল [হারাম] দৃষ্টিপাত। কর্ণদ্বয়ের জিনা হল, [গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক] কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা। জিহবার জিনা হল, [গায়রে মাহরামের সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন। হাতের জিনা হল, [গায়রে মাহরামকে] ধরা বা স্পর্শকরণ। পায়ের জিনা হল, [খারাপ উদ্দেশ্যে] চলা। অন্তর চায় এবং কামনা করে আর লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবে রূপ দেয় [যদি জিনা করে] এবং মিথ্যা পরিণত করে [যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে জিনা না করে]। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৯৩২}

★গ্রহনযোগ্য মতানুসারে যেহেতু মহিলাদের কন্ঠও সতরের অন্তর্ভুক্ত। 

বিস্তারিত জানুনঃ  

https://www.ifatwa.info/1058

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
গ্রহনযোগ্য মত অনুসারে নারীদের কন্ঠস্বর পর্দার আওতাভুক্ত।
সুতরাং বিভিন্ন জায়গায় যে শর্ত দেয়া থাকেঃ-পুরুষ সদস্য আশেপাশে থাকলে হেডফোন ব্যবহার করবেন।কোন পুরুষ সদস্য যেন কন্ঠ না শুনেন।

এক্ষেত্রে যদি কোন পুরুষ সদস্য শুনে ফেলে,সেক্ষেত্রে দেখতে হবে যে অডিওটি কি পাবলিক ছিলো কিনা?

যদি পাবলিকলি ছাড়া হয়,সেক্ষেত্রে কেয়ামত এর দিন সে নারীর কোন শাস্তি হবে।

আর যদি পাবলিকলি ছাড়া না হয়,বরং বিশেষ কিছু মহিলাদের কাছে উপরোক্ত শর্তের ভিত্তিতে পাঠানো হয়,এক্ষেত্রে যদি কোন পুরুষ সদস্য শুনে ফেলে,সেক্ষেত্রে কেয়ামত এর দিন সে নারীর কোন শাস্তি হবেনা।

কেউ যদি সে শর্ত ভঙ্গ করে সেটা আমানতের খিয়ানত কারী হবে।গুনাহগার হবে।

(নারীর কন্ঠস্বর পর্দার আড়াল হতে বিশেষ প্রয়োজনে ফিতনার আশংকা না থাকার শর্তে শোনার অনুমতি রয়েছে।
তবে অপ্রয়োজনীয় কথা শোনার অনুমতি নেই।)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (48 points)
বিভিন্ন প্ল্যাটফরম যেমন YouTube এ অনেক নারী উস্তাযাদের ক্লাস বা ভিডিও ওপেন।যা পুরুষ রাও দেখেন শুনেন।অনেকে ফেস শো করেন না।কন্ঠ পুরুষরা শুনেন।লেকচার। সেটাও গুনাহ হবে?

অপ্রয়োজনীয় কথা না,ইসলমিক লেকচার আছে নারীদের।সেসব শুনলেও গুনাহ হবে?
by (559,380 points)
হ্যাঁ, গায়রে মাহরাম পুরুষ শুনলে গুনাহ হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...